November 8, 2024, 2:15 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, মেহেরপুর/
মেহেরপুরে প্রকল্পের চাল বিক্রি করে নগদায়ন করায় কোনো অনিয়ম হয়নি বলে এ সংক্রান্ত তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দাখিল করেছে। প্রতিবেদনে ৪দিনের তদন্তে প্রকল্প, প্রকল্পের জন্য সংসদ সদস্যের ডিও, জেলা প্রশাসকের অনুমোদন সবগুলো প্রক্রিয়া সঠিকভাবে অনুসরণ করা হয় বলে প্রমান পাওয়া গেছে।
মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্যর অনুকূলে গ্রামীণ অবকাঠোমো উন্নয়ন প্রকল্পের ২০১৯-২০২০ অর্থ বছরে কাবিখা প্রকল্পে ১৬০টি মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেয় সরকার। বরাদ্দের অনুকূলে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ১৩টি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। সংসদ সদস্যের ডিও এবং জেলা প্রশাসকের ছাড়পত্র পাওয়ার পর পিআইসিরা মোট ৩৭ মেট্রিক টন চাল উত্তোলন করেন। প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়ন করতেই প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা চাল বিক্রি করে ইট, বালি ও অন্য উপকরণ কেনাসহ লেবার খরচের যোগান দেন। ওই চাল স্থানীয় এক ব্যবসায়ী কিনে চুয়াডাঙ্গার সাতগাড়িয় এলাকার জনৈক নজরুল ইসলামের দুটি গোডাউনে রাখতে গিয়ে প্রশাসনের নজরে পড়ে। সে সময় চালগুলো জব্দ দেখিয়ে গোডাউন দুটি সিলগালা করে দেন।
গত ৮ জুনের এ ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা প্রশাসন পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। কমিটিতে ৩ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। মেহেরপুর জেলা প্রশাসক ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কর্তৃক তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি নিজ নিজ জেলা প্রশাসকের কাছে এভাবেই প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন।
সোমবার (১৫ জুন) বিকেলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এবং মেহেরপুর জেলা প্রশাসক আতাউল গনি আনুষ্ঠানিকভাবে স্ব স্ব দফতরে এ তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেন।
মেহেরপুর জেলা প্রশাসন গঠিত তদন্ত প্রতিবেদনে দুটি বিষয়ে সুপারিশ করা হয়েছে প্রথমটি প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রকল্প সভাপতিগণের প্রকল্প কমিটির সদস্যদের এবং স্থানীয় উপকারভোগীদের জানানোর বিষয়ে সচেতনতার অভাব ছিলো। এ কারণে জনমনে সন্দেহ হয়েছিল। এছাড়া বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী বরাদ্দকৃত চাল ৬০ ভাগ বিক্রয় করে নগদায়ন করার সুযোগ রয়েছে। দ্বিতীয়টি, প্রকল্প সমূহ যেন সঠিকভাবে বাস্তবায়ন হয় এবং কোনো অনিয়ম যেন না হয় এজন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া যেতে পারে বলে সুপারিশ করা হয়েছে। চাল মালিকদের কাছে চাল বুঝিয়ে দেয়া হবে।
Leave a Reply