August 20, 2025, 6:25 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালে তা নবায়ন হওয়ার কথা/গঙ্গা চুক্তিতে থাকতে চায় তৃণমূল, নেপথ্যে কি? আমদানি শুরুর পর দাম বাড়েনি পেঁয়াজের বেসরকারি পর্যায়ে ১০ লাখ টন ডাল ও চিনি আমদানি অনুমোদন কুষ্টিয়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াইয়ে পানি কমলেও দৌলতপুরে অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি কুষ্টিয়া শাহিন ক্যাডেট স্কুল/ ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং খেলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু ঝিনাইদহে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ১৭ জন আটক রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের রহস্যজনক মৃত্যু র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার বাদামখেতে মিললো ভয়ংকর ‘রাসেল ভাইপার’,

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে একটি বাদামক্ষেতে প্রথমবারের মতো বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর ‘রাসেল ভাইপার’ সাপ দেখা গেছে। স্থানীয় কৃষকরা সেটিকে পিটিয়ে মেরে পুড়িয়ে ফেলেছে। মঙ্গলবার সকালে ওই উপজেলার চিলমারী ইউনিয়নের চরবাজুমারা গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।

 

স্থানীয়রা জানায়, কৃষক আবু হক পদ্মার চরে নিজ জমিতে বাদাম তুলতে যান। এক পর্যায়ে বাদাম গাছের ভেতর থেকে বের হয় একটি ‘রাসেল ভাইপার’ সাপ। সেটি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে পাশের জমির কৃষক সাইফুল ইসলামসহ চারজন ছুটে এসে সাপটিকে পিটিয়ে মারে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা ভিড় করে। পরে সাপটি পুড়িয়ে ফেলা হয়।

 

 

চিলমারী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার শরিফুল ইসলাম সোহাগ জানান, সাপটি প্রায় সাড়ে ৩ ফুট লম্বা। প্রথমে কৃষকরা ধারণা করেছিল- অচেনা কোনো বিষধর সাপ। পরে ছবি তুলে গুগলে সার্চ করে জানা গেছে- সেটি বিশ্বের অন্যতম বিষধর সাপ ‘রাসেল ভাইপার’। সাপটির ছবি ফেসবুকে পোস্ট করার পর অনেকেই এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

 

 

জানা গেছে, ‘রাসেল ভাইপার’ সাপটি ‘চন্দ্রবোড়া’ বা ‘উলুবোড়া’ নামেও পরিচিত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Daboia russelii। এটি অনেক বিষধর। এটি ভারত, চীন, থাইল্যান্ডসহ এশিয়ার কয়েকটি দেশে আছে। দেশের উত্তরাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের কয়েকটি জেলায় ‘রাসেল ভাইপারের’ অস্তিত্ব মিললেও কুষ্টিয়ায় এবারই প্রথম।

 

 

অজগরের মতো এটি ধূসর এবং কালো ছোপওয়ালা সাপটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য- এটি ডিম দেয় না, সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা একসঙ্গে ৬০-৮০টি বাচ্চা দিতে পারে। বিলুপ্তপ্রায় এ ‘রাসেল ভাইপার’ খুবই বিষাক্ত এবং ভয়ংকর। এটি দংশন করলে দ্রুত মানুষের শরীরে রক্ত জমাট বেঁধে যায়। পর্যাপ্ত চিকিৎসার জন্য সময় পাওয়া যায় না বলে অল্প সময়ে হৃদপিণ্ড অকার্যকর হয়ে মৃত্যু হয়।

 

 

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা ছালেহ মো. শোয়াইব খান জানান, তারা ‘রাসেল ভাইপারের’ কোনো খবর পাননি। পেলে সাপটিকে উদ্ধারের চেষ্টা করতেন। এ জেলায় আগে কখনো ‘রাসেল ভাইপার’ সাপের দেখা মেলেনি।

 

 

বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, আইইউসিএন’র ২০১৫ সালের লাল তালিকা অনুযায়ী ‘রাসেল ভাইপার’ সংকটাপন্ন প্রাণীর তালিকায় রয়েছে। এটি ইঁদুর ও টিকিটিকি খায়। খাবারের খোঁজে ‘রাসেল ভাইপার’ অনেক সময় লোকালয়ে চলে আসে এবং মানুষকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে কখনো কখনো আক্রমণ করে বসে।

 

 

আরো জানা গেছে, বিষের তীব্রতার দিক দিয়ে ‘রাসেল ভাইপার’ বিশ্বে পঞ্চম। এটি এক সেকেন্ডের ১৬ ভাগের এক ভাগ সময়ে কাউকে কামড়ে বিষ ঢালতে পারে। কামড়ের ক্ষিপ্রতার দিক দিয়ে ‘রাসেল ভাইপার’ প্রথম। এছাড়া এ সাপের বিষ দাঁত বিশ্বে দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ। এই সাপের বিষে ‘হেমোটক্সিন’ হওয়ায় মাংস পচেই আক্রান্ত ব্যক্তির মৃত্যু হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net