July 29, 2025, 12:31 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
কুষ্টিয়ায় বিএনপি কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার, চলবে পূর্বের মামলা ধানের রেকর্ড উৎপাদন, আমদানিও প্রচুর তবু চালের দাম বেড়েছে ১১%-১৬% যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির চাপ, এডিবি পূর্বাভাসে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমার শঙ্কা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্বেগ/বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘু সুরক্ষা নিয়ে নতুন রিপোর্ট প্রকাশ রাজবাড়ীতে পদ্মায় ভাঙন/নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও কৃষিজমি নতুন বেতন কমিশন গঠন কুষ্টিয়ায় চাঁদা না দেয়ায় প্রবাসীর বাড়িতে সন্ত্রাসীদের তাণ্ডব: ভাঙচুর-লুটপাট, অস্ত্রের মুখে জিম্মি পরিবার রবিবার থেকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৬৪ থানায় চালু হচ্ছে ‘অনলাইন জিডি’ সেবা কুমারখালীতে নদীতে ডুবে বাবা-ছেলের করুণ মৃত্যু মাইলস্টোনে নিহত রজনীর দাফন সম্পন্ন, শোকস্তব্ধ কুষ্টিয়ার দৌলতপুর

১০ মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি ৪৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চলতি অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই-এপ্রিল) দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতির ঘটনা ঘটেছে। এই ঘাটতির পরিমাণ ৪৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। এ সময়ে বন্দর থেকে রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬২৮ কোটি ২৮ লাখ টাকা। বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৮১ কোটি ৫২ লাখ টাকা। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঘাটতি চিন্থিত হয়েছে এপ্রিল মাসে।
প্রাথমিকভাবে ভারতে পণ্যের দাম বৃদ্ধি, কম পণ্য আমদানি, ডলারের ক্রয়-বিক্রয় মূল্যের পার্থক্য ও বন্দরের শুল্কায়নগত জটিলতার কারণে আমদানি কমায় রাজস্ব ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে মূলত চাল, পেঁয়াজ, ভুট্টা, খৈল, ভুসি এসব পণ্য বেশি আমদানি হয়। আগে প্রচুর পরিমাণ চাল আমদানি হলেও আইপির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ায় ১৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে। পেঁয়াজ আমদানির ক্ষেত্রেও আইপি বন্ধ থাকায় বন্ধ রয়েছে। এ কারনে বাণিজ্য ঘাটতি দেখা দিতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে হিলি স্থলবন্দরে ৭৪০ কোটি টাকা রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সেই মোতাবেক অর্থবছরের প্রথম জুলাই মাসে ৪৫ কোটি নয় লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৫ কোটি ৭৬ লাখ, আগস্ট মাসে ৬০ কোটি ৮৯ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৮ কোটি ৩৯ লাখ, সেপ্টেম্বর মাসে ৫৯ কোটি ৬৬ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৫ কোটি সাত লাখ, অক্টোবর মাসে ৬২ কোটি ৬৫ লাখ টাকার বিপরীতে এসেছে ৬১ কোটি ৮৯ লাখ, নভেম্বর মাসে ৬৫ কোটি ১৯ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৪৩ কোটি ৮৯ লাখ, ডিসেম্বর মাসে ৬৯ কোটি ২১ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৫৩ কোটি ৫৬ লাখ, জানুয়ারি মাসে ৬৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকার বিপরীতে এসেছে ৪৯ কোটি ৩১ লাখ, ফেব্রুয়ারি মাসে ৫১ কোটি ৬১ লাখ টাকার বিপরীতে অর্জিত হয়েছে ৭০ কোটি দুই লাখ, মার্চ মাসে ৭৬ কোটি ৩০ লাখ টাকার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৯৫ কোটি ৭৭ লাখ, এপ্রিল মাসে ৬৯ কোটি ৮৩ লাখ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আহরণ হয়েছে ৪৭ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
এ বিষয়ে বন্দরের আমদানিকারকদের সাতে কথা বলে বেশকিছু সমস্যা চিন্থিত করা গেছে। আমদানিকারকরা বলছেন, ‘বন্দরের নিজস্ব ব্যবস্থাপনাগত ত্রæটি রয়েছে। যার কারনে তারা এ বন্দর ব্যবহারে আগ্রহ হারাচ্ছেন। পণ্য আমদানিতে এখনও ান্য বন্দরের তুলনায় সময় বেশী লাগছে বলেও অভিযোগ করা হচ্ছে।
হিলি কাস্টমস সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ফেরদৌস রহমান জানান, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিশেষ করে শুল্কযুক্ত পণ্য আমদানি করলে এইচএসকোডের ফাঁদে ফেলে অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করা হয়। একই পণ্য অন্য বন্দরে কম শুল্কায়ন করা হলেও এই বন্দরে বাড়তি মূল্যে শুল্কায়ন করার ফলে বেশি শুল্ক পরিশোধ করতে হয় আমদানিকারকদের।
বন্দরের আমদানিকারক নূর ইসলাম জানালেন, ব্যাংকে এলসি করার সময় প্রতি ডলার ১২২ টাকায় কিনতে হচ্ছে। আবার পণ্য আমদানি করে বিল ছাড়ার সময় সেই ডলারের মূল্য দিতে হয় ১২৩ টাকা।
তিনি জানান, কিছু পণ্যের দাম ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাড়িয়ে দিয়েছেন। ফলে পড়তা না পড়ায় আমদানিকারকরা পণ্য আমদানি করছেন না। ১০ থেকে ২০ কেজি পণ্য বেশি হলে সেক্ষেত্রে বেশি শুল্ক দিতে হচ্ছে কাস্টমসে। এসব কারণে আমদানিকারকরা পণ্য আমদানিতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন।’
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রফতানিকারক গ্রুপের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন বলেন, সম্প্রতি ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের কারণে পাঞ্জাব, হরিয়ানা থেকে যেসব পণ্য আসতো সেগুলো আসছে না। এজন্য আমদানি কমেছে। আবার ভারতে দাম বেশি অথচ বাংলাদেশে কম, যেসব পণ্য আমদানি করে লাভবান হতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা। এর প্রভাবেও আমদানি কমেছে।
এই আমদানিকারক জানান, এই বন্দরে যুগ্ম কমিশনারের মতো পদ শুণ্য পড়ে রয়েছে। বিভিন্ন বিষয়ে যথাসময়ে সিদ্ধান্ত গ্রহন বিলম্বিত হবার প্রভাব পড়ছে বাণিজ্যে।
হিলি স্থল শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব কর্মকর্তা নিজাম উদ্দিন ‘রাজস্ব আহরণে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত না হওয়ার কারণ ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ বলে উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, চলতি বছরে বাণিজ্যের বড় নিয়ামক হয়ে উঠেছিল বিনাশুল্কে চাল আমদানি। সেটি বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বাণিজ্যে তার প্রভাব পড়েছে। অন্যদিকে বন্দর দিয়ে প্রচুর পরিমাণ ভুসি আমদানি হলেও সেটি এখন বন্ধ।
তিনি বলেন সামনে কোরবানির ঈদ আছে। মসলাজাতীয় পণ্যের আমদানি বাড়লে রাজস্বের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে তিনি আশা করেন।’

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1234
567891011
12131415161718
19202122232425
262728293031  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net