November 22, 2024, 11:54 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করে দেশ পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান।
তিনি বলেন. সমস্ত রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। তারা এসেছিলেন। আমরা সুন্দর আলোচনা করেছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে একটা অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করবো এবং এই সরকারের মাধ্যমে দেশের সব কার্যকলাপ চলবে। আমরা এখন মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যাবো। তার কাছে গিয়ে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের বিষয়ে আলোচনা করে দেশ পরিচালনা করবো।
সেনাপ্রধান বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি সব হত্যা, সব অন্যায়ের বিচার আমরা করবো। আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। আমি সব দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। আপনাদের জানমাল। আপনাদের কথা দিচ্ছি, আপনারা আশাহত হবেন না। ইনশাআল্লাহ আপনাদের যত দাবি আছে সেগুলো আমরা পূরণ করবো এবং দেশে একটা শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো। আপনারা আমার সাথে সহযোগিতা করেন। দয়া করে আর এই ভাঙচুর, হত্যা, মারামারি, সংঘর্ষ থেকে বিরত হন।
সেনাপ্রধান আরও বলেন আমি নিশ্চিত যে আপনারা যদি আমার কথামতো চলেন, আমাদের সাথে যদি কাজ করি আমরা। নিঃসন্দেহে আমরা একটা সুন্দর পরিণতির দিকে অগ্রসর হতে পারবো। আপনারা আমাকে দয়া করে সাহায্য করেন। মারামারি করে এই সংঘাতের মাধ্যমে আমরা আর কিছু অর্জন (অ্যাচিভ) করতে পারবো না। আর কিছু পাবো না।
তিনি বলেন, সুতরাং দয়া করে আপনারা সমস্ত ধ্বংসযজ্ঞ, সমস্ত অরাজকতা, সমস্ত সংঘর্ষ থেকে বিরত হন। এবং ইনশাআল্লাহ আমরা সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে অগ্রসর হবো।
সেনাপ্রধান বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি সব হত্যা, সব অন্যায়ের বিচার আমরা করবো। আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখেন। আমি সব দায়দায়িত্ব নিচ্ছি। দেশে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনবো।
দেশবাসীকে ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আপনারা কিছু সময় দেন, ইনশাআল্লাহ্ সবাই মিলে সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে সক্ষম হবো। আমি কথা দিচ্ছি, সমস্ত হত্যার বিচার করবো। আপনারা সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা রাখুন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতি আস্থা রাখুন, আমি সমস্ত দায়দায়িত্ব নিচ্ছি।
অসমর্থিত সূত্রে আলোচনায় যারা/
এদিকে, সেনাপ্রধানের ভাষণের পর অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে কারা থাকছেন সেই আলোচনা চলছে সর্বত্র। এর মধ্যে ১৮ জনের একটি নামের তালিকা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে।
অন্তর্র্বতীকালীন সরকারে যাদের নাম আলোচনায় আছে তারা হলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক (ডিজি) লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরী, বুয়েটের অধ্যাপক ইকরামুল হক, সাবেক পরিবেশ সচিব ড. মাহফুজুল হক, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিস ট্রাস্টের সাবেক পরিচালক ব্যারিস্টার সারা হোসেন, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব তৌহিদ হোসেন, পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা, বিজিবির সাবেক ডিজি লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মঈনুল ইসলাম, নিউএইজ-এর সম্পাদক নুরুল কবির, সাবেক সচিব মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) গোলাম হেলাল মোরশেদ খান, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খান, সুজন সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, আইনজীবী শাহদীন মালিক, অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক আনন্দ কুমার সাহা এবং চাকমা সার্কেল চিফের উপদেষ্টা রানি ইয়ান ইয়ান।
Leave a Reply