September 10, 2025, 7:30 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসুর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা/ ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস ফরহাদ দেশে দাম ২৫০০, ভারতে যাচ্ছে ১৫০০ টাকা দরে ১২০০ টন ইলিশ রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল রেসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর কেরুর আধুনিকায়ন ১৩ বছরেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি একাদশে ভর্তি শুরু, জেলা পর্যায়ে নন-এপিওতে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা, ক্লাস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত, আসছে মিড-ডে মিল ইউক্রেন চুক্তি মানতে না পারলে সামরিকভাবে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন, চিকিৎসায় সহায়তায় প্রস্তুত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় বিচার বিভাগের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেলো সুপ্রিম কোর্টে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে মাছ রপ্তানি বেড়েছে প্রায় ৫ হাজার ৫০০ টন

কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে জন্ম নেয়া পাঁচ শিশুরই মৃত্যু

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় একসঙ্গে পাঁচ সন্তানের জন্ম দিয়ে সবার প্রশংসায় সুখের আনন্দে ভাসা দম্পতিটি এখন শোকের সাগরে নিমজ্জিত। একে একে পাঁচ সন্তানকেই হারাতে হলো তাদের। এভাবে পাঁচটি সন্তান হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন তারা।
২ নভেম্বর কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের তত্বাবধানে কুষ্টিয়ায় ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে তিনি একসঙ্গে জন্ম দেন ৪টি মেয়ে ও একটি ছেলে শিশু।
এর মাঝে ১০ নভেম্বর ৬ ঘন্টার ব্যবধানে ছেলে শিশুটি সহ মোট দুটি মেয়ে শিশু মারা যায়। এরপর ১১ নভেম্বর মারা যায় আরো একটি মেয়ে শিশু। সবশেষ ৬ দিন বেঁচে থাকার সংগ্রাম শেষে অবশেষে আজ (১ঙ১ নভেম্বর) সকালে মারা যায় অবশিষ্ট মেয়ে শিশুটি।
শিশুগুলোর বাবা সোহেল রানা জানান পাঁচ সন্তানের জন্মের পর খুব খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু বুঝতে পারিনি খুশিগুলো এত দ্রত, এত নিষ্ঠুরভাবে হারিয়ে যাবে।
তিনি জানান তার স্ত্রী সাদিয়া আরো বেশী শোকে মুহ্যমান। ভেঙে পড়েছেন তিনি।
সোহেলের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামের কলেজপাড়া এলাকায়। তিনি একটি চায়ের দেকান চালান পান্টি বাজারে। ২০১৬ সালের ৩০ জুলাই কুমারখালী উপজেলার যদুবয়রা ইউনিয়নের বহলবাড়িয়া গ্রামের মিজানুর রহমানের মেয়ে সাদিয়া খাতুনকে বিয়ে করেন তিনি। এটিই ছিল তাদের প্রথম সন্তান জন্মদান।
হাসপাতালের মেডিকেল অফিসাররা জানান গর্ভধারণের মাত্র পাঁচ মাসের মধ্যে জন্ম হওয়ায় শিশুদের ওজন যথেষ্ট কম হয়। এটাই তাদের বেঁচে থাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
“বাচ্চাগুলোর ওজন ছিল ৫০০-৬০০ গ্রাম। এত কম ওজন নিয়ে কোন সদ্যভুমিষ্ঠের বেঁচে থাকা খুবই কঠিন,” জানান ঐ হাসপাতালের গাইনী বিভাগের প্রধান চিকিৎসক মনোরমা সরকার। পাঁচ সদস্যের ডেরিভারি টিমে মনোরমাই নেতৃত্ব দেন।
হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) আশরাফুল আলম বলেন তারা চেষ্টার কোন ত্রæটি করেন নি। বরং ডক্তারদের বাড়তি নজর ছিল বাচ্চাগুলোর প্রতি।
তিনি জানান ‘শিশুগুলোর বেঁচে থাকার সর্বশেষ মুহুর্তপর্যন্ত স্ক্যানো ওয়র্ডে আলোর তাপে রাখা হয়েছিল। সবারই অক্সিজেন চলছিল। নিবিড় পর্যবেক্ষণে বোঝা যাচ্ছিল সেখান থেকে বের করলেই তাৎক্ষনিকই অবস্থা বেগতিক হতো। তাদের জন্য বাইরে নিয়ে চিকিৎসা প্রদানও দুরহ ছিল।
অসুস্থতার কারনে সাদিয়ার বক্তব্য নেয়া যায়নি।
সাদিয়ার পিতা মিজানুর রহমান বলেন পাঁচ সন্তান আসছে জেনে তিনি পাঁচ নাতিদের জন্য তিনি পোশাকসহ প্রয়োজনীয় অনেক জিনিসপত্র কিনে রেখেছিলেন। তিনি বলেন এটি চরম একটি দুর্ভাগ্য।
শিশুদের ছোট ফুফু রাবেয়া খাতুন বলেন আমরা সবাই ২ নভেম্বর থেকেই হাসপাতালে ছিলাম। আমাদের সকল চেষ্টা ছিল বাচ্চাগুলোকে বাঁচিয়ে রাখ্রা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net