November 21, 2024, 11:36 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
খুলনা বিভাগে ক্রমেই বেড়ে চলেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই পাওয়া যাচ্ছে বিভাগের ১০ জেলার কোন না কোন জেলায়। গতকাল (২৯ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ১০ জেলার সর্বশেষ রির্পোটে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫০০ জন। এরমধ্যে ইতোমধ্যে মারা গেছেন ৮ জন। বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ৯২ জন ও সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন ১৯৭ জন।
শুক্রবার (২৯ মে) সন্ধ্যায় খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালকের দপ্তর এ তথ্য জানায়।
এতে দেখা যায়, শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত বিভাগে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ছিল ৪৭৬ জন। সন্ধ্যায় খুমেকের পিসিআর ল্যাবে ৬ জন ও কুষ্টিয়া মেডিকেল করেজের পিসিআর ল্যাবে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
খুলনায় শিল্পাঞ্চল পুলিশের একজন সদস্য (২০) আক্রান্ত হয়েছেন। ইতোমধ্যে তাকে খুলনা করোনা হাসপাতালে (ডায়াবেটিক হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়েছে। ঝিনাইদহের দুইজনের মধ্যে একজন সদরের, আরেকজন শৈলকূপা এলাকার। এছাড়া বাগেরহাট জেলার তিনজনের নতুন করে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় তিনটি পিসিআর ল্যাব রয়েছে। এগুলো হলো, খুলনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাব, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাব ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের পিসিআর ল্যাব। বিভাগে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয় গত ১৯ মার্চ চুয়াডাঙ্গা জেলায়।
বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের শীর্ষে রয়েছে যশোরে জেলা ও সর্বনিম্নে রয়েছে মেহেরপুর জেলা। ইতোপূর্বে বিভাগের খুলনায় তিনজন, বাগেরহাটে দুইজন, নড়াইলে একজন, বাগেরহাটে একজন ও চুয়াডাঙ্গায় একজন করোনায় মারা গেছেন।
গত ১০ মার্চ থেকে বিভাগের বিভিন্ন জেলার কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছিল ৩৬ হাজার ৫৮ জনকে। এর মধ্যে কোয়ারেন্টিনের মেয়াদ ১৪ দিন পার হওয়ার পর ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে ২৯ হাজার ৭৮৮ জনকে। বাকিরা এখোনো কোয়ারেন্টিনে আছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানা বলেন, খুলনা বিভাগের প্রত্যেক জেলায় করোনায় মোকাবিলায় কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিগুলো পরিস্থিতি মোকাবেলায় কাজ করছে। আক্রান্তদের উপসর্গের মাত্রা বেশি না থাকলে তাদের বাড়িতে চিকিৎসা করা হচ্ছে। আর উপসর্গ বেশি হলে হাসপাতালে এনে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। যারা সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরছেন তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।
এ বিষয়ে হতকাল রাতে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার জানান কুষ্টিয়ায় এই হঠাৎ ক্রমবৃদ্ধি শনাক্ত বয়ের ব্যাপার। তিনি অন্য জেলা থেকে কুষ্টিয়ায় আগত মানুষদের ব্যাপারে খোঁজ খবর নেয়ার জন্য প্রশাসনকে আহবান জানান। তিনি জানান আন্তঃজেলা সংযোগ সৃষ্টির কারনের কুষ্টিয়ায় রোগী বাড়ছে।
Leave a Reply