November 13, 2025, 9:08 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে অবরোধ/সাড়ে চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে রাজবাড়ীতে থেমে থাকা বাসে কুষ্টিয়াগামী এসবি পরিবহনের ধাক্কা, আহত ১৫ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি দুর্নীতির মামলা সশস্ত্র বাহিনীর বিশেষ ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা আরও সাড়ে তিন মাস বাড়লো আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হলে পুনরায় চালু হবে ভারত-বাংলাদেশ আন্তঃদেশীয় ট্রেন ‘অপারেশন ফার্স্ট লাইট’: পদ্মার চরে চার জেলায় ১,৫০০ পুলিশ সদস্যের বিশেষ অভিযান পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণে আমদানির সুপারিশ ট্যারিফ কমিশনের কুষ্টিয়ায় আবারও ডিসি পরিবর্তন/ ইকবাল হোসেন আসছেন নতুন জেলা প্রশাসক হিসেবে

আজ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
আজ ১৭ মার্চ। আজ বাঙালি জাতির অবিসংবিদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৫তম জন্মদিন। ১৯২০ সালের এই দিনে তিনি বৃহত্তর ফরিদপুর জেলার তৎকালীন গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ার এক শেখ পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা শেখ লুৎফর রহমান, মা সায়েরা খাতুন। চার বোন এবং দুই ভাইরের মধ্যে শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন তৃতীয়। তাঁর বাবা মায়ের দেয়া আদুরে নাম ছিল খোকা। তাঁকে নিয়ে বাঙালীর আলাদা ধরনের আবেগ উচ্ছাস রয়েছে। কারন বঙ্গবন্ধু শুধু বঙালী নামের নামের একটি জাতিকে একটি ভু-খন্ড ও পৃথক জাতিসত্তা দিয়েছেন তা নয়। তিনি বাঙালীর স্বাধীনতা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে সারা বিশে^র শোষিত, নিপীড়িত বনচিত মানুষের নেতাতে পরিণত হয়েছেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালির কাছে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। কারন ভারত স্বাধীনের পর বঙ্গবন্ধুই একমাত্র বাঙালী যিনি বিশ্বাসের ভিত্তিতে বিভক্ত হওয়া ভারতীয় উপমহাদেশীয় রাজনীতির ‘ত্রæটিপূর্ণ’ ভিত্তির বিরুদ্ধে সমুল বিদ্রোহ করেছিলেন, হাজার হাজার বছর ধরে বিদ্যমান সংস্কৃতিগত সুস্পষ্ট সহাব¯’ানের পরিবর্তে সমাজের মেরুকরণকে নিন্দা কওে সেখানে কুঠারাঘাত করেছিলেন। দুটি ভিন্ন জাতির একত্র হওয়ার পথে তিনিই বাধা হয়ে দাঁড়ান। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় লাভের মাধ্যমে সেই দুঃস্বপ্ন বঙ্গোপসাগরে চিরতরে সমাহিত হয়।
অন্যায়ের বির“দ্ধে প্রতিবাদী মানসিকতা, গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি ভালোবাসা ও তাদের দুঃখ দূর করার প্রতিজ্ঞা তাঁকে রাজনীতিতে নিয়ে আসে। স্কুল থেকেই তিনি রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। গ্রামের স্কুলে তাঁর লেখাপড়ার হাতেখড়ি। ১৯২৭ সালে শেখ মুজিব গিমাডাঙ্গা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা শুর“ করেন। ১৯২৯ সালে গোপালগঞ্জ পাবলিক স্কুলে ভর্তি হন এবং এখানেই ১৯৩৪ সাল পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। ১৯৩৭ সালে গোপালগঞ্জ মিশন স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে ভর্তি হন। ১৯৪১ সালে অসু¯’ শরীর নিয়েই ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন। ম্যাট্রিক পরীক্ষার পরপরই কিশোর মুজিব কলকাতায় যান। কলকাতার ইসলামিয়া কলেজের ছাত্র থাকা অব¯’ায় তাঁর রাজনৈতিক জীবনের বড় পরিবর্তনগুলো শুর“ হয়। তিনি পাকিস্তান আন্দোলনে সক্রিয় হন এবং হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী, আবুল হাশিমের মতো নেতাদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান রাষ্ট্র সৃষ্টি হলে শেখ মুজিবও ঢাকায় চলে আসেন। নতুন রাজনৈতিক চিন্তাচেতনা নিয়ে ১৯৪৮ সালে ছাত্রলীগ গঠন করেন। ১৯৪৯ সালে নবগঠিত পূর্ব পাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগের যুগ্ম সম্পাদক নির্বাচিত হন। বাংলাকে অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবী নিয়ে গড়ে ওঠা আন্দোলনে অংশ নেয়ার মাধ্যমেই শেখ মুজিবের রাজনৈতিক তৎপরতার সূচনা হয়। ১৯৪৮ থেকে ১৯৫২ এর মহান ভাষা আন্দোলন, ১৯৫৮ এর সামরিক শাসনবিরোধী আন্দোলন, ১৯৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন ও ১৯৬৬ এর ঐতিহাসিক ছয় দফা ভিত্তিক আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি হয়ে ওঠেন বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা।
১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ছাত্র জনতা তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বাঙালিরা বঙ্গবন্ধুর ৬ দফার পক্ষে অকুণ্ঠ সমর্থন জানায়। কিš‘ পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠী আওয়ামী লীগকে ক্ষমতা হস্তান্তর না করে বাঙালিদের বির“দ্ধে ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তাঁর ঐতিহাসিক ভাষণে স্বাধীনতার ডাক দেন। ২৫ মার্চ পাকিস্তানী বাহিনী পরিকল্পিত গণহত্যা শুরু করলে ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। পরে বঙ্গবন্ধুর নামে স্বাধীনতার ডাক দেন সেনাবাহিনীর তৎকারীল মেজর জিয়াউর রহমান ও আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল হান্নান। ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের আপামর জনগণ প্রায় নয় মাস যুদ্ধ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জন করে। স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার এই মহান নেতার জন্মদিনে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। কোনো বিশেষ ঘটনা বা আনন্দের দিনকে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে অনেকেই অনেকভাবে তুলে ধরেছেন নানা লেখায়, কথায়। তবে সবথেকে আপন করে তুলে ধরেছেন কিংবদন্তি বাঙালি কবি ও প্রাবন্ধিক অন্নদাশঙ্কর রায়। তিনি লিখেছেন
‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা গৌরী মেঘনা বহমান
ততকাল রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান…’
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট তিনি সপরিবার সেনাবাহিনীর কিছু বিপথগামী সদস্যের হাতে নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার হন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net