November 22, 2024, 1:20 pm
আওয়ামী লীগ নেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকীকে হত্যার ঘটনায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) এক কেন্দ্রীয় নেতা ও তার ভাইসহ ভেড়ামারা থানায় ২০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ভেড়ামারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবুর রহমান শনিবার রাতে মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন মামলায় জাসদের ২০ নেতাকর্মীকে আসামি করা হয়েছে। আসামির তালিকায় জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম স্বপন ও তার ছোট ভাই চাঁদগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাফিজ তপনও রয়েছেন।
ওসি বলেন, পুলিশ আগে তদন্ত করবে তারপর এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেবে।
শুক্রবার সকালে চাঁদগ্রাম ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক (৫০)কে অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বৃত্তরা গুলি করে হত্যা করে। এ ঘটনায় সিদ্দিকীর ছোট তিন ভাই ও ছেলেও গুলিবিদ্ধ হন। সকাল ৯টার দিকে চরপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, সিদ্দিক মাঠে কাজ করছিলেন। হঠাৎ সেখানে ৪/৫ জনের একটি দল অস্ত্র হাতে হাজির হয়ে নির্বিচারে গুলি চালাতে থাকে। এতে সিদ্দিকীসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন। সন্ত্রাসীরা চলে গেলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে ভেড়ামারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সিদ্দিককে মৃত ঘোষণা করেন।
ঘটনার পর স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা হত্যাকাণ্ডের জন্য স্থানীয় জাসদকে দায়ী করতে থাকেন। এমনকি শুক্রবার এ ঘটনায় স্থানীয় জাসদ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের ঘোষণা দেন তারা।
উল্লেখ্য যে, জাসদ কেন্দ্রীয়ভাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের অন্যতম শরীক দল হলেও কুষ্টিয়া-২ আসনে (ভেড়ামারা-মিরপুর) সম্পর্ক অত্যন্ত খুব ভাল নয় যেখানে জাসদের কেন্দ্রীয় সভাপতি ও জোট সরকারের সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু ২০০৮ সাল থেকে আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আসছেন। উভয় দলের মধ্যে গত ১২ বছরে প্রায় ২০-২২টি সংঘর্ষে আওয়ামী লীগের তিন নেতাকর্মী নিহত হয়েছেন।
মামলার প্রধান আসামি জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও কুষ্টিয়া জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম স্বপন ডেইলি স্টারকে বলেন, সিদ্দিক হত্যা স্থানীয় দুটি পরিবারের পূর্ব শত্রুতারই ধারাবাহিকতা।
এছাড়া, ভেড়ামারা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিক উল আলম চুনু যিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুল উল আলম হানিফের বড় ভাই জানান, হত্যাকারীরা স্থানীয় জাসদ কর্মী বলে ইতোমধ্যে চিহ্নিত হয়েছে। জাসদ নেতাদের নির্দেশেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
Leave a Reply