September 11, 2025, 7:33 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
ডাকসু নির্বাচন: বিএনপির জন্য আত্মবিশ্লেষণের বার্তা ফরিদা পারভীন লাইফ সাপোর্টে ডাকসুর আনুষ্ঠানিক ফল ঘোষণা/ ভিপি সাদিক কায়েম, জিএস ফরহাদ দেশে দাম ২৫০০, ভারতে যাচ্ছে ১৫০০ টাকা দরে ১২০০ টন ইলিশ রাজবাড়ীতে মোটরসাইকেল রেসে প্রাণ গেল দুই বন্ধুর কেরুর আধুনিকায়ন ১৩ বছরেও শেষ হয়নি, ব্যয় বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি একাদশে ভর্তি শুরু, জেলা পর্যায়ে নন-এপিওতে ভর্তি ফি ৩ হাজার টাকা, ক্লাস ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে প্রাথমিকে বৃত্তি পরীক্ষা চালুর সিদ্ধান্ত, আসছে মিড-ডে মিল ইউক্রেন চুক্তি মানতে না পারলে সামরিকভাবে লক্ষ্য পূরণ করবে রাশিয়া: পুতিন সংকটাপন্ন অবস্থায় ফরিদা পারভীন, চিকিৎসায় সহায়তায় প্রস্তুত সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়

আসলেই সংক্রমণ, সুস্থতা, মৃত্যুর হার বাংলাদেশে কম ?

দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/

প্রশ্নটি অনেকেরই। উত্তরও নাগালের বাইরে নয়। কারন বিষয়টি সঠিক নয়। করোনার প্রথম ৬০ দিনের হিসেবটি কি আপনার কাছে আছে ? আইইডিসিআর এর তথ্য অনুযায়ী, ৮ মার্চ দেশে প্রথমবারের মতো একইসঙ্গে তিনজন কোভিড আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়। তার ঠিক দুইমাস অর্থাৎ ৬০ দিনের মাথায় গত ৬ মে শনাক্ত হন ৭৯০ জন, মারা যান তিনজন। শনাক্ত হন ১১ হাজার ৭২৯ জন, মারা যান ১৮৬ জন। এবং সুস্থ হন এক হাজার ৪০২ জন। এটা বিশ্বের অন্যান্য সর্বাধিক সংক্রমিত দেশের তুলনাতে বেশি। ৬০ দিনে বাংলাদেশে করোনা রোগী সংক্রমণের সংখ্যা ওই একইসময় বিবেচনা করলে যুক্তরাজ্য ও রাশিয়ার চেয়ে বেশি এবং প্রায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছাকাছি পৌঁছে যায়। ওয়াল্ডোমিটারের হিসেব মতো, প্রথম ৬০ দিনে যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ১৩ হাজার ৮৯৮ জন, আর যুক্তরাজ্য এবং রাশিয়াতে ছিল যথাক্রমে আট হাজার ৭৭ ও এক হাজার ৮৩৬ জন।

সুস্থতার হারে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ১০টি দেশের সুস্থতার হারের কাছে ধারেও নেই বাংলাদেশ। ভয়াবহ এই তথ্যটিই প্রমাণ করে দেশে কোভিড নিয়ে সরকারের সচেতনতা ও সংবেদনশীলতার মাত্রাকে। গত ৫ মে পর্যন্ত দেশে সুস্থতার হার ছিল ২৪ দশমিক ৫৬ শতাংশ। যা কিনা করোনায় বহির্বিশ্বে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত ইতালির অর্ধেকেরও কম! ইতালিতে করোনাআক্রান্ত প্রথম ৬০ দিনে সুস্থতার হার ছিল ৫৫ দশমিক ৭৫। অন্যদেশগুলোতে একই সময়ে সুস্থতার হার ইতালির চেয়েও বেশি।

অন্যদিকে প্রথম ৬০ দিনের পর্যবেক্ষণে মৃত্যুর ঘটনা ছিল রাশিয়াতে সবচেয়ে কম। সেখানে মারা গিয়েছিলেন ৯ জন। একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন মারা যান ২৩৯ জন। এরপর জার্মানিতে ২৬৭ জন। আর বাংলাদেশে একই সময়ে মারা গেছেন ১৮৬ জন।
আবার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, আমেরিকাতে সংক্রমণের সংখ্যা ১১ হাজার হতে সময় লেগেছে ৬০ দিন, যুক্তরাজ্যে ৬২ দিনে সে সংখ্যা হয়েছে আর রাশিয়াতে ১১ হাজার রোগী হয়েছে ৭১ দিনে। অন্যদিকে, ফ্রান্সে ১১ হাজার রোগী হয়েছে ৫৭ দিনে, তুরস্কে ২১ দিনে।
এদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে যখন করোনার সংক্রমণ কমতে শুরু করেছে, সেখানে বাংলাদেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। গত ২৪ ঘণ্টায় এসব দেশের মধ্যে নেপালে ১, পাকিস্তানে ৬০৭, ভারতে ৫৬৩, মালদ্বীপে ৪৫, শ্রীলঙ্কায় ৯, মালয়েশিয়ায় ৭০, সিঙ্গাপুরে ৪৮৬ ও থাইল্যান্ডে ৬ জন আক্রান্ত হয়েছে। এর বিপরীতে বাংলাদেশে এ সংখ্যা ১ হাজার ৩৪ জন।

দেশে গত ৮ মার্চ রোগী শনাক্ত হওয়ার পর থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত রোগী সংখ্যা ছিল ৫১জন, এপ্রিলে সেটা ছিল ১৫০ জন। মে মাসের প্রথম পাঁচ দিনে তিন হাজার ২৬২ জন শনাক্ত হন। অর্থাৎ গড়ে প্রতিদিন ৬৫০ জন করে সংক্রমিত হয়েছেন। ৮ মার্চ তিনজন শনাক্ত হওয়ার পর বাংলাদেশের এক হাজার রোগীর সংখ্যা অতিক্রম করতে সময় লেগেছে মাত্র ৩৮ দিন এবং তার ঠিক চারদিন পর ১৮ এপ্রিল আক্রান্তের সংখ্যা দুই হাজার অতিক্রম করেছে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net