November 13, 2025, 11:53 am

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চট্টগ্রাম বন্দরে পাখির খাদ্যের (বার্ড ফুড) আড়ালে ২৪,৯৬০ কেজি পপি সিড আমদানির একটি চালান জব্দ করেছে কাস্টমস। চালানটি পাকিস্তান থেকে আসা এবং চট্টগ্রাম কাস্টমসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখা আটক করেছে।
চট্টগ্রাম কাস্টমস বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মিথ্যা ঘোষণা দিয়ে প্রায় ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকার পণ্য কেবল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকায় আমদানি করা হয়েছে। চট্টগ্রাম কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার (প্রিভেন্টিভ) এইচ এম কবির বিষয়টি জাগো নিউজকে নিশ্চিত করেছেন।
চট্টগ্রাম বন্দরে ৯ অক্টোবর দুই কনটেইনারে ৩২,০১০ কেজি পাখির খাদ্যের একটি চালান আসে। পরে এটি ছাবের আহমেদ টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডের ডিপোতে নেওয়া হয়। চালানটির আমদানিকারক ছিলেন চট্টগ্রামের কোতোয়ালি থানার কোরবানিগঞ্জ এলাকার মেসার্স আদিব ট্রেডিং। খালাসের জন্য নগরের হালিশহরের এম এইচ ট্রেডিং কাস্টমস সি অ্যান্ড এফ এজেন্ট লিমিটেড পাখির খাদ্য হিসেবে চালানটি ঘোষণা করে ১৪ অক্টোবর কাস্টমসের অ্যাসাইকুডা ওয়ার্ল্ড সিস্টেমে বিল অব এন্ট্রি দাখিল করে।
পরবর্তীতে, চালানটির উৎস, রপ্তানিকারক ও আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন পর্যালোচনা করে, মিথ্যা ঘোষিত পণ্য সন্দেহে খালাস স্থগিত করা হয় এবং চালানটি সিস্টেমে লক করা হয়।
কায়িক পরীক্ষা ও পরীক্ষার ফলাফল
ডিপো কর্তৃপক্ষ এবং সি অ্যান্ড এফ প্রতিষ্ঠানের উপস্থিতিতে ২২ অক্টোবর চালানটির কায়িক পরীক্ষা পরিচালনা করে কাস্টমসের এআইআর শাখা। এতে দেখা যায়, কনটেইনার দুটিতে ৭,২০০ কেজি পাখির খাদ্য এবং ২৪,৯৬০ কেজি পপি সিড লুকানো ছিল।
নমুনা সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম বন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধ দপ্তর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ন্যানোপ্রযুক্তি সেন্টার এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। রাসায়নিক পরীক্ষায় ২৪,৯৬০ কেজি চালানটি পপি সিড হিসেবে শনাক্ত হয়।
কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, কনটেইনারের মুখে বার্ড ফুড দিয়ে ভিতরে পপি সিড ঢেকে আমদানির চেষ্টা করা হয়েছিল। পপি সিড মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১৮ অনুযায়ী ‘ক’ শ্রেণির মাদক, এবং আমদানি নীতি আদেশ ২০২১-২০২৪ অনুসারে নিষিদ্ধ পণ্যের মধ্যে রয়েছে। তবে দেশে এটি রান্নায় ‘পোস্ত দানা’ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, চালানের ঘোষিত মূল্য ছিল ৩০ লাখ ২ হাজার ৪৮২ টাকা, কিন্তু কায়িক পরীক্ষায় প্রাপ্ত পণ্যের বাজার মূল্য ৬ কোটি ৫০ লাখ টাকা। কাস্টমস জানিয়েছে, আমদানিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।