November 21, 2024, 6:48 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ঢাকা বোর্ডের এইচএসসি বাংলা ১ম পত্র পরীক্ষায় সাম্প্রদায়িক উস্কানিমূলক প্রশ্নপত্র তৈরি করার সাথে জড়িত চার শিক্ষকের সাথে জড়িত কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার ভেড়ামারা আদর্শ কলেজের সহকারী অধ্যাপক রেজাউল করিম গা ঢাকা দিয়েছেন। প্রশ্নপত্র নিয়ে তীব্র সমালোচনা সৃষ্টি হওয়ায় মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) থেকেই থেকেই তিনি নিজেকে লুকিয়ে রেখেছেন। তার ব্যবহৃত দৃটি মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে ঐ দিন থেকে। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারী পলিটেকনিক কলেজের সাথে জড়িত রয়েছেন। ঐ কলেজে যোগাযোগ করেও তার হদিস পাওয়া যায়নি।
ইতেমাধ্যে ওঠা উসকানির অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। যশোর শিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক কে এম রব্বানীকে তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে। একই শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ও উপ-কলেজ পরিদর্শককে কমিটির সদস্য করা হয়েছে।
এর আগে ওই প্রশ্নপত্র তৈরির সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের নামের তালিকা প্রকাশ করে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। বোর্ড থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলা প্রথমপত্রের সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষমূলক প্রশ্নপত্রটি যশোর শিক্ষাবোর্ড কর্তৃক প্রণীত।
অভিযুক্ত শিক্ষকদের তালিকায় মোট চারজন শিক্ষক রয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার একটি কলেজের একজন সহকারী অধ্যাপক।
এ কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠাবে যশোর শিক্ষা বোর্ড। মঙ্গলবার (৮ নভেম্বর) যশোর শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আহসান হাবীব গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের বাংলা প্রথমপত্রের প্রশ্ন যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে মডারেট করা হয়েছিল। এ কারণে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে যশোর শিক্ষা বোর্ডের অধীনে তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। তদন্তে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে সুপারিশ পাঠানো হবে। পাশাপাশি অপরাধের বিষয়ে ব্যাখ্যা চেয়ে শোকজ করা হবে।’
কী আছে প্রশ্নে/
প্রশ্নের উদ্দীপক অংশে বলা হয়, ‘নেপাল ও গোপাল দুই ভাই। জমি নিয়ে বিরোধ তাদের দীর্ঘদিন। অনেক সালিশ-বিচার করেও কেউ তাদের বিরোধ মেটাতে পারেনি। কেউ কাউকে ছাড় দিতে নারাজ। এখন জমির ভাগ-বণ্টন নিয়ে মামলা চলছে আদালতে। ছোট ভাই নেপাল বড় ভাইকে শায়েস্তা করতে আব্দুল নামে এক মুসলমানের কাছে ভিটের জমির এক অংশ বিক্রি করে। আব্দুল সেখানে বাড়ি বানিয়ে স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করে। কোরবানির ঈদে সে নেপালের বাড়ির সামনে গরু কোরবানি দেয়। এই ঘটনায় নেপালের মন ভেঙে যায়। কিছুদিন পর কাউকে কিছু না বলে জমি-জায়গা ফেলে সপরিবারে ভারতে চলে যায় সে।’
Leave a Reply