May 9, 2025, 6:31 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চলতি ২০২৪–২৫ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে যশোরের বেনাপোল কাস্টমস হাউসে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ৩৮ কোটি ১৯ লাখ টাকা বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে।
কাস্টমস সূত্র জানায়, ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যের বিপরীতে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৫ হাজার ৬৬ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে তুলনায় আদায় হয়েছে ৫ হাজার ১০৪ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। আগের অর্থবছর ২০২৩–২৪-এ এনবিআর রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিল ৫ হাজার ৯৪৮ কোটি টাকা, সেখানে আদায় হয়েছিল ৬ হাজার ১৬৪ কোটি ৫৯ লাখ টাকা।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা জানান, বৈশ্বিক মন্দা, ডলারের দামের ঊর্ধ্বগতি ও সংকটের অজুহাতে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কয়েক বছর ধরে এলসির সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে। এতে আমদানি হ্রাস পাওয়ায় বিগত কয়েক বছর রাজস্ব ঘাটতির মুখে পড়তে হয়েছে। তবে গত বছর থেকে উচ্চ শুল্কহারযুক্ত পণ্যের আমদানি বেড়েছে এবং শিল্প-কারখানার জন্য প্রয়োজনীয় মালামাল আসতে শুরু করায় রাজস্ব আদায় বাড়তে শুরু করেছে।
বেনাপোল আমদানি-রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক জানান, বর্তমানে ডলার সংকট অনেকটাই কেটে যাওয়ায় ব্যাংকগুলো এলসি খোলায় আগ্রহ দেখাচ্ছে। এর ফলে আমদানি বাড়ছে এবং স্বাভাবিকভাবেই রাজস্ব আদায়ও বাড়ছে। পাশাপাশি সরকার হঠাৎ করে কিছু পণ্যের ওপর আমদানি শুল্ক বাড়ানোয় কাস্টমসের রাজস্ব আদায়েও ইতিবাচক প্রভাব পড়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে আরও জানা যায়, ২০২২–২৩ অর্থবছরে আমদানি হয়েছিল ১৪ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন, ২০২১–২২ অর্থবছরে ২১ লাখ ১৪ হাজার মেট্রিক টন, ২০২০–২১ অর্থবছরে ২৬ লাখ ৪৪ হাজার মেট্রিক টন, ২০১৯–২০ অর্থবছরে ২০ লাখ ৩৮ হাজার ৬৪ মেট্রিক টন এবং ২০১৮–১৯ অর্থবছরে ২০ লাখ ১১ হাজার ৬ মেট্রিক টন পণ্য।
ভারত–বাংলাদেশ ল্যান্ডপোর্ট ইমপোর্ট-এক্সপোর্ট কমিটির পরিচালক মতিয়ার রহমান জানান, চলতি অর্থবছরে উচ্চ শুল্কযুক্ত মালামাল বেনাপোল বন্দর দিয়ে বেশি পরিমাণে এসেছে। ফলে কাস্টমসের রাজস্ব আদায় উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।
বেনাপোল কাস্টমসের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান জানান, “গত চার থেকে পাঁচ মাস ধরে ডলারের সংকট নেই। ব্যবসায়ীরা নির্বিঘ্নে এলসি খুলতে পারছেন, যার ফলে আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। পাশাপাশি কাস্টমস কর্মকর্তারা দ্রুততার সঙ্গে পণ্য ছাড় করছেন এবং সরকারের শুল্কহার বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের কারণে লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় বেশি রাজস্ব আদায় সম্ভব হয়েছে।”
Leave a Reply