October 9, 2025, 2:45 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
পাবনায় জুলাই ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলায় ১৩৬ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পদ্মা নদীতে নৌ-চ্যানেলে খাজনা আদায়কে কেন্দ্র করে গোলাগুলি, দুজন গুলিবিদ্ধ বিসিবি গঠন/সভাপতি বুলবুল, অন্যান্য পদে যারা এলেন কুষ্টিয়ায় মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় হানিফসহ চারজনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ভারত থেকে আমদানি শুরুর কয়েক ঘন্টায় কাঁচা মরিচের দাম কমল ১৩০ টাকা সেপ্টেম্বরে প্রবাসী আয়ে নতুন রেকর্ড/দেশে এসেছে ২৬৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পূজা কারনে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ, দেশে কাঁচামরিচের দাম আকাশছোঁয়া প্রশাসনে এক বছরে পদোন্নতি ১৮১৭ : পদের চেয়ে কর্মকর্তা বেশি সহস্রাধিক কুষ্টিয়া/দুপুরে নিখোঁজ, রাতে বাড়ির পাশের ডোবায় স্কুলছাত্রীর মরদেহ দলীয় কর্মকাণ্ডে অনিয়ম/কুষ্টিয়া জেলা কমিটি থেকে এনসিপির দুই নেতার পদত্যাগ

ভারতের নতুন নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের পাটপণ্য রপ্তানিতে বড় ধাক্কা

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ভারত আবারও বাংলাদেশের পাটপণ্যের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এবার স্থলবন্দর দিয়ে চার ধরনের পাটজাত পণ্য আমদানির পথ সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে দেশটি। তবে মুম্বাইয়ের নভোসেবা সমুদ্রবন্দর দিয়ে এসব পণ্য প্রবেশের সুযোগ রাখা হয়েছে।
সোমবার (১১ আগস্ট) ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্য অধিদপ্তর এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়েছে—
পাটের বস্তা ও ব্যাগ
পাটের তৈরি ব্লিসড ও আনব্লিসড বোনা কাপড়
পাটের সুতা, কর্ডেজ ও দড়ি
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরদিন থেকেই এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে।
এর ফলে মাত্র ছয় মাসে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশি পণ্যের ওপর এ ধরনের বিধিনিষেধ দিল ভারত। এর আগে ১৭ মে স্থলপথে বাংলাদেশি পোশাক, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক সামগ্রী, কাঠের আসবাব, সুতা ও এর উপজাত, ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয় এবং কোমল পানীয় আমদানিতে সীমাবদ্ধতা আনে। তারও আগে, ৯ এপ্রিল কলকাতা বিমানবন্দর হয়ে তৃতীয় দেশে বাংলাদেশি পণ্য রপ্তানির সুবিধা প্রত্যাহার করা হয়। আর ২৭ জুন স্থলপথে কাঁচা পাট, পাটের রোল, পাটের সুতা ও বিশেষ ধরনের কাপড় আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়। নতুন সিদ্ধান্তের ফলে নিষিদ্ধ পণ্যের তালিকায় আরও চারটি পণ্য যুক্ত হলো, যা বাংলাদেশের পাটখাতের জন্য বড় আঘাত হিসেবে দেখা হচ্ছে।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুর রউফ বলেন, “ভারতের এমন অশুল্ক বাধা আসতে পারে বলে আমরা আগেই ধারণা করেছিলাম। সে অনুযায়ী কিছু প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে পলিথিনের পরিবর্তে পাটের চাহিদা বাড়াতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি সাধারণ পাটপণ্য রপ্তানি না করে, উচ্চমূল্যের মূল্য সংযোজিত পণ্য বিশ্বের যেকোনো বাজারে পাঠানোর পরিকল্পনা নেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত ভারতের এ সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের জন্য ‘সাপে বর’ প্রমাণ হতে পারে।”
বহুমুখী পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি রাশেদুল করিম মুন্না জানান, ভারতীয় আমদানিকারকদের বেশিরভাগই কলকাতাভিত্তিক এবং স্থলপথে পণ্য পরিবহন দু’দেশের জন্যই সুবিধাজনক ছিল। তবে আগের নিষেধাজ্ঞার পর মুম্বাইয়ের নভোসেবা বন্দর হয়ে পণ্য আনা এবং সেখান থেকে কলকাতায় নেওয়ার কারণে পরিবহন ব্যয় স্বাভাবিকের তুলনায় চার গুণ বেড়েছে এবং সময়ও দ্বিগুণ লেগেছে। নতুন চার পণ্য নিষিদ্ধ হওয়ায় ভারতের বাজার ধরে রাখা আর বাণিজ্যিকভাবে সম্ভব হবে না।
তিনি আরও বলেন, “ইউরোপ ও আমেরিকার বাজারকে লক্ষ্য করে পণ্যে বৈচিত্র্য, মানোন্নয়ন ও মূল্য সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া গেলে কাঁচাপাট রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা দীর্ঘমেয়াদে পাটশিল্পের জন্য ইতিবাচক ফল বয়ে আনতে পারে।”

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net