December 27, 2024, 1:16 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়ায় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এক বহিস্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীর বিদ্রোহ করার জের ধরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী ও পুলিশের সাথে দীর্ঘক্ষণ সংঘর্ষের পর অবশেষে তিনি দল থেকে বহিস্কার হয়েছেন। সংর্ঘষে আহত হয়েছে পুলিশসহ প্রায় ২০ নেতা-কর্মী।
তবে এ বিদ্রোহী নেতার কোন দলীয় পদ পদবী নেই বলে জানা গেছে। কিন্তু তিনি ইউপি নির্বাচনে আওয়ামী লীগের স্থানীয় দলীয় ফোরাম থেকে ইউপি চেয়ারম্যান পদে নির্বাচনের জন্য সুপারিশ
বিদ্রোহী ঐ নেতার বহিস্কারের সাথে সাথে বহিস্কারের সুপারিশ প্রাপ্ত হয়েছেন আরো একজন বিদ্রোহী প্রার্থী। তবে এজন এই সংঘর্ষে ছিলেন না।
ঘটনা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নে ঘটেছে মঙ্গলবার।
ঘটনায় আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী, বিদ্রোহী প্রার্থী ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ প্রায় ২০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ও টিয়ার গ্যাস বর্ষণ করে।
জানা গেছে, ঐ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ প্রার্থী জেলা কৃষক লীগের সভাপতি মোমিন মন্ডল। বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছেন আরো একজন। এই বিদ্রোহী প্রার্থীদের একজন মিজানুর রহমান মিন্টু ওরফে মিন্টু ফকির। নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন তিনি। তার নামও সুুপারিশ করা হয় বলে জানা গেছে। কিন্তু দলের হাই কমান্ড থেকে তাকে এন্টারটেইন করেনি।
জানা গেছে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে ২০০৯ এর পর যারা দলে ভীঁড়েছে তাদের ব্যাপারে নেগেটিভ দৃষ্টিভঙ্গি দেখানো হয়। পলে মনোনয়র পান বর্তমান চেয়ারম্যান মোমিন মন্ডল।
আজ (মঙ্গলবার) বটতৈল মোড়ে মিন্টু ফকির জনসভার আয়োজন করে। সেখানে একই সময়ে জনসভার ঘোষণা দেয় আওয়ামী লীগ প্রার্থী মোমিন মন্ডল। সকাল থেকে টান টান উত্তেজনা চলছিল এলাকায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাব্বিরুল আলম জানান বেলা ২টার দিকে দুই গ্রæপের সংর্ঘষ বাধে। এতে আহত হন বিদ্রোহী প্রার্থী মিন্টু ফকির।
মিন্টুর আহতের খবর ছড়িয়ে পড়লে উভয় গ্রæপ সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এতে উভয় গ্রæপের আহত হয় প্রায় ২০ জন।
পুলিশ গোলমাল থামাতে গেলে বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা পুলিশের উপর হামলা চালায় এতে এক পুলিশ সদস্য আহত হন।
পরে পুলিশ উভয় পক্ষকে ছত্রভংগ করতে প্রথমে লাঠিচার্জ পরে কাঁদানে গ্যাস ও ফাঁকা বুলেট নিক্ষেপ করে। প্রায় দুই ঘন্টা পর পরিস্থিতি শান্ত হয়।
যোগাযোগ করা আওয়ামী লীগের প্রার্থী মোমিন মন্ডল মিন্টু ফকিরকে অনুপ্রবেশকারী আখ্যা দিয়ে বলেন এরাই আওয়ামী লীগের সকল অর্জন ধংস করে দিচ্ছে।
মিন্টু ফকিরের সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। ওসি সাব্বিরুল জানান পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে।
এদিকে সোমবার কুষ্টিয়া সদর উপজেলা আওয়মী লীগের সভাপতি এডভোকেট আক্তারুজ্জামান মাসুম ও সাধারণ সম্পাদক রেজাউল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে দেখা যায় দলের মনোনিত প্রার্থীদের বিপরিতে নিজেদের বিদ্রোহী প্রার্থী ঘোষনা করার অপরাধে দল থেকে বহিস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে মিজানুর রহমান মিন্টু ওরফে মিন্টু ফকির ও অপর প্রার্থী ডা. মিজানুর রহমানকে।
Leave a Reply