November 7, 2024, 8:15 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদন/
হচ্ছে না চলতি বছরের (২০২০) জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা। এ বিষয়ে একটি সার সংক্ষেপে সম্মতি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
জানা গেছে, গত ২৩ আগস্ট জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষা বাতিলের প্রস্তাবনা সংক্রান্ত সারসংক্ষেপ প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেই সারসংক্ষেপে সম্মতি দেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারপ্রধানের সম্মতিপত্র আজ বৃহস্পতিবার মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়। পরবর্তী করণীয় নির্ধারণে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ কাজ করছে বলে জানা গেছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে এ দুই স্তরের পাবলিক পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে। সেজন্য শিক্ষার্থীদের ক্লাস মূল্যায়নের মাধ্যমে পাস করিয়ে সার্টিফিকেট দেয়া হবে এবং পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে। দ্রুত এ সংক্রান্ত নির্দেশনা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্য সচিব আহমদ কায়কাউসের উপস্থিতিতে শিক্ষা সচিব মো. মাহবুব হোসেন এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আকরাম আল হোসেনের অংশগ্রহণে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বর্তমান পরিস্থিতিতে পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণির পাবলিক পরীক্ষা বাতিলে সারসংক্ষেপ তৈরি করে প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। তারই ভিত্তিতে পরীক্ষা বাতিলে প্রস্তাবনা সংক্রান্ত ওই সারসংক্ষেপ ২৩ আগস্ট সরকারপ্রধানের কাছে পাঠানো হয়।
সেখানে বলা হয়, চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত ১৩১ কর্মদিবস নির্ধারণ করা হলেও করোনা পরিস্থিতির কারণে এ পর্যন্ত ৩০ থেকে ৩৫ শতাংশ দিন বিষয়ভিত্তিক পাঠদান দেয়া সম্ভব হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বাভাবিক পাঠদান কার্যক্রম গত ১৮ মার্চ থেকে বন্ধ আছে। সংসদ টেলিভিশনে পাঠদান শুরু করা হলেও অনেক শিক্ষার্থীর বাসায় টেলিভিশন না থাকায় এবং টেলিভিশন থাকলেও ক্যাবল সংযোগ না থাকায় সকল শিক্ষার্থীকে এ প্রোগ্রামের আওতায় আনা সম্ভব হয়নি।
এ প্রস্তাবের ভিত্তিতে প্রধানমন্ত্রী পরীক্ষা বাতিলের সম্মতি দেন। সেটি বিকেলে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগে পাঠানো হয়।
এদিকে, বৃহস্পতিবারই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (কওমি মাদরাসা বাদে) ছুটি আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে বলে জানিয়েছে সরকার।
অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এইচএসসি পরীক্ষা এবং মাধ্যমিক পর্যায়ের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পরবর্তী ক্লাসে উত্তীর্ণের বিষয়ে বিকল্প মূল্যায়ন পদ্ধতি কি হতে পারে সে বিষয়ে একটি প্রস্তাবনা তৈরির নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন বিভিন্ন দফতর, সংস্থার প্রধানদের অংশগ্রহণে করোনাকালীন ও করোনা-পরবর্তী শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে এক অনলাইন সভায় সংশ্লিষ্টদের এই নির্দেশ দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
এসময় একটি প্রস্তাবনা তৈরি করে পরবর্তী সভায় উপস্থাপনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ঢাকা, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর ও জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে অনলাইন কার্যক্রম আরো ফলপ্রসূ করার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় সভাপতির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, করোনাকালীন ও করোনা পরবর্তী সময়ে শিক্ষাব্যবস্থার কি ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে তা নিয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তিনি করোনাকালীন সময়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সরাসরি যোগাযোগের মাধ্যমে অথবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের উজ্জীবিত রাখতে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, মাদরাসা ও কারিগরি বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নির্দেশ দেন।
সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, কারিগরি ও মাদরাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খানসহ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং মন্ত্রণালয়ের অধীন দফতর সংস্থার কর্মকর্তারাও যুক্ত ছিলেন।
Leave a Reply