November 7, 2025, 3:32 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হলো ২৪,৯৬০ কেজি পপি সিড দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে শীতের আগমন, প্রথম শৈত্যপ্রবাহ আসবে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হবে: সেনাবাহিনী অনার্স ও ডিগ্রি পাস কোর্স/ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর শূন্য থাকে লক্ষাধিক আসন কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা গোয়ালন্দে শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার সেতু/ “আমার ব্যাংক” নামে ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার উদ্যোগ ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো ২৬ টাকা আবারও জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান কুষ্টিয়া চেম্বারের বার্ষিক সাধারণ সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

অভিযোগ জেলেদের/দৌলতপুরে তালিকায় নাম থাকলেও সরকারী অনুদানের গরু পাননি অনেকেই

নাজমুল ইসলাম, দৌলতপুর/
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলায় ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও ব্যব¯’াপনা প্রকল্পের মাধ্যমে জেলেদের মাঝে বকনা গরু বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।
গত (৯ মার্চ) ও (৩ মে) উপজেলার ১৪ ইউনিয়নের মধ্যে রামকৃষ্ণপুর, চিলমারী ও ফিলিপনগর ৩ টি ইউনিয়নে অসচ্ছল জেলেদের প্রথম পর্যায়ে ১৭ জন ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ৮ জনের মাঝে গরু বকনা বাছুর বিতরণ করা হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে, ২৫ জন জেলে খাতা কলমে গরু পেলেও বাস্তবে অনেকেই বরাদ্দকৃত গরু পাননি। একাধিক জেলে উপজেলা মৎস কর্মকর্তা ও ইউনিয়ন চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলছেন অনেকের নামে বরাদ্দের জন্য সরকারী তালিকায় নাম থাকলেও গরু পাননি আবার একই ব্যাক্তির নামে দুটি গরু বরাদ্দ হয়েছে। জেলেরা আরো বলেন ¯’ানীয় চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন হওয়ার কারনে জেলে না হয়েও গরু পেয়েছেন অনেকেই।

দৌলতপুর মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, ইলিশের প্রজনন, বেড়ে ওঠা ও উৎপাদন বাড়াতে ১ মার্চ থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দৌলতপুরে পদ্মা নদীতে ইলিশের অভয়াশ্রমে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকে। উপজেলায় নিবন্ধিত জেলেদের সংখ্যা ১ হাজার ৩শ’রও বেশি । এই সময়ে প্রতিটি জেলে পরিবারকে প্রণোদনা হিসেবে চাল দিয়ে থাকে সরকার। কিš‘ জেলেদের বিকল্প কর্মসং¯’ানের সুযোগ না থাকায় নিষেধাজ্ঞার সময়ও অভাবের কারণে নদীতে ইলিশ শিকারে নামেন তারা। এ পরি¯ি’তি মোকাবেলায় বিকল্প কর্মসং¯’ান হিসাবে মৎস্য বিভাগ জেলেদের মাঝে বিনামূল্যে গরুর বকনা বাছুর বিতরণ কার্যক্রম হাতে নেয়। এ উদ্যোগের আওতায় দৌলতপুর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ২৫ হাজার টাকা মূল্যে ১৭ টি গরু ও দ্বিতীয় পর্যায়ে ২৮ হাজার টাকা মূল্যের ৮টি গরু একটি করে গরুর বকনা বাছুর দিয়েছে উপজেলা মৎস্য বিভাগ।

নাম প্রকাশে অনি”ছুক একাধিক জেলে বলেছে, বরাদ্দ পাচ্ছেন না তারা। ভাগ করে খেয়ে ফেলছেন মৎস অফিসার, ¯’ানীয় চেয়ারম্যান ও তার লোক জন। বৈরাগীর চরের জেলে মোঃ মজিদ প্রামানিক, মোঃ ইদ্রিস আলী, মোঃ শামরুল সরদার খাতা কলমে গরুর বকনা বাছুর পেলেও বাস্তবে তারা কেউ গরু পাননি। বৈরাগীর চরের মোঃ মহন সর্দার, মোঃ ইয়াছিন আলী, মোঃ জয়নুল মন্ডল জেলে না হয়েও চেয়ারম্যানের আ¯’াভাজন হওয়ার সুবাদে গরু পেয়েছেন। আবার বৈরাগীর চরের জেলে মোঃ সাকুব মন্ডল এর নাম তালিকায় দুই যায়গায় আছে।

এ বিষয়ে ফিলিপনগর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মইনুদ্দিন সেন্টুর সাথের কথা হলে তিনি বলেন জেলেদের অনুদানের বিষটি মৌখিক ভাবে তাকে জানানো হলেও জেলেদের গরু দেয়ার বিষয়ে তাকে কিছুই জানানো হয়নি এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে জেলেদের কোন নামের তালিকাও তিনি দেননি বলে জানান।
অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন মৎস অফিসার মিথ্যা কথা বলছেন, তিনি আরও বলেন মৎস অফিসার টাকা খেয়ে এমন অনিয়ম করেছেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা হুসাইন মোহাম্মদ স্বপন এ বিষয়ে বলেন চেয়াম্যানদের জানানো হলে তারা তাদের স্বাক্ষরিত জেলেদের নামের যে লিস্ট দিয়েছে, এন, আই, ডি ধরে যাচাই বাছাই করে তাদেরকেই গরুর বকনা বাছুর দেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন এর মধ্যে যাদের এন, আই, ডির সমস্যা আছে তাদেরকে গরু দেয়া হয়নি। অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন সরকারী অনুদানের গরু জেলেদের মাঝে বিতরণে কোন অনিয়ম হয়নি। আমরা যাচাই বাছাই করে দুই বারে ২৫ জন জেলেদের মাঝে গরুর বকনা বাছুর দিয়েছি। চেয়ারম্যান আমার উপর যে অভিযোগ আনছেন সেটি সম্পুর্ন মিথ্যা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net