October 19, 2025, 6:35 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
বাড়ি ভাতা ৫ শতাংশে শিক্ষকদের অস্বীকৃতি, আন্দোলন অব্যাহত এইচএসসিতে ইংরেজি: দুর্বল ভিত্তি থেকে ফল বিপর্যয় জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা উল্লেখ আছে ছেঁউড়িয়ায় ফকির লালন শাহের ১৩৫তম তিরোধান দিবসের ৩ দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন চাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের ২৪টিতেই ছাত্রশিবিরের জয় রাকসু নির্বাচন/ ২৩ পদের ২০টিতে শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের জয় আওয়ামী আমলের প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠা তিন অভিযোগ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদক সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষাও স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পান করে ৬ জনের মৃত্যু, ৩ জন হাসপাতালে দৌলতদিয়া/ ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ হওয়া ঘাট ৩ ঘন্টা পর স্বাভাবিক

খোকসায় ডিমের বাজার অস্থির/ভোক্তা পর্যায়ে মনিটরিং দাবী ক্রেতাদের

হুমায়ুন কবির, খোকসা/
নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের পুষ্টির চাহিদা একমাত্র বাহক মুরগির ডিম। কিন্তু হঠাৎ করেই গত তিনদিনের মধ্যেই কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার ডিমের বাজার অস্থির হয়ে উঠেছে। ভোক্তা পর্যায়ে মনিটরিংয়ের দাবি উঠেছে ডিম ক্রেতাদের। উপজেলার বাজারের পাইকারি  তিনটা আড়তে ঘুরে দেখা গেছে, গত তিন দিনে প্রায় ২৫ শতাংশের অধিক ডিমের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলতো নিম্নবিত্ত, মধ্যবিত্ত আয়ের মানুষের পুষ্টির চাহিদা এখন হুমকির সম্মুখিন হয়ে পড়েছে বলে স্থানীয় অভিজ্ঞ মহলের দাবি।
এ বিষয়ে খোকসা পৌর বাজারের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার একে অপরকে দুষলেন। সাড়ে ৭ টাকার ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৮ টাকা। খুচরা বাজারে ঐ ডিম প্রতি পিচ বিক্রি হচ্ছে ৯ টাকা করে।
খুচরা বিক্রেতারা বলছেন আড়তদার (মহাজন) পর্যায়ে প্রতি খাচিতে (৩০ টা) ডিমে ৮৫ থেকে ৯০ টাকার বৃদ্ধি পেয়ে বিক্রি হচ্ছে ২৬৫ থেকে ২৭০ টাকায়। ফলে খুচরা বাজারে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা যাচ্ছে।
অপরদিকে আড়তদার বলছে বাজারে ডিমের ঘাড়তি থাকা ও ভোক্তা পর্যায়ে চাহিদা থাকায় গত তিন দিনে ডিমের বাজার বৃদ্ধি পেয়েছে।
উপজেলার ডিম উৎপাদনকারী খামারিরা বলছেন, আগে যে পরিমাণ ডিম উৎপাদন হতো তা বর্তমানে উৎপাদন হচ্ছে না। তারা বলছেন আবহাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে। খামারি পর্যায়ে প্রতি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৮ টাকা করে।
৮ টাকা ডিম বিক্রি করে খামারিদের লস হচ্ছে বলেও দাবি করলেন কোমলাপুরের খামরি জসিম উদ্দিন। তিনি বললেন, পোল্ট্রি ফিডের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমরা এখন এই দামে ডিম বিক্রি করে লোকসান ছাড়া আর কিছুই পাচ্ছিনা। তবে ব্যবসার কারণে ধরে রাখতে হয় তাই ধরে রেখেছি।
উপজেলায় মুরগির ডিম উৎপাদনকারী ৫ টি খামার রয়েছে। তবে স্থানীয় খামারে যে পরিমাণ ডিম উৎপাদন হয় তা দিয়ে উপজেলার চাহিদা পূরণ হয় না। বাইরে থেকে ডিম আমদানি করে উপজেলার ডিমের চাহিদা পূরণ করছেন বলে জানালেন ডিমের স্থানীয় আড়তদাররা।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার পলাশ চন্দ্র রায় বলেন, পোল্ট্রি ফিড ডিম উৎপাদনকারী খামার ও বিপণন কাজে আড়তদারদের মাঝে বড় ধরনের সিন্ডিকেট রয়েছে।
এই খাতে সরকারের হস্তক্ষেপ না থাকায় ইচ্ছা মোতাবেক দাম কমবেশি করেন স্থানীয় আড়তদার খামারি ও খুচরা বিক্রেতাগন। তিনি আরো বলেন, করোনাকালীন সময়ে পাঁচটি খামারিদের মাঝে সরকারের প্রণোদনার অর্থ বিতরণ করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net