November 8, 2024, 2:22 am
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক, ইবি/
মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণের সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি)। শিক্ষক ও কর্মকতার্দের একই নামে একাধিক সংগঠনের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।এতে উভয় পক্ষের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা লাঞ্ছনার শিকার হয়েছেন।
পূর্ব ঘোষিত সূচী অনুযায়ী বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও শান্তির প্রতীক বেলুন উড্ডয়ন কর্মসূচীর উদ্ধোধন শেষে মুক্ত বাংলায় পুস্পস্তবক অর্পণ করেন। এনময় উপস্থিত ছিলেন উপ উপাচার্য প্রফেসর ড. শাহিনুর রহমান।
এরপর বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, কর্মকর্তা সমিতি, কেন্দ্র অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ, বিশ^বিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনের করে।
এক পর্যায়ে বিগত উপাচার্য মো: হারুন উর রশিদ আসকারীর আমলে কর্মকর্তাদের মুল সমিতি থেকে বিভাজিত সংগঠন অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন ও কেন্দ্র কতৃক অবৈধ ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ ফুল দিতে আসে।
অভিযোগ করা হয়েছে এই দলের একাধিক কর্মকর্তা জুতা পায়ে ভাস্কর্য বেদিতে উঠেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ করেন ভাস্কর্যে স্বেচ্ছাসেবীর দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগের কর্মীরা। তাদের সাথে কর্মকর্তা সমিতির সদস্যরাও প্রতিবাদ জানাতে গেলে কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে কথাকাটাকাটি পরে হাতাহাতি শুরু হয়। কর্মকর্তারা পুষ্পস্তবক থেকে বাঁশের কাবারী খুলে নিয়ে বিবাদে নিয়োজিত হন।
এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. পরেশ চন্দ্র বর্ম্মণ ঘটনাস্থলে উপ¯িস্থত থাকতে দেখা গেলেও তিনি নিস্ক্রিয় ভুমিকা পালন করে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ঘটনার এক পর্যায়ে উপাচার্য প্রফেসর আব্দুস সালাম ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। উপ-উপাচার্য প্রফেসর শাহিনুর রহমান নিজে উদ্যোগী হয়ে মাইকে ঘোষণার মাধ্যমে সবাইকে শান্ত করার চেষ্টা করেন।
এ বিষয়ে ছাত্রলীগের সাবেক ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক শেখ মিজানুর রহমান লালন বলেন বিভিন্ন সমিতি ও পরিষদের মধ্যে বিগত উপাচার্য হারুন উর রশিদ আসকারী যে বিভাজন সৃষ্টি করে গেছেন সেই বিভাজিত গ্রæপে সক্রিয় বিএনপি-জামাত চক্র এই জঘণ্য কাজে লিপ্ত।
এ বিষয়ে কর্মকর্তাদের মূল সংগঠন কর্মকর্তা সমিতির সাধারন সম্পাদক ও বাংলাদেশ আন্ত:বিশ^বিদ্যালয় অফিসার্স ফেডারেশনের মহাসচিব মীর মোর্শেদুর রহমান বলেন মুল কর্মকর্তা সমিতি থেকে বেড়িয়ে যারা বিএনপি-জামাতের ক্যাডারদের নিয়ে অফিসার্স অ্যসোসিয়েশন ও কেন্দ্র কতৃক অবৈধ ঘোষিত বঙ্গবন্ধু পরিষদ গঠন করেছিল তারা জুতা পায়ে শহীদ বেদিতে উঠায় এ ঘটনা ঘটেছে।
কেন্দ্র অনুমোদিত বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রফেসর ড. মাহবুবল আরফিন বলেন ন্যাক্কারজনক এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত তারা আর যাই হোক বঙ্গবন্ধুর আর্দশ ও চেতনার পক্ষের হতে পারে না। এদের বিরুদ্ধে তিনি সবাইকে সজাগ হবার আহবান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক আবদুস সালাম জানান সাংবাদিকদের বলেন এটা খুবই অনাকাক্ষিত নিন্দনীয় একটি কাজ হয়েছে।
Leave a Reply