December 4, 2024, 12:13 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নে ২০১৬ সালে নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত আওয়ামী লীগ কর্মী মাসুদ করিম হত্যা মামলায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানসহ ৬ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীর যাবজ্জীবন কারদন্ড দিয়েছে আদালত। দন্ডপ্রাপ্ত আসামীদের মধ্যে রয়েছে একই ইউনিয় পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জমান।
বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
যাবজ্জীবন দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) বর্তমান চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান বিশ্বাস (৫৩), তার ভাই হাবিল উদ্দিন বিশ্বাস (৪৯), বাবলু বিশ্বাস (৪৬), একই গ্রামের আক্তারুজ্জামানের ছেলে মাহমুদুল হাসান সবুজ, কামরুজ্জামান বিশ্বাসের ছেলে রাশেদুল ইসলাম বিদ্যুৎ (৩৪) ও মৃত জলিল গাইনের ছেলে মাসুদ গাইন (৩৮)।
রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত চার আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। মাসুদ গাইন ও বিদ্যুৎ পলাতক রয়েছেন।
এ মামলায় তিনজনকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাদেরকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। মামলায় ১৫ জনকে খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৬ সালে ২৮ এপ্রিল সকালে ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আলামপুর ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামে আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বিদ্রোহী প্রার্থীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে মাসুদ করিম নিহত হন।
মাসুদ করিম স্থানীয় মৎস্য খামারি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক আওয়ামী লীগ নেতা সিরাজ উদ্দীন শেখের সমর্থক। তাঁর বাড়ি আলামপুরে ইউনিয়নের দহকুলা গ্রামে।। সংঘর্ষে ঘটনায় উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়। এ ঘটনায় ১৫ জনকে আটক করা হয়।
হত্যার ঘটনায় একই দিন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আখতারুজ্জামানকে প্রধান আসামি করে ২১ জনের বিরুদ্ধে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেন নিহতের ছোট ভাই মাহবুবুল করিম মোল্লা।
মাসুদ দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। দেশে এসে তিনি মাছের ঘেরের ব্যবসা শুরু করেন। তিনি ও পরিবারের সদস্যরা আওয়ামী লীগের সাবেক নেতা সিরাজ উদ্দীন শেখের সমর্থক। এই কারণে তাঁদের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন আখতারুজ্জামান ও তাঁর সমর্থকেরা।
Leave a Reply