December 8, 2024, 4:09 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া প্রতিবেদক/
কুষ্টিয়ায় করোনায় আক্রান্তের তীব্রতা আরো বেড়েছে। ঈদের পর প্রথম নমুনা পরীক্ষাতে আক্রান্তের এই পরিমান দ্বিগুণ হয়েছে। জেলার ৬ উপজেলায় এ নিয়ে মোট আক্রান্তের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮৭১। গত ২৪ ঘন্টায় ৬ উপজেলার নমুনা পরীক্ষার ফলাফল এটি।
এটি খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মধ্যে দ্বিতীয় সর্বোত্তম। আক্রান্তে সবোর্চ্চে রয়েছে খুলনা জেলা। বিভাগের ১০ জেলায় আক্রান্ত প্রায় ১২ হাজারের প্রায় ৫ হাজারই খুলনা জেলার।
এবারের আক্রান্তে অন্তর্ভক্ত হয়েছে পৌর এলাকা। গত ২৪ ঘন্টার ফলাফল বিশ্লেষণ করে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞগণ জানাচ্ছেন এবার পৌর এলাকাগুলোতে প্রবেশ করেছে ভাইরাসটি। এতদিন সর্বাধিক পরিমাণে জেলা সদরের আনাচে কানাচে আক্রান্ত কররেও এবার শহররের দিকে ছড়িয়ে পড়েছে এটি। গত ২৪ ঘন্টায় যারা আক্রান্ত হয়েছেন এবং আগামী ২৪ ঘন্টায় যাদের সিরিয়াল তাদের বেশীরভাগই পৌর এলাকার।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক তাপস কুমার সরকার বিষয়টি পরিস্কার করে জানিয়েছেন যে শহরে সংক্রমণের পরিমাণ বেড়েছে। এ নিয়ে তিনি তান ফেসবুক আইডিতে একটি স্ট্যাটাসও দিয়েছেন গত সন্ধ্যায়।
এই চিকিৎসক, যিনি কোভিড পরিস্থিতির শুরু থেকেই জেলাতে নীতি নির্ধারণী ছাড়াও নিবিড়ভাবে বিষয়টির পর্যবেক্ষণ করে আসছেন জানান যে মানুষের সমাগমের সাথে এই ভাইরাসটির সংক্রমণের ঘনিষ্ঠ সর্ম্পক রয়েছে। যতবেশী লোকমাগম ততোবেশী সংক্রমণ বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন মার্কেট, শপিংমলগুলো উন্মৃক্তভাবে খোলা থাকবার কারনে পৌর এলাকাতে ব্যাপক লোক সমাগম হচ্ছে। যার ফলাফল করোনা সংক্রমণের পক্ষে যায়। তিনি বলেন আগামী দু’সপ্তাহ পৌরবাসীর জন্য চরম ঝুঁকিপূর্ণ।
কুষ্টিয়া শহরে প্রথম করোনা রোগী পাওয়া যায় ২৩ মার্চ। আক্রান্ত ব্যক্তি অবশ্য কুষ্টিয়ার বাসিন্দা ছিলেন না। তিনি মাদারীপুর থেকে আক্রান্ত হয়ে কুষ্টিয়া আসেন। ধীরে ধীরে পুরোজেলা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ে ভাইরাসটি। ধারনা করা হয় বাইরে থেকেই এই জেলায় করোনা আসে।
জেলায় সবথেকে বাজে পরিবেশ তৈরির পেছনে রয়েছে আইন অমান্য করার প্রবনতা। করোনা প্রতিরোধের সাধরন যেসকল নিয়ম কানুনগুলো রয়েছে এখানে সেসব অবলিলায় ভেঙে চলেছে মানুষ। বারবার নানাভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেও কোন কাজ হয়নি। জেলা প্রশাসন, পুলিশ, জনপ্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনসহ নানাবিধ উদ্যোগ ছিল জেলাবাসীর জন্য।
কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এসএম তানভির আরাফত পিপিএম (বার) কুষ্টিয়ার মানুষ নিয়ম মেনে চলতে পারেনি বলে জানান। তিনি বলেন পুলিশ শত চেষ্টা করে করে পুলিশের সদস্যরাই শেষ পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে। লাভ হয়নি কোন। তিনি মানুষের জীবনের চেয়ে অর্থ আয়ের প্রবনতাকে এই অবস্থার জন্য সবচে বেশী দায়ি করেন বলেন কেউই নিয়ম মানতে চাননি। তিনি বলেন হয় ভয়াবহতা তারা বুঝতে পারেননি অথবা তারা একেবারেই কেয়ার করেননি।
Leave a Reply