November 22, 2024, 12:02 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
ভারতে বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে করোনার নতু ভ্যারিয়েন্ট ছড়িযে পড়ার আশঙ্কা থেকে সেখান থেকে ফিরতে শুরু করেছেন বাংলাদেশ থেকে সেখনে যাওয়া নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। সোমবার বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে দেশে ফিরেছে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্বিগুণ মানুষ। ভারত ফেরত যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে কলকাতাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে। এ কারণে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরতে শুরু করেছেন চিকিৎসা এবং ভ্রমণ ভিসার যাত্রীরা।
অনেক যাত্রী জানান তারা পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও ভারত ভ্রমণে বেড়িয়েছিলেন। কিন্তু করোনার আশঙ্কায় তারা ফিরছেন।
অনেকে জানান তাদের গতবারের অভিজ্ঞতা বলছে করোনা বেগতিক হলে সীমান্ত সিল হয়ে যেতে পারে। তখন ফিরতে সমস্যা হবে।
বেনাপোল ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহবুব হোসেন জানান, গত ৩ দিন ধরে স্বাভাবিকের তুলনায় ভারত থেকে বেশি পাসপোর্ট যাত্রী দেশে ফিরছে। যাত্রীদের সাথে কথা বলে জেনেছেন, করোনা আতঙ্কের কারণে অনেকেই ফিরছেন। তিনি জানান, সংক্রমণ প্রতিরোধে বাড়তি কোনো নির্দেশনা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে এখনও পাননি। তবে তারা সতর্কতা অবলম্বন করে যাত্রীদের সেবা প্রদান করছেন।
এদিকে ভারতে দেশের নানা প্রান্তের মতো কলকাতাতেও কোভিড মোকাবিলার মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার শহরের ৩ হাসপাতালে ভাইরাসের সংক্রমণ মোকাবিলার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হবে। আগামী দিনে যদি কোভিডের কোনও ঢেউ আসে, তবে তার মোকাবিলার জন্য শহরের হাসপাতালগুলি কতটা প্রস্তুত, মহড়ার মাধ্যমে দেখে নেওয়া হবে সেটাই।
মঙ্গলবার কলকাতার যে ৩টি হাসপাতালে মহড়ার আয়োজন করা হয়েছে, সেগুলি হল বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল, শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতাল এবং এমআর বাঙ্গুর হাসপাতাল। মোট ৩ দিন ধরে মহড়া চলবে বলে প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে। সে ক্ষেত্রে, শহরের অন্য ব়়ড়় হাসপাতালে মহড়ার জন্য অন্য দিন নির্ধারিত।
চিনে কোভিড সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মাঝে ভাইরাস নিয়ে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করছে ভারত সরকার। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকের পর মঙ্গলবারের এই মহড়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দেশের অন্যান্য শহরেও হাসপাতাল এবং স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে ‘মক ড্রিল’ হবে মঙ্গলবার।
বস্তুত, কোভিড সংক্রমণ দেশে আবার বাড়তে শুরু করলে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন এবং আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা আছে কি না, মঙ্গলবারের মহড়ায় সেটাই দেখা হবে। ‘মক ড্রিল’-এ মূলত এই দু’টি বিষয়ের উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, হাসপাতালে কোভিড মোকাবিলার সাজসরঞ্জাম প্রস্তুত আছে কি না, যন্ত্রপাতি ঠিকমতো কাজ করছে কি না, তা-ও নিশ্চিত করবে মঙ্গলের মহড়া।
হঠাৎ করে দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করলে সেই পরিস্থিতি সামাল দিতে হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে যাতে আগের মতো হিমসিম খেতে না হয়, তা নিশ্চিত করতেই মহড়ার আয়োজন। কলকাতায় সেই প্রস্তুতি মঙ্গলবার ঝালিয়ে নেবে এমআর বাঙ্গুর, শম্ভুনাথ পণ্ডিত এবং বেলেঘাটা আইডি হাসপাতাল।
তবে এই মহড়ায় কোনও রোগী অংশ নেবেন না। রোগী ছাড়াই হাসপাতালের ক্রিয়াকলাপ ঝালিয়ে নেওয়া হবে। যাতে ভবিষ্যতে রোগী এলে তাঁকে কম সময়ের মধ্যে সবরকম চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হয়।
Leave a Reply