March 24, 2025, 5:31 am
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
জুলাই-অক্টোবর মেয়াদে ট্রেজারি বিল এবং বন্ড ইস্যু করে দেশের তফসিলি ব্যাংক থেকে ৫৯ হাজার ৫১৬ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে অর্থ মন্ত্রণালয়। বাজেট ঘাটতি অর্থায়নে সরকার এই অর্থ গ্রহন করেছে। এ ঋণের বেশির ভাগ আবার চলে গেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ পরিশোধে। অর্থনীতিতে মূল্যস্ফীতির চাপ কমানোর জন্য টাকা ছাপিয়ে বাজারে ছাড়ার পরিবর্তে সরকার প্রধানত বাণিজ্যিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়েছে।
এদিকে রাজস্ব কর্মকর্তারা আশা করছেন, এ অর্থবছরের দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে রাজস্ব সংগ্রহ বাড়বে। কারণ দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক কর্মকা পুনর্গঠিত হতে শুরু করেছে।
দেশের ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ সম্পর্কে বাংলাদেশ ব্যাংকের তৈরি একটি গোপনীয় প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
প্রকৃতপক্ষে চলতি অর্থবছরে আংশিকভাবে বাজেট ঘাটতি মেটাতে ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিলেও এ সময়ে সরকারের নিট ঋণের পরিমাণ ছিল ২০ হাজার ৪০৯ কোটি টাকা। সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ে সরকারের নিট ব্যাংক ঋণ কম ছিল ৩ হাজার ১৮২ কোটি টাকা।
এর মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে ৩৯ হাজার ১০৭ কোটি টাকা পরিশোধ করেছে।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্যানুযায়ী, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় চলতি বছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর মেয়াদে রাজস্ব সংগ্রহ ৬ দশমিক ০৭ শতাংশ বা ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি টাকা কমে গেছে। প্রথম প্রান্তিকে এনবিআর ৭০ হাজার ৯০২ কোটি টাকা সংগ্রহ করেছে, যা গত বছরের একই সময়ের ৭৫ হাজার ৪৮৭ কোটি টাকার চেয়ে কম। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯৬ হাজার ৪৯৯ কোটি টাকা।
সাম্প্রতিক মাসগুলোয় রাজস্ব কমে যাওয়ার কারণে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে বেশি ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে সরকার। দেশের বিভিন্ন স্থানে ভয়াবহ বন্যার পাশাপাশি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা চলতি অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে রাজস্ব আদায়ে প্রভাব ফেলেছে।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুসারে, সরকার চলতি অর্থবছরের ২০২৪-২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বর সময়ে এডিপি বরাদ্দের ১৩ হাজার ২১৫ কোটি টাকার ৪ দশমিক ৭৫ শতাংশ ব্যয় করেছে। চলতি অর্থবছরের বাজেটে সরকার ১ লাখ ৩৭ হাজার ৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যা আগের বছরে ছিল ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা। তবে গত অর্থবছর সরকার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি ১ লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু ২০১৪-১৫ অর্থবছরে সরকারের নিট ব্যাংক ঋণ ছিল ৯৪ হাজার ২৮২ কোটি টাকা।
Leave a Reply