August 2, 2025, 3:16 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
আজ থেকেই কার্যকর/ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দেশে প্রতি চারজনের একজন বহুমাত্রিক দরিদ্র, শিশুদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বছরে ১০-১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: মানুষের প্রকৃত আয় এখনো ঋণাত্মক হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স/১ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোরে মামলা গোপন তৎপরতার আশঙ্কা: ১১ দিনের ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে পুলিশ বিনিয়োগে স্থবিরতা, ভোগ কমেছে জুনে এলসি খোলা ৫ বছরে সর্বনিম্নে কুষ্টিয়ায় বিএনপি কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার, চলবে পূর্বের মামলা ধানের রেকর্ড উৎপাদন, আমদানিও প্রচুর তবু চালের দাম বেড়েছে ১১%-১৬% যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির চাপ, এডিবি পূর্বাভাসে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমার শঙ্কা

আবার পুরোদমে চলছে জিকে সেচ পাম্প

জাহিদুজ্জামান/ 

ফারাক্কা পানি চুক্তির কারণে ১০দিন অন্তর কিছুটা করে পানি দিচ্ছে ভারত। সেসময়ে চালু থাকছে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প গঙ্গা-কপোতাক্ষ’র (জিকে) সেচ পাম্প। সবশেষ ২৫ এপ্রিল জিকের দুটি পাম্প দিয়ে পানি সরবরাহ চালু হয়েছে। এ মৌসুমে সেচ নিয়ে আর সমস্যা হবে না বলে আশা করেছে জিকে কর্তৃপক্ষ। যদিও পদ্মায় পানি প্রবাহ কমে যাওয়ায় এ মৌসুমেই দু’ দফায় ১৮ দিন বন্ধ রাখতে হয় সেচ সরবরাহ।

 

১৯৯৬ সালে সাক্ষরিত গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি মোতাবেক নদীতে পানি কমে গেলে ১১ মার্চ থেকে ১০ মে পর্যন্ত ১০ দিন করে একেক দেশ ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে। অন্যদেশ পাবে অবশিষ্ট পানি। চুক্তি মোতাবেক বাংলাদেশ গ্যারান্টিযুক্ত ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি পাবে ১১-২০ মার্চ, ১-১০ এপ্রিল এবং ২১-৩০ এপ্রিল। বাকী সময়গুলোতে ভারত পাবে গ্যারান্টিযুক্ত ৩৫ হাজার কিউসেক করে পানি। সে অনুযায়ী এখন অর্থাৎ ২১-৩০ এপ্রিল বাংলাদেশের প্রাপ্যতার সময়। ২১ এপ্রিল ফারাক্কা থেকে পানি দেয়ার কথা বলা হলেও বাংলাদেশে পদ্মা নদীতে প্রবাহ বাড়তে সময় লেগেছে আরো ৫দিন। ২৫ এপ্রিল সকালে চালু করা সম্ভব হয়েছে জিকের সেচ পাম্প। কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় অবস্থিত এই পাম্প হাউজের নির্বাহী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, এখন আবার পুরোদমে সেচ সরবরাহ করা হচ্ছে। ইনটেক চ্যানেলে ৪ দশমিক ৪ মিটার আরএল (রিডিউসড লেবেল) পানি পাওয়া যাচ্ছে।  তিনি বলেন, ডিসচার্জ চ্যানেলে এখন ১৩শ ৫০ কিউসেক পানি প্রবাহিত হচ্ছে। তিনি বলেন, এই সেচ দিয়েই বোরো ধান ঘরে উঠে যাবে। সামনে বৃষ্টিও এসে যাবে। তখন নদীর পানিও বৃদ্ধি পাবে। কৃষকের আর সমস্যা থাকবে না বলেও আশা করেন তিনি। তবে ১লা মে থেকে ভারত আবার পানি প্রত্যাহার করে নিলে এবং এর মধ্যে বৃষ্টি বা অন্যকোন কারণে গঙ্গায় পানি প্রবাহ না বাড়লে আবার সংকটের আশঙ্কা থেকেই যাচ্ছে।

এবছর ২১ মার্চ থেকে চুক্তি মোতাবেক ভারত পানি প্রত্যাহার করে নিলে পদ্মায় পানি প্রবাহ কমতে থাকে। ২৬ মার্চ এসে দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প জিকের প্রধান দুটি পাম্পের পানি সরবরাহ বন্ধ করে দিতে বাধ্য হন কর্তৃপক্ষ। পরে পানি বাড়লে ২ এপ্রিল থেকে স্বল্পমাত্রায় পাম্প চালু করা সম্ভব হয়। ৬ এপ্রিল থেকে পূর্ণ মাত্রায় সেচ সরবরাহ করা হয়।

আবার ১১ এপ্রিল থেকে চুক্তি মোতাবেক ভারত পানি প্রত্যাহার করে নিলে ১৬ এপ্রিল এসে জিকের পানি সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়। সেটি চালু হলো ২৫ এপ্রিল।

কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় পদ্মা নদী থেকে চ্যানেলের মাধ্যমে পানি এনে পাম্প করে কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলার কৃষকদের জন্য সরবরাহ করা হয় এই প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রকৌশলী মিজানুর রহমান সাংবাদিক জাহিদুজ্জামানকে বলেন, এপ্রিলের দ্বিতীয় ধাপে পাম্প হাউজের ইনটেক চ্যানেলে এবার সবচেয়ে কম উচ্চতায় পানি পাওয়া গেছে। ৩.৯৬ মিটার আরএল পানি এসেছে। কয়েকমাস এ অঞ্চলে বৃষ্টি না হওয়াতেও সমস্যা আরো বেড়েছে বলেও মনে করেন তিনি।

মাঝে মধ্যে সেচ সরবরাহ বন্ধ থাকায় বিপাকে পড়েন কৃষকরা। কুষ্টিয়া সদরের কৃষক মোহাম্মদ আলী বলেন, দেরীতে লাগোনো বোরো ধানে এখনো জিকের পানি দরকার। অনেকেই জিকের সেচ না পেয়ে স্যালো মেশিন দিয়ে মাটির নিচ থেকে পানি তুলে সেচ দিচ্ছেন। এতে খরচ বেশি হয়েছে- জাহিদুজ্জামানকে বলেন কৃষক মোহাম্মদ আলী।

কুষ্টিয়া জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শ্যামল কুমার বিশ্বাস বলেছেন, নিরবচ্ছিন্ন সেচ না পাওয়ায় জিকের আওতাভূক্ত কৃষকদের বোরো ধানের ফলন কমে যাবে। তিনি বলেন, জেলায় এবার মোট ৩৫ হাজার হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে জিকে সেচের আওতায় আছে ৬ হাজার হেক্টর।

কুষ্টিয়া অঞ্চলের চার জেলায় কৃষকদের জন্য সেচ দিতে গঙ্গা-কপোতাক্ষ (জিকে) সেচ প্রকল্পের পাম্প দুটি গত ১৫ এবং ১৭ জানুয়ারি চালু করা হয়। এই প্রকল্পের আওতায় এবার কুষ্টিয়া, চুয়াডাঙ্গা, মাগুরা ও ঝিনাইদহ জেলায় ১৯৪ কিলোমিটার প্রধান খালের মাধ্যমে বোরো, আউশ ও আমন মৌসুম মিলিয়ে ৯৬ হাজার ৬শ ১৬ হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা দেয়ার লক্ষমাত্রা ধরা হয়। অক্টোবর মাস পর্যন্ত সেচ সরবরাহ চালু রাখার কথা রয়েছে।

 

এদিকে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্যমতে রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের উপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আগামী শুক্রবার পর্যন্ত এ অবস্থা চলতে থাকবে। এরপর বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন, চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net