October 19, 2025, 6:34 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
বাড়ি ভাতা ৫ শতাংশে শিক্ষকদের অস্বীকৃতি, আন্দোলন অব্যাহত এইচএসসিতে ইংরেজি: দুর্বল ভিত্তি থেকে ফল বিপর্যয় জুলাই সনদের অঙ্গীকারনামায় যা উল্লেখ আছে ছেঁউড়িয়ায় ফকির লালন শাহের ১৩৫তম তিরোধান দিবসের ৩ দিনের অনুষ্ঠানের উদ্বোধন চাকসু নির্বাচন: ভিপি-জিএসসহ ২৬ পদের ২৪টিতেই ছাত্রশিবিরের জয় রাকসু নির্বাচন/ ২৩ পদের ২০টিতে শিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোটের জয় আওয়ামী আমলের প্রশাসনের বিরুদ্ধে উঠা তিন অভিযোগ নিয়ে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদক সব সরকারি কলেজে শিক্ষকদের কর্মবিরতি, পরীক্ষাও স্থগিত চুয়াডাঙ্গায় বিষাক্ত স্পিরিট পান করে ৬ জনের মৃত্যু, ৩ জন হাসপাতালে দৌলতদিয়া/ ঘন কুয়াশার কারণে বন্ধ হওয়া ঘাট ৩ ঘন্টা পর স্বাভাবিক

ফাতেমা হত্যা মামলা তদন্তে পিবিআই’তে হস্তান্তরের দাবি

আব্দুল আলিম ভেড়ামারা /

নবম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী উম্মে ফাতেমা হত্যাকান্ডের মামলাটি তদন্তের জন্য পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) নিকট হস্তান্তরের দাবি জানানোসহ আরও কয়েকটি তদন্ত  সংস্থায়  আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মিরপুরের থানায় মামলার বাদি সাইফুল ইসলাম।

বাদির দাবি উম্মে ফাতেমা (১৪) হত্যাকান্ডে একাধিক ব্যক্তি জড়িত রয়েছে। বাদি সাইফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকান্ডে একজন নয়, একাধিক জন জড়িত। আমার মেয়ে ফাতেমার গলাকেটে ও শরীরের একাধিক জায়গায় চাকু দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা  হয় কিন্তু উদ্ধারের জায়গায় জমিনে রক্তের দাগ পাওয়া যায়নি। ওখানে হত্যা করলে রক্ত মাটিতে পড়ে থাকতো।

তিনি ছবি দেখিয়ে বলেন, মেয়ের পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে ও মাথার চুলে ফুল আটকিয়ে রয়েছে। কিন্তু লাশ উদ্ধারের জায়গায় কোন ফুল গাছ নেই । তার শরীরে একাধিক জায়গায় পোড়ানো  হলেও জামা পুড়ে নাই। ফাতেমাকে খুনিরা এক   স্থানে হত্যা করার পর উদ্ধারকৃত জায়গায় ফেলে রেখে গেছেন বলে আমাদের ধারণা। এমন নৃশংশভাবে হত্যাকান্ড ঘটানো ও লাশ ফেলে রেখে যাওয়া একজন মানুষের একার পক্ষে কিভাবে সম্ভব? আমি  প্রথম থেকে দাবি করে আসছি আরও আসামি আছে  কিন্তু পুলিশ তা আমলে নিচ্ছে না।

তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয় পুলিশ কোন অদৃশ্য কারণে এই মামলার মুল ঘটনাকে আড়াল করছে। পুলিশের দেওয়া ঘটনার বিবরণেও আমাদের আপত্তি রয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে প্রেম ঘটিত ঘটনা বলে উল্লেখ করা হয়েছে। খুনির পরিবারের  সাথে আমাদের কোন সম্পর্ক ছিলো না।

মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা বলেন, মামলার তদন্ত অব্যাহত রয়েছে জানিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে যে একজন আসামী সে স্বীকার করছে একাই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরপরেও আমরা ডিজিটাল তদন্ত করছি। ওই মেয়ের পরিধেয় কাপড় ছিলো তার ও আসামির রেজিনের সোয়াব এগুলো সংগ্রহ করে ডিজিটাল পরীক্ষা করতে সিআইডির ফরেনসিক ল্যাবে ডিএনএ  উপস্থিত আছে কিনা জানতে পাঠিয়েছি। এরমধ্যে নিহতের পরিবারের যদি বিভ্রান্তি থাকে, তাহলে অন্য  সংস্থার মাধ্যমে তদন্ত করাতে পারে। উল্লেখ, গত ১৪ জুলাই কুষ্টিয়ার  মিরপুর উপজেলার  কুষ্টিয়া-মেহেরপুর সড়কের ভাঙ্গা বটতলা নামক  স্থানের একটি ভুট্টা ক্ষেত থেকে উম্মে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেদিন রাতেই পুলিশ জড়িত আপন(১৮) কে আটক করে। পরে সে দোষ স্বীকারে স্বীকারোক্তি জবানবন্দী দেয়। এর আগে অধিকতর তদন্তের দাবিতে গত ১৬ জুলাই মিরপুর প্রেসক্লাবে  সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন সাইফুল ইসলাম।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net