November 21, 2024, 11:26 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বেনাপোল দিয়ে গত দুই দিনে ভারত থেকে এসেছে ৪৯৮ টন কাঁচা মরিচ। এই মরিচের প্রতি টনের আমদানি মূল্য পড়েছে ৬০ হাজার টাকা।
এই মরিচের মধ্যে সোমবার আসে ৩৮৬ টন কাঁচা মরিচ। মঙ্গলবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ১২টি ভারতীয় গাড়িতে প্রায় ১১২ মে. টন কাঁচা মরিচ বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করেছে।
প্রথম দিন সোমবার ভারতীয় ৫৬টি ট্রাক পেট্রাপোলে পৌছায়। দেশে প্রবেশ করে বিকেলের দিকে। রাতেই বেনাপোল বন্দর থেকে মরিচ বোঝাই ট্রাকগুলো চওে গেছে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলাতে। আজকের আনা মরিচগুলো খালাস হয় বিকেল তাটর মধ্যে।
বেনাপোল কাস্টমস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, দেশের ২৮ জন আমদানিকারক সোমবার ২ কোটি ৩৪ লাখ টাকা মূল্যে ভারত থেকে ৩৮৫ মে. টন কাঁচা মরিচ আমদানি করে।
আমদানি শুল্ক প্রায় ৩৬ হাজার টাকা হিসাবে প্রতি কেজির আমদানি মূল্য ৬০ টাকা এবং শুল্ক ৩৬ টাকা। গড়ে ভারত থেকে আসা প্রতি কেজি এসব কাঁচা মরিচের খুচরা দাম ১২০ থেকে ১৬০ টাকা।
এখন পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৮৩০ টন কাঁচা মরিচ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৮টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান ৭ হাজার ৫০০ টন কাঁচা মরিচ আমদানি করেছে।
বেনাপোল বন্দরে খাদ্যদ্রব্যের মান পরীক্ষায় নিয়োজিত সরকারি প্রতিষ্ঠান উদ্ভিদ সংগনিরোধ কর্মকর্তা হেমন্ত কুমার সরকার জানান, এসব মরিচ দেশের সাধারণ মেিচর মতোই। মান সঠিক রয়েছ্ ে
বেনাপোল স্থলবন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল করিম জানান, পণ্য চালান দ্রত খালাস করে দেয়া হয়েছে। আজ রাতের মধ্যেই এসব মরিচ সারাদেশের বিভিন্ন বাজারে চলে যাবে।
এদিকে, ভারত থেকে নিয়মিত কাঁচা মরিচ আমদানি হচ্ছে; কিন্তু এ আমদানির প্রভাব নেই দেশের খুচরা পর্যায়ের দামে।
কাঁচা মরিচ আমদানিকারক আনোয়ার হোসেন ডেইলি সানকে জানানা, ভারতের বিহার রাজ্য থেকে এসব মরিচ আনা হচ্ছে। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ আমদানিতে সব মিলিয়ে খরচ পড়ছে ১৩৮ থেকে ১৪০ টাকা। ঢাকার পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছে এ মরিচ ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার বিভিন্ন জেলার বাজারে কাঁচা মরিচের দাম আকাশচুম্বী। আজ মঙ্গলবার যশোরের বেনাপোল বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে ৬০০ টাকা কেজি দরে। ফরিদপুরে ৬০০ টাকায়, রাজবাড়ীতে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৫০০ টাকায়। ঝিনাইদহে শহরে কাঁচা বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়। কুষ্টিয়ায় সরিচ ভেদে এই দাম ৪৫০-৫৫০ টাকা।
চলতি বছরের এপ্রিলে দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে মরিচগাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় মরিচের উৎপাদন কম হয়েছে। এতে স্থানীয়ভাবে সরবরাহে ঘাটতি দেখা দেয়।
Leave a Reply