August 4, 2025, 7:56 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
জাতীয় নাগরিক পার্টির ২৪ দফা ইশতেহার ঘোষণা জাতিসংঘের প্রতিবেদনের মূল্য দেয় না কেউ, ভেসে যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা : খোদ জাতিসংঘ হাজার কোটি টাকার গড়াই নদী খনন/ দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা, সঠিক ব্যবস্থাপনা ও স্বচ্ছতার অভাবে ব্যর্থতা ৫ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র উপস্থাপন মেহেরপুর সীমান্ত দিয়ে নারী-শিশুসহ ১৭ বাংলাদেশিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করল বিএসএফ কার্যকর/ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দেশে প্রতি চারজনের একজন বহুমাত্রিক দরিদ্র, শিশুদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বছরে ১০-১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: মানুষের প্রকৃত আয় এখনো ঋণাত্মক হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স/১ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোরে মামলা

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ/ছয় নিত্যপণ্য আমদানির নিশ্চয়তা দেবে ভারত এই অপেক্ষায় বাংলাদেশ

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে কিছু নিত্যপণ্য আমদানির সংকট মোকাবিলায় ছয়টি পণ্য আমদানি করতে ভারতের কাছে কোটা চেয়ে এখনও অপেক্ষা করছে বাংলাদেশ। তবে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ মনে করে, বাংলাদেশের পক্ষ থেকে যে পরিমাণ পণ্যের আমদানি কোটা চাওয়া হয়েছে তা পরিমানের দিক থেকে অনেক বেশি। বাংলাদেশের জন্য এতো পরিমাণ পণ্যের প্রয়োজন হয় না। তাই বিষয়টি বিচার-বিশ্লেষণ করছে তারা। পণ্যগুলো হলো চাল, গম, চিনি, পেঁয়াজ, আদা ও রসুন।
নয়াদিল্লিতে গত ২২-২৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারত বাণিজ্যমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঐ পণ্যগুলো আমদানিতে বার্ষিক কোটা চায় বাংলাদেশ। কোটা পাওয়া গেলে ভারত যখন-তখন বাংলাদেশে এসব পণ্য রফতানি বন্ধ করে দিতে পারবে না।
ভুটান ও মালদ্বীপকে এ কোটা-সুবিধা দিয়ে আসছে ভারত।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, চাল, চিনি, ডাল, আদা, রসুন, পেঁয়াজসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের একটি অংশের চাহিদা পূরণ করা হয় ভারত থেকে আমদানির মাধ্যমে। কিন্তু ভারত নানা পরিস্থিতিতে মাঝেমধ্যে বাংলাদেশে নিত্যপণ্য রফতানি বন্ধ করে দেয়। একশ্রেণির ব্যবসায়ীরা এই সুযোগে পুরো বাজারকে অস্থিতিশীল করে তোলে। তবে নিত্যপণ্যে আমদানিতে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষ ভারত সরকার কাছ থেকে কোটা সুবিধা পাওয়ার পর ভারত যে কোনও কারণে পণ্য রফতানি বন্ধ করলেও বাংলাদেশ ওই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না।
উল্লেখ্য, বিদেশ থেকে পণ্য আমদানিতে দ্বিতীয় অবস্থান হচ্ছে ভারত। প্রথম অবস্থানে রয়েছে চীন। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১ হাজার ৩৬৯ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করা হয়েছে ভারত থেকে। এর মধ্যে খাদ্যশস্য হচ্ছে ২২০ কোটি মার্কিন ডলারের। এছাড়া চিনি আমদানি করা হয় ৭৭ কোটি ডলারের। এর আগের অর্থবছরে অর্থাৎ ২০২০-২১ অর্থবছরে ভারত থেকে পণ্য আমদানি করা হয় ৮৫৯ কোটি ডলারের। যার মধ্যে খাদ্যশস্য আমদানির পরিমাণ হচ্ছে ১০০ কোটি ডলারের। ওই বছর শুধু চিনি আমদানি করা হয় ৭০ কোটি ডলারের।
আমদানির বার্ষিক কোটার মধ্যে চালের পরিমাণ ১৫ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে সরকারিভাবে ৮-১০ লাখ এবং বেসরাকরিভাবে ৫-৭ লাখ মেট্রিক টন আমদানির কোটা চাওয়া হয়েছে। এছাড়া গম আমদানির কোটা সুবিধা চাওয়া হয় ২০ লাখ মেট্রিক টনের, যার মধ্যে সরকারিভাবে ৫ থেকে ৭ লাখ এবং বেসরকারি পর্যায়ে ২০ লাখ মেট্রিক টন। অপর চারটি পণ্যের মধ্যে চিনি ১০ লাখ মেট্রিক টন, পেঁয়াজ ৬ লাখ টন, আদা এক লাখ মেট্রিক টন এবং রসুন ৫০ হাজার মেট্রিক টন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
282930  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net