September 27, 2025, 2:51 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টা ৬ মিনিটে বিমানটি উড্ডয়ন করার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনা ঘটে। এতে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৯ জন নিহত হয়েছেন এবং গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ২৫ জনকে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আহত হয়েছেন শতাধিক শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও সাধারণ মানুষ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জাহেদ কামাল বিকেল পৌনে ৫টার দিকে দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে নিহতের সংখ্যা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, আহতদের মধ্যে বেশিরভাগের শরীরেই আগুনে পোড়ার চিহ্ন রয়েছে এবং তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
উত্তরা আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. অমল কান্তি নাথ জানান, আহতদের মধ্যে অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ জনকে বার্ন ইউনিটে রেফার করা হয়েছে। তিনি বলেন, “অনেকের দেহের বিভিন্ন অংশ দগ্ধ হয়েছে এবং কারও কারও শ্বাসনালিতেও ধোঁয়ার প্রভাব পড়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
দুর্ঘটনার সময় স্কুলে প্রথম থেকে সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠদান চলছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ ও আগুনের গোলায় শিক্ষার্থীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। অনেকেই কান্নায় ভেঙে পড়ে, কেউ ক্লাসরুম ছেড়ে বাইরে চলে আসে। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়লে অভিভাবকরা ছুটে আসেন সন্তানদের খোঁজে, কলেজের সামনে উদ্বিগ্ন অভিভাবকদের ভিড় জমে।
মাইলস্টোন কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা বুলবুল আহমেদ বলেন, “শ্রেণিকক্ষে পাঠদান চলাকালে হঠাৎ বিকট শব্দে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেন এবং আহতদের হাসপাতালে পাঠানো হয়।”
ঘটনার পর থেকেই সেনা সদস্য, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও বিমান বাহিনীর সমন্বয়ে উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। দুপুরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় নিরাপত্তা বলয়ের মধ্যে উদ্ধার কাজ চলছে।
আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিমানটি দুপুর ১টা ৬ মিনিটে উড্ডয়ন করেছিল। কিছু সময়ের মধ্যেই এটি বিধ্বস্ত হয়।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে এবং আহতদের চিকিৎসা ও পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে। ঘটনা ঘিরে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা ও উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের দাবি উঠেছে।