November 22, 2024, 12:57 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দেশের ক্রীড়াঙ্গনে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব ও সংগঠক জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার গ্রহণ করেছেন। এদের মধ্যে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দুই কৃতি ক্রীড়াবিদ রয়েছেন।
বুধবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে যুক্ত হয়ে পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল।
বিগত জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সশরীরে উপস্থিত ছিলেন। এবার সশরীরে উপস্থিত থাকতে না পারায় তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ক্রীড়া ব্যক্তিত্বদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আব্দুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন মন্ত্রণালয়ের সচিব মেসবাহ উদ্দিন।
পুরস্কার প্রাপ্তদের মধ্যে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ দুই কৃতি ক্রীড়াবিদ রয়েছেন। এরা হলেন উপাচার্য প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম, সাবেক শিক্ষার্থী এ্যাথলেট কাজল দত্ত ও শাহরিয়া সুলতানা। কাজল দত্ত ও শাহরিয়া দেশ বরেণ্য ভারত্তোলক। শাহরিয়া পেয়েছেন ২০১৭ সাালের পদক ও কাজল পেয়েছেন ২০১৬ সালের ক্যাটেগরিতে অন্যদিকে প্রফেসর ড. শেখ আবদুস সালাম একজন জাতিয় ক্রীড়া সংগঠক।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ২০১৩ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত দেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ৮৫ জন ক্রীড়া ব্যক্তি ও সংগঠককে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য মনোনীত করে। পুরস্কার হিসেবে প্রত্যেকে পাচ্ছেন একটি আঠারো ক্যারেট মানের ২৫ গ্রাম ওজনের স্বর্ণপদক, এক লাখ টাকার চেক এবং একটি সনদপত্র।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বিতীয় পুত্র শহীদ লে. শেখ জামালকে ২০২০ সালের খেলোয়াড় ও সংগঠক হিসেবে (মরণোত্তর) পুরস্কার দেয়া হয়েছে। তার পক্ষে পরিবারের সদস্য এবং খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল পুরস্কার গ্রহণ করেন।
জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারের জন্য পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর ২০১৩ সালের জন্য ৪৯টি, ২০১৪ সালের জন্য ৫৩টি, ২০১৫ সালের জন্য ৩০টি, ২০১৬ সালের জন্য ৩৩টি, ২০১৭ সালের জন্য ৩৯টি এবং ২০১৮ সালের জন্য ৫৮টি ২০১৯ ও ২০২০ সালের জন্য ৭৮টিসহ মোট ৩৪০ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠক আবেদন পত্র জমা দেন।
তথ্য যাচাই বাছাইয়ের জন্য মন্ত্রণালয় ৩টি কমিটি গঠন করে। যাচাই-বাছাই শেষে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রস্তুত করে তারা। তালিকাটি জাতীয় বাছাই কমিটির কাছে পাঠানো হয়। জাতীয় বাছাই কমিটি ২০১৩ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৪ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৫ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৬ সালের জন্য ১৩ জন, ২০১৭ সালের জন্য ১১ জন, ২০১৮ সালের জন্য ১০ জন, ২০১৯ সালের জন্য ১১ জন এবং ২০২০ সালের জন্য ৮ জনসহ সর্বমোট ৮৫ জন ক্রীড়াবিদ ও ক্রীড়া সংগঠককে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার দেয়ার সুপারিশ করে।
Leave a Reply