July 29, 2025, 10:20 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
গত জুন মাসে আমদানি ঋণপত্র (এলসি) খোলায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, এই মাসে খোলা এলসির পরিমাণ ছিল গত পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, বেসরকারি বিনিয়োগ স্থবির হয়ে পড়া, দীর্ঘস্থায়ী মূল্যস্ফীতি, মজুরির সঙ্গে মূল্যবৃদ্ধির অসামঞ্জস্য এবং সামগ্রিকভাবে মানুষের ভোগব্যয়ের প্রবণতা কমে যাওয়াই এর মূল কারণ।
অপরদিকে, আমদানি হ্রাসের প্রভাবে এলসি নিষ্পত্তির পরিমাণও নেমে এসেছে সাড়ে চার বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা বলছেন, চলতি বছরের জুনে খোলা এলসির পরিমাণ করোনাকালীন সময়ের চেয়েও কম, যা আমদানিনির্ভর বাংলাদেশের অর্থনীতির জন্য এক গভীর সংকেত।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে, ২০২৫ অর্থবছরের শুরু মাসে অর্থাৎ জুনে মোট ৪.১৪ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলা হয়েছে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২৪.৪২ শতাংশ কম। ২০২৪ সালের জুনে এই পরিমাণ ছিল ৫.৪৭ বিলিয়ন ডলার।
তথ্য বিশ্লেষণ বলছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয়ার্ধে এলসি খোলার প্রবণতা ধারাবাহিকভাবে কমেছে এবং জুনে তা এসে ঠেকে সবচেয়ে নিচের স্তরে। এর আগে সর্বশেষ এত কম এলসি খোলা হয়েছিল ২০২০ সালের আগস্টে—৩.৭ বিলিয়ন ডলার।
সংশ্লিষ্টরা মনে করিয়ে দেন, ২০২০ সালের মার্চে দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হওয়ার পরপরই দেশজুড়ে লকডাউন আরোপ করা হয় এবং অর্থনৈতিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে, যার ফলে আমদানি বড় ধাক্কা খায়। তবে এবারের পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক, কারণ কোনো বৈশ্বিক মহামারির চাপ ছাড়াই বেসরকারি খাতে বিনিয়োগ কমে যাওয়ার কারণে আমদানি কমছে, যা ভবিষ্যতের প্রবৃদ্ধিকে ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
Leave a Reply