February 5, 2025, 6:45 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ডিসেম্বর মাসে দ্বিতীয় চালানে ভারত থেকে আরও এক হাজার ৯০০ টন আলু যশোরের বেনাপোল বন্দরে পৌঁছেছে। মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাতে মালবাহী ট্রেনে ভারতের পাঞ্জাব থেকে বেনাপোল রেলস্টেশনে এই আলুর চালানটি পৌঁছায়।
বেনাপোল চেকপোস্ট কাস্টমসের কার্গো শাখার রাজস্ব অফিসার আবু তাহের জানান, ৫ দিনের ব্যবধানে এ বন্দর দিয়ে মোট ২৩৬৮ টন আলু বাংলাদেশে এসেছে।
এর আগে, গত ১৩ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো বেনাপোল বন্দর দিয়ে মালবাহী ওয়াগন ট্রেনে ভারতের পাঞ্জাব থেকে ৪৬৮ মেট্রিক টন আলু আমদানি করা হয়।
বেনাপোল রেলস্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান জানান, ভারতের মালদার রপ্তারিকারক প্রতিষ্ঠান ডিলাক্স ইন্টারন্যাশনাল আলুর চালানটি রপ্তানি করেছে। আমদানিকারক চাঁপাইনবাবগগঞ্জের সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ।
এ আলুর আমদানি মূল্য প্রায় চার লাখ ৩৮ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি টাকায় যার দাম পড়েছে প্রায় সাড়ে ২৭ টাকা।
বাংলাদেশ লজিস্টিক সার্ভিসের প্রতিনিধি ফারুক ইকবাল ডাবলু জানিয়েছেন, আমদানি করা আলু বুধবার সকালে যশোরের নওয়াপাড়ার নেয়া হয়েছে। সেখানে আনলোডের পর সেগুলো ঢাকা এবং চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হবে।
ডাবলু জানান, এ আলুর মূল্য পড়বে প্রতিকেজি ২৮ টাকা। এ আলু বাজারে বিক্রয় হবার কথা ৩২ কেজি বলে তিনি জানান।
বাজারে দাম কমেনি/
দিনাজপুরের হিলি ও বেনাপোল বন্দর দুটি দিয়ে গত ২১ দিনে মোট ৪৮০৩ টন আলু ভারত থেকে বাংলাদেশের বাজারে প্রবেশ করেছে। হিলি বন্দর দিয়ে সর্বশেষ ২৭ ও ২৮ নভেম্বর মোট আলু আমদানি হয় ২৪৩৫ টন। তারও আগে ১৫ এপ্রিল থেকে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত এ স্থলবন্দর দিয়ে মোট ৩ হাজার ৬৪৫ টন আলু আমদানি হয়।
এসব আলু দেশের বিভিন্ন স্থানে গেছে। কিন্তু দেশের পাইকারি ও খুচরা হাটবাজারগুলোয় আলুর দামে ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি। বরং বাজারে সরবরাহ কম থাকার কারণে আলুর দাম বেড়েই চলেছে।
এদিকে, দেশের বাজারেও উঠেছে দেশীয় নতুন আলু।
ভারত থেকে ডায়মন্ড জাতের আলু আমদানি হচ্ছে। দেশের বাজারে এ আলু রয়েছে।
সূত্র জানাচ্ছে, ভারত থেকে নিয়মিতভাবে ২৬ থেকে ৩২ টাকা দরে আলু আমদানি হলেও স্থলবন্দরে পাইকারিতে প্রতি কেজি আলুর দাম ৪০ থেকে ৪২ টাকায় ওঠে। সেই আলু খুচরা বাজারে ৬৫ থেকে ৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রয় হচ্ছে।
এদিকে আজ বৃধবার যশোরের পৌর শহরের পুরাতন বাজাররে , লাল পাটনাই জাতের আলু ৬৫ টাকা ও ষাটাল জাতের আলু ৭০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। সদ্য আমদানি করা ডায়মন্ড, হল্যান্ড ও কার্ডিনাল জাতের আলু হিলি স্থলবন্দরে ৩২ টাকা ও বেনাপোলে ৩৩ টাকা কেজি পাইকারি দরে বিক্রি হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি ও খান ট্রেডার্সের স্বত্বাধিকারী হারুন উর রশিদ ডেইলি সানকে জানান, পাইকারি বাজারে যা ঘটে তা তো প্রকাশ্যেই ঘটে। কিন্তু খুচরা বাজারে হিসেব ভিন্ন। এখানে পাইকারেদের দোহাই দিয়ে সাধারণ ক্রেতাদেও কাছ থেকে দাম বেশী ধরা হচ্ছে।
এই আমদানিকারক দাবি করেন, ভারত থেকে ২১ টাকা ৬০ পয়সা কেজি দরে আলু আমদানি করা হলেও বাজারে সেই আলু ৭৫ টাকা কেজি দরে কিনেছেন ক্রেতারা। নভেম্বরের শেষ দিকে আমদানি করা আলুর দাম একটু বেশী পড়লেও (৪৮ টাকা) খুচরা বাজারে সবসময়ই আলুর দাম কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা পার্থক্য। এ ধরনের খুচরা বাজার সত্যিই অস্বাভাবিক।
স্থানীয় বাজারে আলুর দাম অনেক দিন ধরেই বাড়তি থাকার কারণে সেপ্টেম্বরের শুরুর দিকে এই দুই পণ্যের আমদানি শুল্ক কমানোর উদ্যোগ নেয় সরকার।
এরপর গত ৫ সেপ্টেম্বর এ–সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন (এসআরও) জারি করা হয়। আলুর ক্ষেত্রে শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশে নির্ধারণ করা হয়। পাশাপাশি আলু আমদানিতে যে ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ছিল, তা প্রত্যাহার করা হয়।
কুষ্টিয়ার বাজার লক্ষ্য করে জাতীয় পার্টি (জেপি-মনজু) কুষ্টিয়া জেলা শাখার আহবায়ক ইমরান উদ্দিন আহমেদ জানান, খুচরা ব্যবসায়ীরা একই আলু বাছাই করে তিন/চার ভাগে ভাগ করে বিভিন্ন দামে বিক্রয় করছে। এ দাম ৬৫ টাকা থেকে শুরু করে ৭৫ টাকা পর্যন্ত। এ ¯্রফে লোক ঠকানো চাড়া আর কিছুই নয়।
Leave a Reply