October 16, 2025, 5:30 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
আওয়ামী আমলের প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠা তিন অভিযোগ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদক সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষাও স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পান করে ৬ জনের মৃত্যু, ৩ জন হাসপাতালে দৌলতদিয়া/ ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ হওয়া ঘাট ৩ ঘন্টা পর স্বাভাবিক অনলাইন জুয়া সম্রাট লিপু সহযোগীসহ সাতক্ষীরায় গ্রেপ্তার, মেহেরপুরে আনা হবে, এসপি নাম আসা সেনা কর্মকর্তাদের মধ্যে ১৫ জন হেফাজতে: সেনাসদর আগামী চার দিন বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকতে পারে বাংলাদেশে ‘বিতর্কিত’ সন্ত্রাসবিরোধী আইনের প্রয়োগ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এইচআরডব্লিউ দৌলতপুরে আলোচিত শুটার লালন গ্রেপ্তার ১০৭ টনেই শেষ বাংলাদেশ-ভারত ইলিশ রপ্তানি

জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পূণঃনিয়োগ পেলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক//
জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে পূণঃনিয়োগ নিয়োগ পেলেন বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মহামান্য রাষ্ট্রপতির নির্দেশক্রমে ৩ মে এই নিয়োগাদেশ দেয়া হয়। এই নিয়োগ প্রজ্ঞাপন জারির দিন থেকে (৩ মে) থেকে অব্যাহত থাকবে। হাসান ফয়েজ বর্তমানে আপিল বিভাগে সিনিয়র জজ।
হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী দেশের শীর্ষ আদালতে ৯০ এর দশকের এক অনন্য ডাকসাইটে আইনজীবী। তিনি আইনজীবিদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন যার হাতে ছিল মামলার দীর্ঘ তালিকা। তিনি ২০ বছর ক্যারিয়ার আইন অনুশীলন করেন। এই সময়ে তিনি অত্যন্ত নিরপেক্ষতার সাথে নানা ধরনের মামলা পরিচালনা করেন। আইনের পক্ষে সত্য ও ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতে ভুমিকা পালন করেন। কেউ কেউ তাঁকে কেবল একবার বা কখনও দেখেননি এমনকি তার নৈমিত্তিক পরিচিতরাও স্বজ্ঞাতভাবে জানেন: ফয়েজ একজন মহান আইনজীবীর চেয়ে বেশি ছিলেন; একজন মহৎ মানুষ।
হাসান ফয়েজের আইনজীবী জীবনের অধ্যায়টি শেষ ২০০১ সালে যখন তৎকালীন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের আওয়ামীলীগ সরকার তাকে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে অতিরিক্ত বিচারক হিসাবে নিয়োগ দেন। তারপরে ২০০৯ সালে তিনি ¯’ায়ী বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে তিনি সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নিয়োগ পান।
বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী ১৯৫৬ সালে কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার রমানাথপুর গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। তাঁর নয় ভাইবোনের মধ্যে তিনি চতুর্থ। তাঁর শৈশবটি তাঁর প্রত্যন্ত গ্রামে কাটে যা একেবারে গড়াই নদীর তীর ঘেঁষে। তিনি গ্রামের আজইল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাথমিক শিক্ষা শেষ করেন। প্রাথমিক সমাপনের পরে তিনি খোকসা উ”চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। ১৯৭২ সালে তিনি খোকসা সরকারী পাইলট উ”চ বিদ্যালয় থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন।
তিনি সাতক্ষীরা আচার্য্য প্রফুল্ল কলেজে ভর্তি হন। ১৯৭৪ সালে তিনি এই কলেজ থেকে উ”চমাধ্যমিক পাস করেন।
তিনি সাতক্ষীরা কলেজে ভর্তি হন এবং ১৯৭৬ সালে স্নাতক পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগে ভর্তি হন। সেখান থেকে তিনি ১৯৭৮ সালে এমএ করেন।
তারপরে তিনি ধানমন্ডি ল কলেজে এলএলবিতে ভর্তি হন এবং ১৯৭৯ সালে আইন ডিগ্রি গহন করেন।
সফলভাবে পড়াশোনা শেষ করার পরে তিনি পেশাদার আইনজীবী হিসাবে তার ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন।
১৯৮১ সালে তিনি ঢাকা বারে যোগদান করেন এবং ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে আইনজীবী তালিকাভুক্ত হন।
তিনি বাংলাদেশের অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসাবেও কাজ করেছেন।
তিনি দেশে বিদেশে বিচারকদের বিভিন্ন সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net