November 22, 2024, 5:53 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
চলমান করোনা পরিস্থিতিতে নানা বিধিনিষেধের কারণে বেনাপোল আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে ভারতে পাসপোর্টধারী যাত্রীদের আসা-যাওয়া কমে যাওয়ায় ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে যাত্রী যাতায়াত কমেছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৩ জন। এর ফলে এই খাতে সরকারের রাজস্ব কমেছে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা এবং বন্দরের পাসেঞ্জার টার্মিনাল ফি বাবদ রাজস্ব কমেছে ২ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ২৬২ টাকা।
বেনাপোল বন্দর হয়ে প্রতি বছর স্বাভাবিক সময়ে চিকিৎসা, ব্যবসা, শিক্ষা ও ভ্রমণ ভিসায় প্রায় ১৮ থেকে ২০ লাখ পাসপোর্টযাত্রী ভারত-বাংলাদেশে যাতায়াত করে থাকেন। কিন্তু চলমান করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সতর্কতা বাড়িয়েছে ভারত। সংক্রমণ রোধে ২০২০ সালের ১৩ মার্চ ভ্রমণ ভিসার নিষেধাজ্ঞা এবং ২৬ মার্চ স্থলপথে বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে চার মাস পর বাণিজ্যে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় ধীরে ধীরে বাণিজ্য স্বাভাবিক হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত ভ্রমণ ভিসায় যাতায়াত বন্ধ রয়েছে।
চেকপোস্ট সূত্রে জানা যায়, গত এক সপ্তাহে (১২-১৮ ফেব্রুয়ারি) বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে ৫ হাজার ৭৮৫ জন যাত্রী যাতায়াত করেছেন। এর মধ্যে ভারতে গেছেন ৩ হাজার ১৪২ জন ও ভারত থেকে দেশে এসেছেন ২ হাজার ৬৪৩ জন।
বন্দরটি ব্যবহার করে ২০২০ সালে ভারতে গেছেন ৬ লাখ ৯৯ হাজার ১০৭ জন যাত্রী। ২০২১ সালে ভারতে গেছেন মাত্র ১ লাখ ৬৩ হাজার ৯৭৪ জন। বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে দেশি-বিদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের কাছ থেকে সরকারের রাজস্ব খাতে জনপ্রতি ৫০০ টাকা ভ্রমণকর বাবদ আদায় করা হয়। সেইসঙ্গে স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের খাতে টার্মিনাল ফি বাবদ ৪১.৪৫ পয়সা আদায় করা হয়। ফলে এ পথে ২০২০ সালের তুলনায় ২০২১ সালে যাত্রী যাতায়াত কমেছে ৫ লাখ ৩৫ হাজার ১৩৩ জন। এসব যাত্রী থেকে ভ্রমণকর বাবদ রাজস্ব কমেছে ২৬ কোটি ৭৫ লাখ ৬৬ হাজার ৫০০ টাকা ও বন্দরের টার্মিনাল ফি কমেছে ২ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ২৬২ টাকা।
Leave a Reply