November 14, 2024, 1:10 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ায় রেড জোন ঘোষিত এলাকাগুলোতে লকডাউন কার্যকর হবে বৃহস্পতিবার থেকে। ইতোমধ্যে যেসকল এলাকা লকডাউন করা হবে তার ছক প্রণয়ন করা হয়েছে। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখায় এ বিষয়ে কাজ চলছে। এ বিষয়ে মঙ্গলবার (১৬ জুন) কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির সভায় সিদ্ধান্তও নেয়া হয়।
কুষ্টিয়া পৌর এলাকার ৮টি ওর্য়াড ও সদর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নকে করোনা রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। রেড জোনের মধ্যে পড়েছে জেলার ভেড়ামারা ্উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নও।
শহরের যেসকল এলাকা লকডাউনের আওতায় আসছে সেগুলো হলো :
✓১নম্বর ওয়ার্ড – কমলাপুর, থানাপাড়া আংশিক
✓২ নম্বর ওয়ার্ড – কুঠিপাড়া, থানাপাড়া আংশিক
✓৫নম্বর ওয়ার্ড – আদর্শ পাড়া, চৌড়হাস ক্যানাল পাড়া, র্কোটপাড়া আংশিক
✓৬ নম্বর ওয়ার্ড -হাউজিং ব্লক এবিসি ডি-বøক আংশিক
✓৭ নম্বর ওয়ার্ড – কালিশংকরপুর
✓১৮নম্বর ওয়ার্ড – উদিবাড়ি, মজমপুর
✓২০ নং ওয়ার্ড- চৌড়হাস আংশিক জগতি মন্ডলপাড়া কুমারগাড়া চেচুয়া।
( হাইওয়ে ব্যতীত রেড জোন ভুক্ত প্রত্যেক ওয়ার্ডের অলিগলি সব রাস্তা-ই বন্ধ থাকবে ।
যেসব এলাকায় লাখে ৩০ জনের বেশি সংক্রমিত ব্যক্তি থাকবেন, সেসব এলাকাকে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বা রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত করার নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।
এসব এলাকায় কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্প উন্মুক্ত থাকতে পারে, তবে শহর অঞ্চলে এই ধরনের কর্মকান্ড চালানো যাবে না। এই জোনের আওতায় কর্মজীবীরা বাড়ি থেকে কাজ করতে পারবেন, বাইরে যেতে পারবেন না। কোনো ধরনের জনসমাগমও করা যাবে না। কেবল প্রয়োজনীয় পণ্য ও পরিসেবার কাজেই বাইরে চলাচল করা যাবে। রেড জোন হিসেবে চিহ্নিত গ্রামীণ এলাকায় মুদির দোকান ও ফার্মেসি খোলা রাখা গেলেও কোনো ধরনের রেস্তোরাঁ, চায়ের দোকান ও টং দোকান খোলা রাখা যাবে না। গ্রামীণ এলাকায় খোলাবাজার চালানো গেলেও শহরে কোনোভাবেই বাজার খোলা রাখা যাবে না। এক্ষেত্রে হোম ডেলিভারি সার্ভিস চলবে। মুদির দোকান, বাজার ও ফার্মেসির ক্ষেত্রেও হোম ডেলিভারি পদ্ধতিতে চলবে। ।
রেড জোন চিহ্নিত এলাকায় মসজিদ ও ধর্মীয় স্থানে কেবল খাদেম বা কর্মচারীরাই থাকতে পারবেন বলে প্রস্তাব এসেছে। এছাড়াও রেড জোন এলাকায় টপআপ ও এমএফএস সেবা খোলা রাখা গেলেও ব্যাংকিং খাতে কেবল এটিএম বুথ খোলা রাখার কথা বলা হয়েছে। যদি এই জোনে কোনো কৃষি বা ফার্মিং থাকে, তবে এসব জায়গায় যারা যুক্ত তাদের কাজের পরিষেবা বৃদ্ধি করা হতে পারে শিফট ভিত্তিতে। এছাড়া রোগী ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে রেড জোনে স্থানীয়ভাবে ২৪ ঘণ্টা নমুনা সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা থাকবে। বিশেষত দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীর জন্য এই পরিষেবা চালু থাকবে।
এ বিষয়ে কথা বলেন কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফাত পিপিএম (বার)। তিনি জানান জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ যেসকল এলাকা চিহ্নিত করেছে সেকল এলাকা আসছে লকডাউনের আওতায়। তিনি জানান সারাদেশে যেভাবে লকডাউন কার্যকর হবে কুষ্টিয়াতেও সেভাবে করা হবে। তিনি জেলার সকল শ্রেণী পেশার মানুষের সহায়তা কামনা করেছেন।
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আসলাম হোসেন স্বাক্ষরিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে উল্লেখিত এলাকাসমুহে কোনপ্রকার ব্যক্তিগত, সামাজিক, শারিরীক ও রাজনৈতিক গণজমায়েত করা যাবে না। সরকার ঘোষিত জরুরী সেবাসমুহে নিয়োজিত যানবাহন ছাড়া সকল প্রকার যান চলাচল বন্ধ থাকবে।
Leave a Reply