November 16, 2025, 2:44 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
জামায়াত ক্ষমতায় এলে কাদিয়ানিদের অমুসলিম ঘোষণা কর হবে ভেড়ামারায় বিএনপি প্রার্থীর কবর জিয়ারত— ধর্মীয় আবেগও কি দলীয় রাজনীতির ছোবলে? কুষ্টিয়ার ২জনসহ মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে ১২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ কুষ্টিয়া-১ আসনে এনসিপির প্রার্থী হতে আগ্রহী নুসরাত তাবাসসুম ঢাকা ও আশপাশের জেলায় ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন, যৌথবাহিনীর অভিযান জোরদার গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে অবরোধ/সাড়ে চার ঘণ্টা পর স্বাভাবিক যান চলাচল ঢাকা–খুলনা মহাসড়কে রাজবাড়ীতে থেমে থাকা বাসে কুষ্টিয়াগামী এসবি পরিবহনের ধাক্কা, আহত ১৫ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলা: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের রায় ১৭ নভেম্বর কুষ্টিয়া জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের দুটি দুর্নীতির মামলা

পূজা কারনে ভারত থেকে আমদানি বন্ধ, দেশে কাঁচামরিচের দাম আকাশছোঁয়া

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দুর্গাপূজার ছুটির কারণে ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি বন্ধ থাকায় মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে দেশে কাঁচামরিচের দাম দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। এই হঠাৎ ঊর্ধ্বগতি সাধারণ ক্রেতা থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ীদেরও কষ্ট দিয়েছে।
শনিবার (৪ অক্টোবর) হিলি সবজি বাজারে জানা যায়, গত সপ্তাহে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। এখন একই মরিচ বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ২৬০ টাকায়, অর্থাৎ প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ১৩০ টাকারও বেশি। খুচরা বাজারে দাম এখন ২৮০ টাকা প্রতি কেজি, যেখানে এক সপ্তাহ আগে তা ছিল ১৫০–১৬০ টাকার মধ্যে।
বাজার সূত্র জানায়, দুর্গাপূজার ছুটির কারণে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচের আমদানি ছয় দিন ধরে বন্ধ রয়েছে। ফলে স্থানীয় সরবরাহ হঠাৎ কমে গিয়ে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি হয়েছে।
হিলি বাজারের পাইকারি ব্যবসায়ী হারুন আসকারী বলেন, “ভারত থেকে কাঁচামরিচ আসছে না, তাই বাজারে সরবরাহ কমে গেছে এবং দাম লাগামহীনভাবে বাড়ছে। আমরা এখন রাজশাহী অঞ্চল থেকে মরিচ আনছি, তবে হিলি বন্দরে আমদানি শুরু হলে দাম আবার স্বাভাবিক হবে।”
কুষ্টিয়া পৌর বাজারের ব্যবসায়ী আলমগীর ভুঁইয়া জানান, দেশের বাজারে মরিচের অভাব মাসাধিককাল চলতে পারে। “প্রতি বছর এই সময় এমন হয়,” তিনি বলেন। “আমদানি ছাড়া বিকল্প নেই।”
হঠাৎ দাম বৃদ্ধিতে সাধারণ ক্রেতারা হতাশ।
ক্রেতা লুৎফর রহমান বলেন, “গত সপ্তাহে ১৩০ টাকায় মরিচ কিনেছিলাম, আজ তা ২৬০ টাকা কেজি! এভাবে দাম বাড়লে রান্নার ঘরে মরিচই থাকবে না।”
অন্য ক্রেতা সেলিম মাহমুদ তফেল প্রশ্ন করেন, “দুই মাস আগে ৪০–৫০ টাকায় মরিচ কিনতাম, এখন ২৮০ টাকা! এই বাজারটা কী ধরনের?”
খুচরা বিক্রেতা মাহবুব আলী জানান, “ক্রেতারা রেগে যাচ্ছে, কিন্তু আমরা কিছুই করতে পারছি না। পাইকারি ২৬০ টাকায় কিনে খুচরা ২৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।”
স্থানীয় বাজারে মরিচের লাগামহীন দামের নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ আট মাসের বিরতির পর আবার ভারত থেকে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু করে। প্রথম চালান ৯,৮৪৮ টন ১০ জুলাই হিলি স্থলবন্দরে পৌঁছায় এবং তখন থেকে আমদানি অব্যাহত রয়েছে।
যদিও মরিচ মূলত মেক্সিকো থেকে এসেছে, বাংলাদেশে বছরের পর বছর ধরে স্থানীয় বিভিন্ন জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে নিজস্ব বৈশিষ্ট্যযুক্ত জাত চাষ করা হয়। পরিচিত স্বদেশী জাতগুলোর মধ্যে রয়েছে বিনদি, আকাশী, উব্ধে, ধনী, সাইতা, বোম্বাই ও সাহেব মরিচ। এছাড়া বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (ইঅজও), বাংলাদেশ নিউক্লিয়ার এগ্রিকালচার ইনস্টিটিউট (ইওঘঅ) এবং কিছু বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হাইব্রিড জাত উদ্ভাবন করেছে, যা এখন বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপকভাবে চাষ করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net