September 27, 2025, 9:03 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
দুর্গাপূজা উপলক্ষে সারাদেশে র‌্যাবের ২৮১ টহল দল মোতায়েন ভারত চাল রফতানিতে নতুন নিয়ম জারি করেছে, বাংলাদেশের আমদানিতে প্রভাব কুষ্টিয়ায় হত্যাকাণ্ড/ট্রাইব্যুনালে ইনুর বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জমা কুষ্টিয়ার দৈৗলতপুরে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৩ নির্বাচনে আ. লীগ ও জাতীয় পার্টির অংশগ্রহণ চান মির্জা ফখরুল নিঃশর্ত ক্ষমা চাইতে মুফতি আমির হামজাকে আইনি নোটিশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সঙ্গীত ও নৃত্যের শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে নাগরিকদের আহ্বান দুর্গাপূজা/ ভারতে ৫০০ কেজি চিনিগুঁড়া চাল উপহার পাঠলো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় চুয়াডাঙ্গায় ধর্ষণের অপরাধে যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ছয় মাসে ব্যাংক খাতে চাকরি হারালেন ৯৭৮ জন

২০৫০ সালের মধ্যেই বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম জনসংখ্যার দেশ হবে ভারত: পিউ রিসার্চ

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যার হার বৃদ্ধির প্রেক্ষাপট ধরে গবেষণা চালিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক গবেষণা সংস্থা পিউ রিসার্চ সেন্টার জানিয়েছে আগামী কয়েক দশকের মধ্যেই ভারত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের তালিকায় শীর্ষস্থানে পৌঁছাবে।
এক্ষেত্রে ভারত ইন্দোনেশিয়াকে পেছনে ফেলে দেবে। সেখানে বাংলাদেমসহ অন্য অনেক কয়েকটি দেশে জনসংখ্যা কমবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১০ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত বিশ্বে মুসলিমদের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩৪ কোটি ৭০ লাখ। এ সময় মুসলিমদের জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ছিল অন্য সব ধর্মের চেয়ে বেশি। যেখানে ২০১০ সালে বিশ্বে মুসলিম জনগণের হার ছিল ২৩.৯ শতাংশ, ২০২০ সালে তা বেড়ে হয়েছে ২৫.৬ শতাংশ। এই বৃদ্ধির মূল কারণ হিসেবে গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে জন্মহার এখনও মৃত্যুহারের চেয়ে অনেক বেশি। যদিও ধর্মান্তরের ঘটনাও কিছুটা ভূমিকা রেখেছে, তবে তার প্রভাব তুলনামূলকভাবে সীমিত।
পিউ রিসার্চ সেন্টারের মতে, মুসলিম জনসংখ্যার বড় অংশই বেড়েছে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে। তাদের পূর্বাভাস, ২০৫০ সালের মধ্যে বৈশ্বিক মুসলিম জনসংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ২৮০ কোটিতে।
অন্যদিকে, একই সময়ে বিশ্বজুড়ে হিন্দু জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১২ শতাংশ, যা মোট বৈশ্বিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির অনুপাতে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ২০২০ সালে বিশ্বে হিন্দু জনসংখ্যা ছিল ১২০ কোটি, যা মোট জনসংখ্যার ১৪.৯ শতাংশ। তবে ভারতে হিন্দুদের অনুপাত কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। ২০১০ সালে যেখানে দেশটির জনসংখ্যার ৮০ শতাংশ হিন্দু ছিল, ২০২০ সালে তা কমে হয়েছে ৭৯ শতাংশ।
অন্যদিকে, ভারতের মুসলিম জনসংখ্যা একই সময়ের মধ্যে ১৪.৩ শতাংশ থেকে বেড়ে ১৫.২ শতাংশে পৌঁছেছে। ১০ বছরে দেশটিতে মুসলিম জনসংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৩ কোটি ৫৬ লাখ, যার পেছনে মূলত অধিক প্রজনন হারকেই দায়ী করেছে গবেষণা সংস্থাটি।
পিউ-এর প্রতিবেদনে অন্যান্য ধর্মীয় গোষ্ঠীর অবস্থাও তুলে ধরা হয়েছে। খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা বেড়ে ২১৮ কোটি থেকে ২৩০ কোটিতে পৌঁছালেও মোট জনসংখ্যার অনুপাতে তাদের হার কমেছে। ২০১০ সালে বিশ্বে খ্রিস্টানদের হার ছিল ৩০.৬ শতাংশ, যা ২০২০ সালে নেমে এসেছে ২৮.৮ শতাংশে।
বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনে কঠোর জন্মনিয়ন্ত্রণ নীতির কারণে বৌদ্ধ জনসংখ্যার এই পতন ঘটেছে, কারণ দেশটিতেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধ বসবাস করে।
একটি চমকপ্রদ তথ্য হলো—মুসলিমদের পর সবচেয়ে দ্রুত হারে বেড়েছে নাস্তিক বা ধর্মনিরপেক্ষ মানুষের সংখ্যা। ১০ বছরে ২৭ কোটি বাড়িয়ে এদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯০ কোটিতে। বর্তমানে বিশ্বে মোট জনসংখ্যার ২৪.২ শতাংশ মানুষ কোনো ধর্ম মানেন না বা নিজেদের নাস্তিক হিসেবে পরিচয় দেন।
এই বিশ্লেষণ অনুযায়ী, আগামী কয়েক দশকে বিশ্বে ধর্মীয় গঠন ও ধর্মভিত্তিক জনসংখ্যায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, যার রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক প্রভাবও পড়বে বিস্তৃতভাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net