February 5, 2025, 3:40 pm
শুভব্রত আমান, কুষ্টিয়া
আকস্মিক অভিযান চালিয়ে মহাসড়কের পাশ থেকে পেট্রোল পাম্প উচ্ছেদের প্রতিবাদে বুধবার সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য উত্তরবঙ্গের সব পেট্রোল পাম্প বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়া হয়েছে। রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক ও শ্রমিক ঐক্য পরিষদ এ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে নিজেদের স্বাক্ষরিত একটি বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মিজানুর রহমান রতন এবং বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল।
এদিন রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের বাঘাবাড়ি কার্যালয়ে রাজশাহী বিভাগীয় পেট্রোল পাম্প মালিক ও ডিলার সমিতি, সিরাজগঞ্জ জেলা পেট্রোল পাম্প ও ডিলার মালিক সমিতি, বাঘাবাড়ি ঘাট পাম্প মালিক সমিতি ও উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি সমবায় সমিতি বৈঠক করে। বৈঠকের পর উত্তরবঙ্গ ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আজিজুর রহমান এ ঘোষণা দেন।
ঘোষণার আওতায় বাঘাবাড়ি নৌবন্দর ডিপো থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রাখার কথাও বলা হয়েছে।
সংগঠনটির জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ৪ ফেব্রুয়ারি নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো প্রকার পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি প্রদান না করে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে। এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রোল পাম্প মালিকগণ চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ। আমরা এই অভিযানের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।
এতে আরও বলা হয়, আমরা দীর্ঘদিন ধরে সরকার নির্ধারিত সব নিয়ম-কানুন মেনে ও বৈধ লাইসেন্স অনুসরণ করে ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। নিয়মিত রাজস্ব প্রদান করে আমরা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে চলেছি।
অথচ, দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা পরিচালিত হয়ে আসলেও অতীতে কখনো এমন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত হয়নি। এতে আমাদের মধ্যে উদ্বেগ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।
বাপেওএ, রাজশাহী বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল অভিযোগ করেন, উচ্ছেদেও সময় পাম্পে মিটার ফেলে দেওয়া হয়। অতি উৎসাহিত হয়ে কোথাও ড্রেন খুলে দেওয়া হয় যেন পাম্পে গাড়ি ঢুকতে না পারে। পাম্পেও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
যোগাযোগ করা হলে জলিল অবশ্য স্বীকার করেন কিছু জমিতে প্রতিষ্ঠিত কয়েকটি পাম্প বিরোধপূর্ণ। কিন্তু ২৬ বছরে পুরোনো পাম্পে কখনও এই ধরনের অভিযান দেখা যায়নি।
তিনি দাবি করেন কোনো নোটিশ কিংবা সময় দেয়া হয়েছে এ ধরনের কোনো ডকুমেন্ট তারা দেখাতে পারেনি।
বগুরা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আসাদুজ্জাদান বণিক বার্তাকে জানান, তার জেলাতে বেশ কয়েকটি পাম্প সরকারী জমির উপর স্থাপিত হয়েছে। এই কর্মকর্তা জানান, তার দফতর উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনার আগেই পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি দিয়েছে, নোটিশ টাঙিয়েছে।
তিনি আরও জানান, বিগত ২০১৬ সালে উচ্ছেদ করা অবৈধ পেট্রোল পাম্প পূণরায় স্থাপনের নজির রয়েছে এখানে।
তিনি জানান, তারপরও আলোচনার পথ কোলা রয়েছে। আজকেই সভা হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে।
বণিক বাতার্ প্রতিনিধি, কুষ্টিয়া
Leave a Reply