August 1, 2025, 6:44 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
আজ থেকেই কার্যকর/ যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক দেশে প্রতি চারজনের একজন বহুমাত্রিক দরিদ্র, শিশুদের ভোগান্তি সবচেয়ে বেশি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের জন্য বছরে ১০-১৫ শতাংশ বিশেষ সুবিধা ঘোষণা বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন: মানুষের প্রকৃত আয় এখনো ঋণাত্মক হোমল্যান্ড ইন্স্যুরেন্স/১ কোটি ৫ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে চেয়ারম্যানসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে যশোরে মামলা গোপন তৎপরতার আশঙ্কা: ১১ দিনের ‘বিশেষ সতর্কতা’ জারি করেছে পুলিশ বিনিয়োগে স্থবিরতা, ভোগ কমেছে জুনে এলসি খোলা ৫ বছরে সর্বনিম্নে কুষ্টিয়ায় বিএনপি কর্মী হত্যা মামলায় সাবেক এসপি তানভীর আরাফাতকে গ্রেপ্তার, চলবে পূর্বের মামলা ধানের রেকর্ড উৎপাদন, আমদানিও প্রচুর তবু চালের দাম বেড়েছে ১১%-১৬% যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কনীতির চাপ, এডিবি পূর্বাভাসে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি কমার শঙ্কা

কুষ্টিয়াতে এবার রথের উৎসব নেই, নিরব জিউর মন্দির এলাকা

সাদিক হাসান রোহিদ/
গত বছরও এই দিনটিতে শহরের নবাব সিরাজু-দ্দৌলা সড়ক ছিল রমরমা ৷ শহরের প্রধান সড়ক-সরণির দু পাশে সাড়ি সাড়ি বসে যেত হাজার দোকান হাজার পসরা নিয়ে।
আসলে রথযাত্রার দিনটাই থাকে অন্যরকম। এটি হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় হলেও বাংলা ভুখন্ডে সব উৎসবই বরাবরই সবার হয়েছে। দিনটিকে শুভ বলেই ধরা হয় ৷ কিন্তু, এবারের রথযাত্রার দিনটি বড় বিবর্ণ, মলিন, করোনার দাপটে সব দোকান-পাটের ঝাঁপ বন্ধ ৷ কোনদিকেই নেই উৎসবের আমেজ। লোক সমাগম নিষিদ্ধ আছেই।
সকালে সিরাজু-দ্দৌলা সড়কে দেখা যায় দু একটা দোকান বসেছে। মুড়ি, খই, বাতাসা, ছাঁচ খাজা ইত্যাদি নিয়ে। এরকম খুঁজে পাওয়া গেল জনা দশেক মতো। হয়তো বেলা বাড়লে আরো দু’একজনের দেখা মিলতে পারে। তবে মানুষের সেই শোড়গোল নেই। উৎসব আমেজ তো নেইই।
কুষ্টিয়ার রথে যেটি দেখা যায় তা হলো এখানে ধর্মীয় রেশের পাশাপাশি পণ্য মেলা হয়। ধর্মীয় আবহাওয়াটি তার মতো করেই চলে। তবে পণ্য মেলাটি সকল ধর্ম-বর্ণ-জাতির মানুষকে আগাগোড়াই আকর্ষিত করে। দিন ধরে নারী পুরুষ নির্বিশেষে এসব দৈনন্দিনের ব্যবহৃত পণ্য সংগ্রহ করে ঘরে ফেরে।
কথা হয় জেলার সবথেকে বড় মন্দির শহরের নবাব সিরাজু-দ্দৌলা সড়ক ঘেঁষে গড়ে উঠা গোপীনাথ জিউর মন্দিরের সভাপতি ও কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি এডভোকেট অনুপ কুমার নন্দীর সাথে। তিনি জানান বাস্তবতাকে মেনে নিয়েই সবকিছু করতে হবে। মানুষের জীবন প্রথম তারপর অন্যকিছু। অনুপ জানান সাধারন ধর্মীয় বিষয়াবলী রীতিমাফিক মন্দিরেই অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন কুষ্টিয়ার এই রথ উৎসব এ এলাকার সবচে বড় উৎসব। এখানে প্রচুর লোকসমাগম হয়। উৎসব করতে গেলে বিপর্যয় নেমে আসবে।
কথা বলেন স্কুল শিক্ষিকা শর্মিলা গুহ বলেন এই উৎসবের নানান দিক রয়েছে। সবাই মিলে উৎসবে থাকার কারনে রথে মজা হয় আলাদা রকমের। এবারে করোনার কারনে তা হলো না।
সরকারী চাকুরে রবিউল হোসেন জানান প্রতি বছরই রথ থেকে তার পরিবার দৈনন্দিন প্রয়োজনের অনেক কিছু কেনাকাটা করে থাকেন।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
 1
2345678
9101112131415
16171819202122
23242526272829
30  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net