December 31, 2025, 10:13 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
চলতি বছরে মব সন্ত্রাসে নিহত ১৯৭ জন, মানবাধিকার পরিস্থিতি গভীর উদ্বেগজনক: আইন ও সালিশ কেন্দ্র রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় বেগম খালেদা জিয়ার দাফন সম্পন্ন কুষ্টিয়ায় শ্বশুরবাড়ির উঠান থেকে জামাইয়ের মরদেহ উদ্ধার ভারতের শোকবার্তা পৌঁছাল বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাতে মৌসুমের সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় রাজশাহীতে ইন্তেকাল করেছেন বেগম খালেদা জিয়া, জিয়ার কবরের পাশেই দাফনের পরিকল্পনা কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে ৩৩ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল, কুষ্টিয়া–৪’এ বিএনপির দুই বিদ্রোহী এনসিপির সব কার্যক্রম থেকে নিজেকে নিষ্ক্রিয় ঘোষণা নুসরাত তাবাসসুমের সাতক্ষীরায় ভারত থেকে আমদানি ৮ হাজার ৬২২ টন, কমেনি মাষকলাই ডালের দাম ঘন কুয়াশায় সারাদেশে নৌযান চলাচল বন্ধ

আমদানি বাড়িয়েও কমানো যাচ্ছে না কাঁচামরিচের দাম

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দেশে কাঁচামরিচ আমদানি রেকর্ড ছুঁলেও খুচরা বাজারে দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বর্তমানে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায়।
আমদানিকারকরা বলছেন, ভারতেই মরিচের দাম বেশী । তাই আমদানি করা মরিচের দাম আপাতত কমছে না।
দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। একদিনে বন্দরে রেকর্ড পরিমাণ মরিচ প্রবেশ করেছে।
দীর্ঘ আট মাস পর গত ২৫ জুন থেকে মরিচ আমদানির অনুমতি দেয় সরকার। হিলি স্থলবন্দর দিয়ে কাঁচামরিচ আমদানি শুরু হয় গত ১০ জুলাই।
বন্দর সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ আগস্ট হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৯টি ট্রাকে ২৩৯ টন কাঁচামরিচ আমদানি হয়েছে। গত ছয়দিনে ৭২টি ট্রাকে ৬১৮ টন মরিচ এসেছে। আগে যেখানে দৈনিক ৮ থেকে ১০ ট্রাক আমদানি হতো, এখন তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৫ থেকে ২০ ট্রাকে।
কুষ্টিয়া থেকে হিলি বন্দরে মরিচ কিনতে গিয়েছিলেন হুমায়ূন হোসেন আসকারী। তিনি জানান, প্রচুর আমদানি হচ্ছে, কিন্তু দাম কমছে না। দেশী ও ভারতীয় উভয় মরিচের একই দাম।
তিনি জানান, দেশীয় ক্রেতাদের কাছে ভারতীয় মরিচের চাহিদা রয়েছে।
হিলির মরিচ আমদানিকারক শাহাবুল ইসলাম জানান, ভারতের বেনারশ থেকে মরিচ আনা হচ্ছে।
তার ভাষ্য, ভারতেও উৎপাদন ব্যাহত হওয়ায় দাম বেড়ে গেছে। তিনি বলেন, “ভারতে প্রতি কেজি মরিচ কিনতে হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ রুপিতে। তার ওপর প্রতি কেজিতে ৪০ টাকা শুল্ক গুনতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে দেশের বাজারে ১৮০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে।
এর পরও আমাদের নষ্ট হয়ে পড়া মরিচে তাদেরকে লোকসান গুনতে হচ্ছে বলে জানান এই ব্যবসায়ী।
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলাতেই মরিচ উৎপাদিত হয়ে থাকে। চলতি মৌসুমে বন্যা ও খরায় মরিচের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ফলে বাজারে দেশে উৎপাদিত কাঁচামরিচের সরবরাহ কমে যায়।
কৃসি মন্ত্রণালয়ের সূত্র অনুযায়ী, সারাদেশে ৮ লাখ ৬৯ হাজার ৫১৪ একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয় বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে ৩৫% কাচামরিচ ব্যবহৃত হয় শুকনা মরিচ উৎপাদনে। খরিফ মৌসুমে সারাদেশে ৫৮০০ একরে এবং রবি মৌসুমে ৩৭৫০০০ একর জমিতে মরিচ উৎপাদিত হয়। তবে মোট উৎপাদনের প্রায় ৮৭% রবি মৌসুমে হয়। প্রতিবছর বাজারে আসা কাঁচামরিচের পরিমাণ ৮৫৮০০ টন। চাহিদাও প্রায় একই রকম। উপাত্ত অনুযায়ী সারাদেশে উৎপাদিত মরিচের মধ্যে শতকরা ৭৯ ভাগ স্থানীয় বীজ থেকে এবং শতকরা প্রায় ১৭ ভাগ অধুনা প্রচলিত হাইব্রিড বীজ থেকে উৎসারিত।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net