December 23, 2025, 1:07 am

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা, টানা দুই দিন সূর্যের দেখা নেই ভোমরা স্থলবন্দরে আমদানি কমের মধ্যেও রপ্তানি ও রাজস্ব বৃদ্ধি লাখো মানুষের শ্রদ্ধায় শেষ বিদায়/ চিরনিদ্রায় শহীদ ওসমান হাদি কুষ্টিয়া নির্বাচন অফিসে অগ্নিকাণ্ড, তদন্তে প্রশাসন শোকবার্তায় জামায়াত /আওয়ামী লীগের প্রতিবিপ্লবের অপচেষ্টা রুখে দেওয়ার কারিগর ছিলেন হাদি’ মব সন্ত্রাসে জাতি বিভক্ত, দায় সরকারের: মির্জা ফখরুল সহিংসতার বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে সতর্ক থাকার আহ্বান সরকারের জুলাই–অক্টোবরে বাণিজ্য ঘাটতি ৭.৫ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে অন-ডিউটি চিকিৎসকের মোবাইল গেম খেলা/ দুদকের অভিযানে মিলল সত্যতা, আরও অভিযোগ আজ মহান বিজয় দিবস/বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ: ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম ও বিজয়ের গৌরবগাথা

কুষ্টিয়ায় ২২ হাজার মানুষ পাননি টিকার দ্বিতীয় ডোজ

জাহিদুজ্জামান/

কুষ্টিয়ায় করোনার প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬৭ হাজার ৪শ ৮৬ জন। দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছেন ৪৫ হাজার ৫১ জন। বাকী ২২ হাজার ৪শ ৩৫ জনের জন্য হাতে সময় থাকছে ১ মাস। এসময়ের মধ্যে টিকা না দিতে পারলে বয়স্করা করোনার ঝুকির মধ্যে পড়বে- বলছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।

ভায়েল শেষ হয়ে যাওয়ায় কুষ্টিয়ায় ১১ মে করোনার টিকাদান বন্ধ হয়ে যায়। এদিন ৮২৭ জনকে টিকা দেয়ার পরই বন্ধ হয়ে যায় কার্যক্রম। টিকাদান কেন্দ্রগুলোতে কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখার ঘোষণার নোটিশ দেয়া হয়েছে। বলা হয়েছে প্রাপ্তি সাপেক্ষে পুনরায় টিকা দেয়া হবে।

কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রথম ডোজ দেয়ার ৫৬ দিন পর আমরা দ্বিতীয় ডোজ দিচ্ছিলাম। তিনি বলেন, দ্বিতীয় ডোজ দেয়ার জন্য সময় থাকে তিন মাস। সামনের একমাসের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজের ব্যাপারে সমাধান না হলে এই ২২ হাজার মানুষের জন্য ক্ষতিকর হবে। টিকাদান কার্যক্রমও হ্যাম্পার হবে।

৬৭ হাজার ৪শ ৮৬ জনকে দেয়ার পর গত ২৪ এপ্রিল প্রথম ডোজ দেয়া বন্ধ করে দেয়া হয়। চলছিল দ্বিতীয় ডোজ দেয়া। এরপর সিরাম টিকা দেয়া বন্ধ করে দিলে কুষ্টিয়ায় মজুদ শেষ হয়ে যায় ২ মে। কুষ্টিয়ার সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সেসময় অন্য জেলা থেকে আরো ৭ হাজার টিকার প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও দেয়া হয় মাত্র ৫হাজার ডোজ। শেষ পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যায় ১১ তারিখ সকালে।

বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ডা. মুস্তানজিদ বলেন, দ্বিতীয় ডোজ সময়মতো না দিতে পারলে করোনা আক্রান্তের ঝুঁকির মধ্যে পড়বে মানুষ। তিনি বলেন, অ্যাষ্ট্রোজেনিকার এই টিকা মানুষের শরীরে ঝাকে ঝাকে অ্যান্টিবডি তৈরি করে। যা করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সাহায্য করে।

অধ্যাপক মুস্তানজিদ বলেন, কোন কারণে যদি একমাস পরও টিকা আসে অবশিষ্ট এসব মানুষদের দ্বিতীয় ডোজই দিতে হবে। তিনি বলেন, শরীরের মেমোরি সেল-এ কোভিড শিল্ড এর মেমোরি থাকবে। দ্বিতীয় ডোজ যখনই যাবে কাজ শুরু করে দেবে।

সিভিল সার্জন ডাঃ এইচ এম আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দ্বিতীয় ডোজও একই কোম্পানীর টিকা হলে ভাল হয়। না হলে মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি থেকেই যাবে। তবে, মুস্তানজিদ বলেন, চীনের টিকাও একই প্যাটার্নের। সমস্যা হওয়ার কথা নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net