May 9, 2025, 9:09 pm
ঢাকা ব্যুরো, দৈনিক কুষ্টিয়া/
মোবাইল কোর্ট বলছে তার পড়াশোনা ইউনানী থেকে। শিখেছেন শাস্ত্র মতের কিছু চিকিৎসা। কিন্তু বনে গেছেন অ্যালোপ্যাথিক চিকিৎসার ডাক্তার। চিকিৎসা করেন হৃদরোগ, লিভার, জন্ডিস, বাতজ্বরের মতো কঠিন রোগের। এমনকি করেন হার্ট সার্জারিও।
রাজধানীর মতিঝিলে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে দীর্ঘ ১২ বছর ধরে এভাবে প্রতারণামূলকভাবে চিকিৎসাসেবা দিয়ে আসছিলেন মিজানুর রহমান। তবে শেষ রক্ষা হয়নি, অভিযান চালিয়ে ওই ভুয়া চিকিৎসককে দুই বছরের কারাদন্ড দিয়ছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) ভ্রাম্যমাণ আদালত।
রোববার (২৮ জুন) দুপুর থেকে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে ভুয়া চিকিৎসক ও বিভিন্ন অনিয়মের খোঁজে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব-৩ এর নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পলাশ বসু।
এ সময় মিজানুর রহমান নামে ওই ভুয়া চিকিৎসকের দুই বছরের কারাদণ্ডসহ হাসপাতালের সহকারী সুপার লতিফুর রহমানকে চার লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এদিকে, ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য রাখার দায়ে ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালের ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে অনুমোদনহীন অপারেশন থিয়েটারে ব্যবহৃত ইনজেকশন ও সার্জিক্যাল পণ্য পাওয়া গেছে। এ অভিযোগে ফার্মেসির শফিউল ইসলাম ও আব্দুল জলিল নামে দুইজনকে পাঁচ লাখ টাকা করে মোট ১০ লাখ টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে তিন মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।
Leave a Reply