September 10, 2025, 5:29 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গোপালগঞ্জ ঘটনায় এনসিপির নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের (কার্যক্রম নিষিদ্ধ) নেতাকর্মীদের সংঘর্ষে ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশ, সাংবাদিকসহ শতাধিক ব্যক্তি।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ৪ জনকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়। তারা গুলিবিদ্ধ ছিলেন। গোপালগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. শেখ মো. নাবিল রাইজিংবিডিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতরা হলেন- জেলা শহরের উদয়ন রোডের সন্তোষ সাহার ছেলে দীপ্ত সাহা (২৫), শহরের থানাপাড়ার কামরুল কাজীর ছেলে রমজান কাজী (২৪) ও সদর উপজেলার আড়পাড়া এলাকার আজাদ তালুকদারের ছেলে ইমন তালুকদার (১৮)। তাৎক্ষণিক নিহত অপরজনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মুহম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘‘গোপালগঞ্জে এনসিপির পদযাত্রা ও সমাবেশকে কেন্দ্র করে উদ্ভূত পরিস্থিতির জন্য বুধবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত জেলায় কারফিউ ও অনির্দিষ্টকালের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।’’
সরকারের বিবৃতি/
‘গোপালগঞ্জে এনসিপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’
বৃহস্পতিবার (১৬ জুলাই) বিকেলে অন্তর্র্বতী সরকারের এক বিবৃতিতে কথা বলা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী সচিব ফয়েজ আহম্মদ প্রেরিত বিবৃতিতে বলা হয়, ‘গোপালগঞ্জে যে সহিংসতা সংঘটিত হয়েছে, তা সম্পূর্ণরূপে নিন্দনীয় ও অমার্জনীয়। শান্তিপূর্ণভাবে এক বছর আগের বিপ্লবী আন্দোলনের বার্ষিকী পালন করতে আসা তরুণ নাগরিকদের ওপর এমন হামলা তাদের মৌলিক অধিকার হরণের শামিল। জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্য, পুলিশ এবং সাংবাদিকরা আজ নির্মমভাবে হামলার শিকার হয়েছেন। তাদের গাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে এবং শারীরিকভাবে আঘাত করা হয়েছে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই বর্বরোচিত হামলা, যা নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের ছাত্রলীগ ও দলীয় কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে—তার জবাবদিহি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। হামলাকারীদের দ্রুত শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিকের ওপর এ ধরনের সহিংসতার কোনো স্থান নেই।’
এতে বলা হয়, ‘আমরা সেনাবাহিনী ও পুলিশের তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের প্রশংসা জানাই এবং সেই সাথে সাহসী ছাত্রদের অবিচলতা ও দৃঢ় মনোবলের জন্য অভিবাদন জানাই, যারা সব হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সমাবেশ চালিয়ে গেছেন।’
‘এই বর্বরতার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিচারের মুখোমুখি হতেই হবে। এটা পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দিচ্ছি: বাংলাদেশের মাটিতে সহিংসতার কোনো স্থান নেই। ন্যায়বিচার অবশ্যই প্রতিষ্ঠিত হবে—এটাই আমাদের প্রতিশ্রুতি।’