August 20, 2025, 10:11 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
২০২৬ সালে তা নবায়ন হওয়ার কথা/গঙ্গা চুক্তিতে থাকতে চায় তৃণমূল, নেপথ্যে কি? আমদানি শুরুর পর দাম বাড়েনি পেঁয়াজের বেসরকারি পর্যায়ে ১০ লাখ টন ডাল ও চিনি আমদানি অনুমোদন কুষ্টিয়ায় কারাগারে হাজতির মৃত্যু কুষ্টিয়ায় পদ্মা ও গড়াইয়ে পানি কমলেও দৌলতপুরে অর্ধলক্ষ মানুষ পানিবন্দি কুষ্টিয়া শাহিন ক্যাডেট স্কুল/ ছাত্রীর আপত্তিকর ছবি-ভিডিও ছড়ানোর অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় বন্ধুদের সঙ্গে মোটরসাইকেল রেসিং খেলতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই কিশোরের মৃত্যু ঝিনাইদহে সীমান্ত অতিক্রমের অভিযোগে ১৭ জন আটক রাজশাহীতে একই পরিবারের চারজনের রহস্যজনক মৃত্যু র‌্যাব-পুলিশের যৌথ অভিযানে কুষ্টিয়ায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার

কুষ্টিয়ার ঘোড়ারঘাট/ এক নৌকায় শত মানুষ, নেই সামাজিক দুরত্বের নিয়ম

সাদিক হাসান রোহিদ/
কুষ্টিয়ার ঘোড়ারঘাট শহরের সাথে ওপাড়ের প্রায় ১০টি গ্রামের যোগাযোগের একমাত্র ঘাট। যেখান দিয়ে প্রতিদিন শহরে আসে প্রায় হাজার দশেক মানুষ। এদের পারাপারের একমাত্র বাহন নৌকা। কিন্তু এই পারাপারে ব্যাপকভাবে মার খাচ্ছে সামাজিক দুরত্বের সাধারন বিধি। হয় কেউ মানছে না অথবা মানা সম্ভব হচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখতে পাওয়া যায়। তবে এটা নতুন কোন ঘটনা নয়। আগেও যেভাবে পারাপার ঘটত এখনও সেরকই ঘটছে।
প্রতিদিন ভোর ৫ টা থেকে শুরু হয় নৌ পারাপার। চলে রাত অব্দি। কুমারখালির উপজেলার কয়া, গোট্টিয়া, শিলাইদহ, বানিয়াপাড়া, কালুয়া সহ আরো বিভিন্ন গ্রামের মানুষ প্রতিদিন শহরের আশা যাওয়া করছে। কারো শহরে আসতেই হয় ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রয়োজনে। এদের পারাপারের জন্য রয়েছে কয়েকটি মেশিন চালিত নৌকা। ঐসব গ্রামগুলোর অসংখ্য মানুষ এপাড়ে শহরে ব্যবসা-বাণিজ্য রয়েছে।
একটি নৌকার চালক আসকার আলী জানান তিনি সঠিকভাবেই অবগত আছেন বর্তমান করোনা ভাইরাসের কারনে সামাজিক দুরুত্বের বিধির বিষয়টি। কিন্তু তার কিছু করার নেই বলে জানান তিনি।
আসকার জানান প্রথম কয়েকদিন ঘাট কতৃপক্ষ চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পরে জনগনই মানেনি বিষয়টি। বরং নিয়ম মানাতে গিয়ে তাকে গালি খেতে হয়েছে জনগনের কাছে।
“সবারই খুব তাড়া, জীবনের মুল্যের চেয়ে পার হওয়াটাই যেন সবার কাছে বেশী জরুরী,” মাঝিটি জানান।
এ প্রতিবেদক ঘাটে দাঁড়িয়ে কয়েকটি ট্রিপ লক্ষ্য করেন। দেখতে পান এক একটি বার প্রায় শ’য়ের কাছাকাছি মানুষ পার হয়ে কুষ্টিয়া অভিমুখে আসছে। নৌকার সাইজ অনুযায়ী সামাজিক দুরত্ব মেনে চললে সেখানে থাকতে পারে বড়জোড় ২০ থেকে বাইশ জন।
গাদাগাদি করে একে অপরের গায়ে ঠেস দিয়ে পারাপার চলছে।
সকালের দিকে মানুষের চাপ বেশী থাকে। কারন এ সময় দোকান খোলা হয়। তারা শহরে এসে ব্যবসা শুরু করেন। অন্যদিকে চাপ বাড়ে বিকেলের পরপরই কারন তখন বন্ধ হয়ে যায় সব দোকানপাট।
জিজ্ঞেস করা হয় বড় বাজারের ব্যবসায়ী নদীর ওপাড়ে কয়া গ্রামের মাহবুবার রহমানকে। তিনি একটি ট্রিপে পার হয়ে এলেন।
তিনি বিষয়টির ভয়াবহতা জানেন বলে জানালেন।
তিনি বলেন সবাই জানে এটা ঠিক হচ্ছে না। কিন্তু কেউই নিয়মটি মানছে না।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net