November 23, 2024, 12:39 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ও আওয়ামী লীগেরই ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। একে অপর প্রার্থীর নির্বাচনী অফিসে পাল্টাপাল্টি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
শুক্রবার (০৫ নভেম্বর) রাত ৯-১১টা পর্যন্ত দুই দফায় হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয় সূত্র জানিয়েছে।
সংঘর্ষ ঘটে লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলাম ও আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টুর লোকেদের মধ্যে।
এদিকে মনোনয়ন পেলেও এখনও প্রতীক বরাদ্দ না হওয়ায় নির্বাচনী অফিস ভাংচুরের বিষয়টি আমলে আনতে নারাজ স্থানীয় নির্বাচন কর্মকর্তা।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান প্রাথমিকভাবে পুলিম জানতে পেরেছে যে হারদী বাজার সংলগ্ন একটি নির্বাচনী অফিস থেকে আওয়ামী লীগের মনোনিত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলামের লোকজন অপর প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টুর সমর্থকদের উপর রাত ৯টার দিকে হামলা করে। পরবর্তীতে কে বা কারা আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী নুরুল ইসলামের নির্বাচনী অফিসে ভাঙচুর করেছে।
এ ঘটনার পর উভয় পক্ষের মধ্যে ইউনিয়নের কয়েকটি জায়গায় কমপক্ষে চারটি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষগুলো সংঘটিত হয় রাত ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে।
ঘটনায় আহত হয়েছেন প্রায পঁচিশ জন। এদের মধ্যে ৫ জনের নাম পাওয়া গেছে। তারা হলেন- আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদী গ্রামের শহিদুলের ছেলে পিল্টু (২৮), একই এলাকার সাগর আলীর ছেলে আশিক মোল্লা (২৩), আবুল কাশেমের ছেলে লিটন শেখ (৩০), ফারুক হোসেনের ছেলে রাব্বি (৩০) ও মৃত সাধু খানের ছেলে সিয়াম (২৫)।
শনিবার সকালে দুই প্রার্থীর সঙ্গে মোবাইলে কথা হলে একে অপরকে দোষারোপ করেন।
নুরুল ইসলাম বলেন, শুক্রবার রাতে জানতে পারি হারদী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থী আশিকুজ্জামান ওল্টুর কর্মীরা আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা করে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবিও মাটিতে ফেলে ভাঙচুর করেছে তারা। এতে তার কোনো কর্মী আহত হয়নি বলে তিনি জানান।
অপরদিকে আশিকুজ্জামান ওল্টু বলেন, ঘটনার সময় তিনি একটি অনুষ্ঠানে ছিলেন। তিনি বলেন নুরুল ইসলামের সমর্থকরা তার সমর্থকদের উপর হামলা চালিয়ে ১৫টি চেয়ার, লাইট ভেঙে দিয়েছে। তারা আমার পাঁচ কর্মীকে চড়-ঘুষি ও মারধর করে আহত করেছে।
উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা আনারুল ইসলাম বলেন, প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী অফিস ও প্রচার প্রচারণা নিষিদ্ধ। আচরণবিধিতে নির্দেশনা আছে, প্রতীক বরাদ্দের আগে কোনো প্রার্থী প্রচারণা চালাতে পারবেন না। এ ধরনের কোনো অভিযোগ আমার কাছে আসেনি।
আগামী ২৮ নভেম্বর আলমডাঙ্গা উপজেলার হারদীসহ ১৩টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ৪ নভেম্বর প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই সম্পন্ন হয়েছে। ১৩টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান প্রার্থী ৬৩ জন, সংরক্ষিত নারী সদস্য প্রার্থী ১৪২ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ৪৪৮ জন অংশগ্রহণ করছেন। আগামী ১২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের মধ্যদিয়ে প্রচার-প্রচারণা শুরু করবেন প্রার্থীরা।
Leave a Reply