November 23, 2024, 12:39 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
ভারতে আটকে পড়া বাংলাদেশী পাসপোর্টধারী নাগরিকদের দেশে আনতে খুলে দেয়া হচ্ছে চুয়াডাঙ্গার দর্শন-গেদে চেকপোস্ট। আগামীকাল রোববার থেকে এ চেকপোস্ট দিয়ে দেশে আসতে পারবেন তারা।
দেশে প্রবেশের পর তাদের হেলথ স্ক্রিনিং ও করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। করোনায় আক্রান্তদের রাখা হবে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে। এছাড়া দেশে আসা সবাইকে ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। তাদের পাসপোর্ট পুলিশ হেফাজতে থাকবে।
আজ শনিবার দুপুরে করোনাভাইরাস নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধে করণীয় সম্পর্কিত চুয়াডাঙ্গা জেলা কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সভায় এসব সিদ্ধান্তের তথ্য জানান জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার।
জেলা প্রশাসক জানান দেশে প্রবেশের পর সেখানেই তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হবে। পরীক্ষায় করোনা সনাক্তদের সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে এবং বাকীদের কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। কোয়ারেন্টিন সেন্টার হিসেবে প্রাথমিকভাবে চুয়াডাঙ্গানার্সিং ইনস্টিটিউট ও দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে নির্বাচন করা হয়েছে। কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থায় নির্ধারিত পরিবহনে আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিন সেন্টারে যাত্রীদেরকে পৌঁছে দেয়া হবে। কোয়ারেন্টিনে অবস্থানকালীন সকলকেই নিজ থাকা ও খাওয়ার খরচ বহন করতে হবে। তাদের পাসপোর্ট পুলিশ হেফাজতে থাকবে। কোয়ারেন্টিন শেষে সিভিল সার্জনের ছাড়পত্রের পর পাসপোর্ট ফেরত দেয়া হবে।
পুরো প্রক্রিয়া তদারকির জন্য অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীনকে প্রধান করে সাত সদস্যের মনিটরিং কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা) আবু রাসেল, সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি ডা. আওলিয়ার রহমান, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি প্রতিনিধি, জেলা গ্রাম প্রতিরক্ষা ও আনসার বাহিনীর প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সভাপতি সরদার আল আমিন ও জেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক একেএম মঈনুদ্দিন মুক্তা ।
সভায় জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তিনি জানান কোায়ারেন্টাইনের জন্য ৪টি সরকারি প্রতিষ্ঠান ও বেসরকারি ৪টি হোটেল নির্ধারন করে রাখা হয়েছে।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিভিল সার্জন ডা. এএসএম মারুফ হাসান, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মনিরা পারভীন, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির পরিচালক মোহাম্মদ খালেকুজ্জামানসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
Leave a Reply