May 20, 2025, 2:53 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
একমাসে সারাদেশে ৪৮,৪০০, গড়ে দৈনিক গ্রেপ্তার ১৫৬০ জন এজেন্ট ব্যাংকিং/ঋণ বিতরণে প্রবৃদ্ধি ৬১.৬%, সেবাতেও অগ্রগতি, বলছে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রেপ্তার কুষ্টিয়া আ.লীগ ও যুবলীগের ৩ নেতা কারাগারে ১০ মাসে হিলি স্থলবন্দরে রাজস্ব ঘাটতি ৪৬ কোটি ৭৬ লাখ টাকা ভারতে অনুপ্রবেশ ও বসবাসের চেষ্টা/ ভারতে শতাধিক বাংলাদেশি আটক ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশি পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাংলাদেশকে বাদ দিয়ে ‍সেভেন সিস্টার্সকে যুক্ত করতে নতুন প্রকল্প ভারতের মাগুরায় শিশু ধর্ষণ ও হত্যা/প্রধান আসামীর ফাঁসি, ৩ জন খালাস ফারাক্কার প্রভাব/অর্ধেক হয়ে গেছে একসময়ের প্রমত্তা পদ্মার আয়তন, মৃতপ্রায় শাখা নদীগুলোও তিস্তার পর ফারাক্কা বাঁধ এলাকায় মকড্রিল করল ভারতীয় সেনাবাহিনী

হুমায়ুন আজাদ হত্যা/ ১৬ বছর ধরে বিচার কার্যক্রম চলছে

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
দেশের প্রধানতম প্রথা-বিরোধী প্রগতিবাদী লেখক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড. হুমায়ুন আজাদ হত্যার ১৬ বছর পেরিয়ে গেলেও দুটি মামলার বিচার কার্যক্রম শেষ হয়নি। হুমায়ুন আজাদ হত্যায় হওয়া দু’টি মামলা ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীনের আদালতে বিচারাধীন।
এর মধ্যে হত্যা মামলায় আসামিপক্ষের সাফাই সাক্ষ্যের জন্য ও বিস্ফোরক মামলায় সাক্ষ্যগ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। হত্যা মামলায় আসামিপক্ষ সাফাই সাক্ষী না দিলে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে মামলার রায়ের জন্য দিন ধার্য করা হবে। হত্যা মামলায় ৫৮ সাক্ষীর মধ্যে তদন্ত কর্মকর্তাসহ ৪১ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। আর বিস্ফোরক আইনের মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ১০ জন।
এর মধ্যে হত্যা মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যপ্রমাণ যথাযথভাবে প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছে বলে মনে করে রাষ্ট্রপক্ষ।
তাদের আশা, খুব শিগগির মামলাটির রায়ের জন্য দিন ধার্য হবে এবং আসামিদের সবোচ্চ সাজা হবে।
২০০৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের সামনে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হন হুমায়ুন আজাদ। তাকে চাপাতি ও কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ঘটনার পরদিন হুমায়ুন আজাদের ভাই মঞ্জুর কবির রমনা থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করেন। তিনি ২২ দিন সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) এবং ৪৮ দিন ব্যাংককে চিকিৎসা নেন। সবশেষ জার্মানির মিউনিখে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একই বছরের ১২ আগস্ট তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। হুমায়ুন আজাদ মারা যাওয়ার পর ওই মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তর হয়।
ঘটনার ৮ বছর পর ২০১২ সালের ৩০ এপ্রিল সিআইডির পরিদর্শক লুৎফর রহমান পাঁচজনকে অভিযুক্ত করে হত্যা এবং বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের পৃথক দু’টি মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
ওই মামলার আসামিরা হলেন- জেএমবির শুরা সদস্য মিজানুর রহমান ওরফে মিনহাজ ওরফে শফিক, আনোয়ার আলম ওরফে ভাগ্নে শহিদ, সালেহীন ওরফে সালাহউদ্দিন, হাফিজ মাহমুদ ও নূর মোহাম্মদ ওরফে সাবু। এর মধ্যে মিনহাজ ও আনোয়ার কারাগারে আছেন। তারা দু’জনই ঘটনায় সম্পৃক্ততার বিষয়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। সালাহউদ্দিন ও নূর মোহাম্মদ পলাতক। আর হাফিজ মারা গেছে।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ঢাকার মহানগর আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু আশা করছেন হত্যা মামলাটি দ্রুতই বিচার শেষে রায়ের জন্য আসবে।
তিনি বলেন, হুমায়ুন আজাদ হত্যা মামলায় আসামি পক্ষের সাফাই সাক্ষ্যের জন্য দিন ধার্য রয়েছে। পরবর্তী তারিখে আসামিরা সাফাই সাক্ষী না দিলে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করা হবে। এরপরই মামলার রায় ঘোষণা হবে।
আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা হবে আশা করে তিনি বলেন, আমরা রাষ্ট্রপক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণ করতে সক্ষম হয়েছি। তাদের সর্বোচ্চ সাজার ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।
আর বিস্ফোরক মামলার বিষয়ে আব্দুল্লাহ আবু বলেন, বিস্ফোরক মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। সাক্ষীদের আদালতে আনতে আমরা কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net