March 24, 2025, 5:09 am
একটি দৈনিক কুষ্টিয়া বিশেষ প্রতিবেদন//
কামাল উদ্দিন ওরফে হাজী কামাল। ৫৫ বছরের এই ব্যক্তিটির পরিচয় তিনি একজন টাইলস মিস্ত্রি কাম টাইলস ব্যবসায়ী। কিন্তু এর আড়ালে গত ১০ বছর ধরে তিনি অবৈধ প্রক্রিয়ায় মানবপাচার করে আসছেন। টাইলস-শ্রমিকের অধিক চাহিদা, দিনে ৫/৬ হাজার করে টাকা ইনকামের সুযোগ আছে— এমন প্রলোভন দেখিয়ে গত ১০ বছরে লিবিয়ায় ৪০০ বাংলাদেশিকে পাচার করেছেন তিনি।
মজার ব্যাপা হলেও মানবপাচারের একটি বিশাল রিংএর সাথে জড়িত থাকলেও কুষ্টিয়ার কামাল হোসেন ওরফে হাজি কামালের এলাকার লোকজন তা কখনও জানেনি, জানেও না। কারন সুচতুর কামাল কখনও নিজের এলাকার মানুষের সাথে কোন প্রতারণার খেলাটি করেননি। তাই জন্যে তার এলাকার মানুষ তাকে সৎ, সজ্জন বলে অভিহিত করলেন। তার নিজ এলাকা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খোর্দ আইলচারা গ্রামে। এলাকায় তিনি জনপ্রিয়। এলাকায় মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত দান করেছেন। গরীব মানুষদের নিয়মিত অর্থ দিতেন বাড়িতে আসলে। এলাকায় এসে মাঝে মধ্যে খাসি, গরু এসব জবাই করে মানুষকে খাওয়াতেন। সেখানে রাজনৈতিক দলের নেতারাও যেতেন। এক সময় বিএনপির রাজনীতি করলেও বর্তমান দিনগুলোতে আওয়ামী লীগের ছত্রছায়ায় চলাফেরা করতেন। তাকে খুব দেখা যায় কুষ্টিয়ার এক বড় আওয়ামী লীগ নেতা বাসায়।
তার নিজ এলাকা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার খোর্দ আইলচারাসহ আশেপাশের গ্রামের অনেককেই তিনি বিদেশ পাঠিয়েছেন। এলাকার মানুষের কাছে আস্থা ও জনপ্রিয়তা বাড়াতে এলাকায় মসজিদ মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত দান করেছেন। গরীব মানুষদের নিয়মিত অর্থ দিতেন বাড়িতে আসলে।
র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর তার নিজ এলাকায় নানা আলোচনা চলছে। লিবিয়ায় মানুষ পাচার ও ২৬ বাংলাদেশী হত্যাকান্ডের পর র্যাবের হাতে গ্রেফতারকৃত হাজী কামাল হোসেনের এলাকায় গিয়ে নানা তথ্য মিলেছে। গতকাল মঙ্গলবার সকালে কামাল হোসেনের গ্রামের বাড়ী কুষ্টিয়া সদর উপজেলার আইলচারা ইউনিয়নের খোর্দ্দ আইলচারায় গিয়ে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ ছাড়াও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে নানা বিষয়ে কথা হয়। তার এসময় কামালের বাড়িতে ভীড় জমে যায় অনেক মানুষের। গ্রেফতারের খবর শুনেও তার বাড়িতে অনেকে আসেন।
কামাল সর্ম্পকে জানা গেছে তিনি লিবিয়াতে যাওয়ার পূর্বে কারো কাছ থেকে মাত্র এক লাখ টাকা নিতেন। দেখে মনে হতো কত অল্প টাকায় তিনি কাজ করেন। কিন্ত বিদেশে পাঠানোর পর ফাঁদে ফেলে বাকি চার লাখ টাকা পরিবারের কাছ থেকে শর্ত মতো আদায় করতেন। শুধু লিবিয়া নয়, তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবৈধ প্রক্রিয়ায় শ্রমিকদের পাঠাতেন।
এভাবে অবৈধভাবে ইউরোপে পাঠানোর সময় সম্প্রতি লিবিয়ার মিজদাহ শহরে গত ২৮ মে নৃশংসভাবে ২৬ বাংলাদেশিকে গুলি করে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় ১১ বাংলাদেশি মারাত্মক আহত হন। অবৈধভাবে বিদেশে পাঠানোর ঘটনাটি দেশ-বিদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ওই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে র্যাব-৩ ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। তদন্তে উঠে আসে হাজী কামালের নাম। সোমবার (১ জুন) ভোরে র্যাব-৩ এর একটি দল গুলশান থানাধীন শাহজাদপুরের বরইতলা বাজার খিলবাড়িরটেক এলাকা থেকে হাজী কামালকে গ্রেফতার করে। তিনি কুষ্টিয়া জেলা সদরের জামাত আলী মন্ডলের ছেলে।
রাজধানীর টিকাটুলি র্যাব-৩ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান অধিনায়ক (সিও) লে. কর্নেল রকিবুল হাসান। ওই ঘটনায় বাংলাদেশে ভিকটিমদের আত্মীয়-স্বজন মাদারীপুর রাজৈর থানা, কিশোরগঞ্জের ভৈরব থানায় মানবপাচার বিরোধী আইনে দুটি মামলা হয়। এরপর র্যাব-৩ ছায়া তদন্ত করে নিশ্চিত হবার পর মানবপাচারের সাথে জড়িত চক্রটির অন্যতম হোতা কামালকে রাজধানীর গুলশান শাহজাদপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, তিনি মিথ্যা আশ্বাস প্রদান করে বিদেশে কর্মসং¯’ানের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর যাবত এই অপরাধের সাথে সম্পৃক্ত আছে মর্মে স্বীকার করেন। এই সংঘবদ্ধ চক্রটি বিদেশি চক্রের যোগসাজসে অবৈধভাবে বাংলাদেশি নাগরিকদের বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করে আসছে।
চক্রটি তিনটি ধাপে মানবপাচারের কাজ সম্পন্ন করত। ১. বিদেশে গমনেচ্ছুক নির্বাচন, ২. বাংলাদেশ হতে লিবিয়ায় প্রেরণ এবং ৩. লিবিয়া হতে ইউরোপ প্রেরণ।
প্রথমে তারা বিদেশে গমনেচ্ছুদের নির্বাচন করত। চক্রের দেশীয় এজেন্টরা প্রত্যন্ত অঞ্চলের স্বল্প আয়ের মানুষদের অল্প খরচে উন্নত দেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে আকৃষ্ট করে থাকে। ভাগ্য পরিবর্তনের আশায় অনেকেই তাদের প্রস্তাবে সাড়া দেয়। ইচ্ছুকদের বিদেশে গমনের ক্ষেত্রে পাসপোর্ট তৈরি, ভিসা সংগ্রহ, টিকেট ক্রয়- প্রভৃতি কার্যাবলী এই সিন্ডিকেটের তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন হয়ে থাকে। পরবর্তীতে তাদের এককালীন বা ধাপে ধাপে কিস্তি নির্ধারণ করে ইউরোপের পথে পাড়ি দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়।
সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রার্থীদের সামর্থ অনুযায়ী ধাপ নির্বাচন করে থাকে। ইউরোপ গমনের ক্ষেত্রে তারা ৭/৮ লাখ টাকার বেশি টাকা নিয়ে থাকে। এর মধ্যে সাড়ে ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা লিবিয়ায় যাওয়ার আগে এবং বাকি আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা লিবিয়ায় যাওয়ার পর ভিকটিমের আত্মীয়-স্বজনের নিকট থেকে নেয়।
বাংলাদেশ থেকে লিবিয়ায় প্রেরণের ক্ষেত্রে চক্রটির সদস্যরা বেশ কয়েকটি রুট ব্যবহার করে থাকে। আবার রুটগুলো তারা সুযোগ-সুবিধা অনুযায়ী মাঝেমধ্যে পরিবর্তন অথবা নতুন রুট নির্ধারণ করে থাকে। সম্প্রতি লিবিয়াতে প্রেরণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ-কলকাতা-মুম্বাই-দুবাই-মিশর-বেনগাজী-ত্রিপলি (লিবিয়া) রুট ব্যবহার করা হচ্ছিল।
দুবাইয়ে পৌঁছে তাদের বিদেশি এজেন্টদের তত্ত্বাবধানে ৭/৮ দিন অবস্থান করানো হয়। বেনগাজীতে প্রেরণের লক্ষ্যে বেনগাজী হতে এজেন্টরা কথিত ‘মরাকাপা’ নামক একটি ডকুমেন্ট দুবাইতে প্রেরণ করে থাকে। যা দুবাইয়ে অবস্থানরত বিদেশি এজেন্টদের মাধ্যমে ভিকটিমদের নিকট হস্তান্তর করা হয়। অতঃপর ওই ডকুমেন্টসহ বিদেশি এজেন্ট তাদের মিশর ট্রানজিট দিয়ে বেনগাজী লিবিয়ায় প্রেরণ করে। বেনগাজীতে বাংলাদেশি এজেন্ট তাদের বেনগাজী হতে ত্রিপলীতে স্থানান্তর করে।
ভিকটিমরা ত্রিপলিতে পৌঁছানোর পর ত্রিপলিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি কথিত কয়েকজন এজেন্ট তাদের গ্রহণ করে। পরে তাদের ত্রিপলিতে বেশ কয়েকদিন অবস্থান করানো হয়। অতঃপর ত্রিপলিতে অবস্থানকালীন সময়ে দেশীয় প্রতিনিধির দ্বারা ভিকটিমদের আত্মীয়-স্বজন হতে অর্থ আদায় করা হয়।
অতঃপর ভিকটিমদের ত্রিপলির বন্দর এলাকায় একটি সিন্ডিকেটের নিকট অর্থের বিনিময়ে ইউরোপে পাচারের উদ্দেশ্যে তাদের হস্তান্তর করা হয়। সিন্ডিকেট সমুদ্রপথে অতিক্রম করার জন্য নৌ-যান চালনা এবং দিক নির্ণয়যন্ত্র পরিচালনাসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়। একটি নির্দিষ্ট দিনের ভোররাতে একসঙ্গে কয়েকটি নৌ-যান লিবিয়া হয়ে তিউনেশিয়া উপকূলীয় চ্যানেল হয়ে ইউরোপের পথে রওনা দেয়। এভাবে ঝুঁকিপূর্ণ পথে গমনকালে ভিকটিমরা ভূমধ্যসাগরের মাঝে মধ্যেই দুর্ঘটনার শিকার হয় এবং জীবনাবসানের ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার কামাল উদ্দিন দালাল চক্রটির অন্যতম মূলহোতা। তিনি গত প্রায় এক যুগ ধরে অবৈধভাবে লিবিয়াতে প্রায় ৪০০ বাংলাদেশিকে পাঠিয়েছেন। লিবিয়া ছাড়াও তিনি মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে অবৈধ প্রক্রিয়ায় মানবপাচার করেছেন।
তিনি পেশায় একজন টাইলস কনট্রাক্টর। প্রচুর পরিমাণে টাইলস শ্রমিক তার সংস্পর্শে আসে। এ সুযোগে তিনি তাদের প্রলুব্ধ করেন যে, লিবিয়াতে টাইলস মিস্ত্রিদের অনেক চাহিদা। সেখানে গেলে দিনে ৫/৬ হাজার টাকা ইনকাম করা সম্ভব। ই”ছুকদের কাছ থেকে মাত্র এক লাখ টাকা নিতেন, লিবিয়ায় পৌঁছানোর পর বাকি ৪/৫ লাখ টাকা পরিবারের কাছ থেকে শর্ত মতো আদায় করতেন।
শ্রমিকরা লিবিয়াতে পৌঁছানোর পরে সেখানে অবস্থান করা অন্যান্য পাচারকারী দলের সদস্যরা ভিকটিমদের জিম্মি করে অতিরিক্ত টাকা দাবি, এমনকি শারীরিক নির্যাতন করত। সেই নির্যাতনের ভিডিও ভিকটিমদের পরিবারের নিকট প্রেরণ করা হতো। এমনকি সরাসরি মোবাইলফোনে যোগাযোগ করত, যার কারণে ভিকটিমদের পরিবার জীবন বাচাঁনোর জন্য পাচারকারী দলের চাহিদা মোতাবেক টাকা প্রেরণ করতে বাধ্য হতেন।
কামাল হোসেনের বড় ভাই অবসরপ্রাপ্ত স্কুল মাষ্টার লুৎফর রহমান বলেন ডিগ্রী ফেল করার পর বাবা রাগ করলে বাড়ি ছেড়ে চলে যায় কামাল হোসেন ১৯৯৪ সালের বেশ কয়েক বছর ঢাকা কাটিয়ে বাড়ি ফিরে এসে পাড়ি জমান সৌদি আরব। আড়াই বছর সেখানে টাইলস মিস্ত্রির কাজ শেষে দেশে ফিরে আসেন। এরপর রাজধানী ঢাকায় টাইলস মিস্ত্রির ঠিকাদারি কাজ শুর“ করেন, নিজেও কাজ করতেন। এভাবেই এক সময় জড়িয়ে পড়েন আদমপাচারের ব্যবসায়।
তবে তার পরিবার সাফাই গেয়েছেন কামালের পক্ষে। তাদের ভাষায় কামাল নিতান্তই একজন দালাল হিসেবে কাজ করেছে। তার নিজের কোন এজেন্সি ছিল না। অন্যের সাথে তিনি ব্যবসা করতেন। ১০ লাখ টাকা কামাল আয় করলে ৮ লাখই তার বিভিন্ন জায়গায় খরচ হয়েছে।
কামাল হোসেনের এক বোন রফিজা খাতুন দাবি করেন, তার ভাইয়ের বিভিন্ন ব্যাংকে একাউন্ট থাকলেও অর্থ নেই। তার যদি ব্যাংকে কোটি কোটি টাকা থাকতো তাহলে তিনি বাড়া বাসা থাকতেন না। গ্রামের বাড়িতে একটি একতলা ভবন আছে আর মাঠে কিছু জমি ছাড়া এলাকায় তিনি কোন সম্পদ করনেনি। ২০০ কোটি টাকার যে কথা বলা হচ্ছে তার কোন ভিত্তি নেই।’
কামালের ভাই লুৎফর রহমান বলেন, লিবিয়ায় যে ২৬ জন লোক মারা গিয়েছে ও ১১ জন আহত হয়েছে তার মধ্যে একজন তার ভাইয়ের লোক ছিল। বাকিরা অন্য লোকের মাধ্যমে গিয়েছিল।
তিনি বলেন, লিবিয়া পর্যন্ত পৌঁছানোর দায়িত্ব ছিল আমার ভাইয়ের। চোরাই পথে লোক যেত। এরপর লিবিয়া থেকে বর্ডার পার হয়ে ইতালি যেত অনেকে। আর ইতালি হয়ে ফ্রান্সে গিয়েছে এমন লোকও আছে ঐ গ্রামেই। তারাতো ভাল আছে। আমার ভাইয়ের বিরুদ্ধে কেউ কোনদিন কোন অভিযোগ নিয়ে আসেনি।
এলাকার বাসিন্দা আনিসুজ্জামান জানান,‘ ২০০২ সালে একবার এলাকায় নির্বাচন করবেন বলে পোষ্টার মারেন কামাল হোসেন ওরফে হাজী কামাল। সেই পোষ্টারে তারেক জিয়াসহ বিএনপির নেতাদের ছবি ছিল। ২০০৩ সালে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার ঘোষনা দিলেও পরে তিনি আর নির্বাচন করেননি।
এরপর ঢাকা থেকে স্ত্রী ও ছেলে নিয়ে এলাকায় আসতেন। গর“, ছাগল জবাই করে লোকজনকে খাওয়াতেন। মসজিদ, মাদ্রাসাসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অর্থ দান করতেন। এলাকায় তার প্রভাব বাড়তে থাকে। সবার কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যায়। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতার সাথে জানাশোনা রয়েছে। এভাবে তার মাধ্যমে এলাকার অনেকেই বিদেশ যান। কোন সময় কেউ না যেতে পারলেও তার অর্থ ফিরিয়ে দিতেন কামাল হোসেন। এভাবে সবার কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেন তিনি।
¯’ানীয় এক মুদি দোকানি বলেন,‘ কামাল তার সমবয়সী। একসাথে পড়তেন। কামাল ভাল ফুটবল ও ভলিবল খেলতো। তার সাথে আমিও খেলেছি। তবে বর্তমানে সে ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের সাথে লিঁয়াজো রেখে চলতো। আওয়ামী প্রজন্ম লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিল বলে আমরা জানি। তবে এলাকায় সে ভাল হলেও বাইরে কি করতো আমরা জানি না। টিভির খবরে শুনলাম সে গ্রেফতার হয়েছে। তার না-কি অনেক টাকা। বিষয়টি যেন কেমন লাগছে।
তার প্রতিবেশিরা জানান,‘ কামাল হোসেনরা ৪ ভাই ৩ বোন। বাবা জামাত আলী লেখাপড়া না জানলেও সব ছেলে-মেয়েকে শিক্ষিত করনে। সবাই চাকুরি করে। তার মামা আইলচারা ইউনিয়নের একটানা ১৫ বছর চেয়ারম্যান ছিলেন। এ কারনে এলাকায় তাদের প্রভাব রয়েছে।
বাবা মারা গেলেও কামাল হোসেনের মা এখনো জীবিত আছেন। তিনি সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করেন। তার ছেলে নির্দোষ বলে জানান তিনি।’
Leave a Reply