April 23, 2025, 1:38 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
দক্ষিণ-পশ্চিম সীমান্ত দিয়ে রুপা পাচারের ঘটনা বৃদ্ধি, ৪ মাসে উদ্ধার ১০২ কেজি রোববার পর্যন্ত আবহওয়ার খবর/চুয়াডাঙ্গাসহ চার অঞ্চলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ছড়াবে অন্য জেলাতেও সরকারের প্রচেষ্টায় ভবদহের জলাবদ্ধতার স্থায়ী সমাধানের পথ শীঘ্রই উন্মুক্ত হবে : রিজওয়ানা হাসান বেনাপোল কাস্টমসে ৯ মাসে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৩৮ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায় কুষ্টিয়ায় বিদ্যালয় থেকে নৈশপ্রহরীর মরদেহ উদ্ধার, হত্যা নাকি আত্মহত্যা নিশ্চিত নয় পুলিশ জানা গেল তত্ত্বাবধায়কের বিয়ে তাই কাঙাল হরিনাথের প্রয়াণ দিবসে ছিল না কোনো আয়োজন ! একটি দলকে সরিয়ে আরেকটি দলকে ক্ষমতায় বসাতে গণঅভ্যুত্থান হয়নি : নাহিদ খুলনা বিভাগের ১০ জেলার ৫ জেলায় এক কেজি ধানও পায়নি খাদ্য বিভাগ ! সীমান্তে মাদক সরবরাহ করতে এসে ৩ ভারতীয় আটক দর্শনায় পুলিশ সদস্যের ঝুলন্ত মরদেহ, দাফন হবে নিজ বাড়ি কুষ্টিয়ায়

কুষ্টিয়ায় মানবাধিকার সংগঠন অধিকার এর মানব বন্ধন

আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষ্যে কুষ্টিয়ায় মানব বন্ধন করেছে মানবাধিকার সংগঠন অধিকার।
বৃহষ্পতিবার কুষ্টিয়া পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে সংবাদ কর্মী হাসান আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানব বন্ধনে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত গুম ও হেফাজতে নির্যাতন, সীমান্তে হত্যার শিকার হওয়া ব্যাক্তির পরিবারের সদস্য, মানবাধিকার ও সংবাদ কর্মীসহ সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশ গ্রহন করেন।
এসময় বক্তারা বলেন, মুক্তমত প্রকাশের বাহন গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কালো আইন প্রবর্তন করে নির্যাতন-নিষ্পেষন ও নাগরিক অধিকার লংঘনের ঘটনা ঢেকে রাখতে ষোলকলা পূর্ন করেছে সরকারের সংশ্লিষ্ট সং¯’া। অন্যদিকে গণতান্ত্রিক দেশের নির্বাচন প্রক্রিয়াকে নানাভাবে ধ্বংস করে জনমতের প্রতিফলনকে অবরুদ্ধ করা হয়েছে। ফলে নাগরিক জীবনে ঘটে যাওয়া সকল প্রকার রষ্ট্রীয় সহিংসতায় পর্যুদস্ত পরিবারগুলি একের পর এক বিচারহীণতার শিকার হ”েছ। এছাড়া ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ও মন্দিরে আগুন দেয়া এবং সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি হত্যার ঘটনা ঘটলেও অদ্যবধি কোন ঘটনারই এখনও কোন সুরাহা বা প্রতিকার পায়নি কোন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার। নিকট দিনগুলিতে ঘটে যাওয়া মানবাধিকার লংঘনের ভয়াবহ চিত্রের পরিসংখ্যানই বলে দেয় এর মাত্রা কতটুকা উদ্বেগজনক।
বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে উঠে আসা পরিসংখ্যান সূত্রমতে, চলতি বছরের শুরু থেকে নভেম্বর পর্যন্ত দেশে বিভিন্ন বয়সী ১ হাজার ৫৪৬ নারী ও শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে ৫১ জনকে। গত বছর ২০১৯ সালের ১২ মাসে ১ হাজার ৪১৩ নারী ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া চলতি বছরের ১১ মাসে ৫৩৫ শিশুহত্যাসহ ১ হাজার ৬৩৮ শিশু শারীরিক নির্যাতন, যৌন হয়রানি ও অন্যান্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে।

এছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত সারা দেশে গ্রেপ্তারের আগে ও পরে ‘ক্রসফায়ার’, ‘এনকাউন্টার’ ও ‘বন্দুকযুদ্ধ’সহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শারীরিক নির্যাতন ও হেফাজতে মোট ২২০ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে গ্রেপ্তারের আগে ১৪৮ জন এবং গ্রেপ্তারের পরে ৩৯ জন ক্রসফায়ার বা বন্দুকযুদ্ধের নামে বিচারবহির্ভূত হত্যার শিকার হয়েছেন। এই সময়ে পুলিশ ও র‌্যাবের নির্যাতনে ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ২০১৯ সালের (৩৮৮ জন বিচারবহির্ভূত হত্যা ও হেফাজতে মৃত্যুর শিকার হয়েছে। কক্সবাজারের টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ সড়কে তল­াশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের নিহত হওয়া এবং গত ১১ অক্টোবর সিলেটে বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে নির্যাতনে যুবক রায়হান আহমদের (৩৩) মৃত্যুর ঘটনায় দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া ও দায়ীদের গ্রেপ্তারের কারণে এই প্রবণতা কমেছে। তবে চলতি বছরের ১১ মাসে দেশের বিভিন্ন সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে ৩৫ জন এবং তাদের নির্যাতনে ৬ জনসহ মোট ৪১ বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন, এসব ঘটনার কোনটারই সুরাহা বা প্রতিকার পাওয়া যায়নি।
এছাড়া মতপ্রকাশ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার কথা সরকারসহ বিভিন্ন মহল থেকে জোরেশোরে বলা হলেও আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে সাংবাদিক হয়রানি ও নির্যাতন। চলতি বছরে জানুয়ারি থেকে অক্টোবর পর্যন্ত ২৩৩ জন সাংবাদিক হয়রানি, হেনস্তা, আক্রমণ ও মারধরের শিকার হয়েছেন। গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের জেরে এই সময়ে ৮৯ জন সাংবাদিকের বির“দ্ধে মামলা হয়েছে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার হ”েছ বিরামহীন।আমাদের প্রশ্ন ‘মুক্তমত মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হুমকির মুখে রয়েছে। কার্টুনিস্ট ও গণমাধ্যমকর্মীকে যদি গ্রেপ্তার করা যায়, তাহলে যারা সা¤প্রদায়িক উসকানি সৃষ্টি করে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে চলেছে তাদের গ্রেপ্তার করা যায় না কেন?’ অথবা আবহমানকাল ধরে বাঙালী হৃদয়ে লালিত শিল্প সংস্কৃতি ও ভাস্কর্য শিল্পের ঐতিহ্যকে ধর্মের দোহায় দিয়ে যারা ধ্বংস করার হুমকি দেয়ার আস্ফালন দেখা”েছ তাদের কেন আইনে আওতায় আনা হবে না ? এসময় বক্তব্য রাখেন জাসদ সভাপতি গোলাম মহসিন, এমএ কাইয়ুম, সীমা খাতুন, রবিউল ইসলাম প্রমুখ।
(সংবাদ বিজ্ঞপ্তি)

নিউজটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

Mon Tue Wed Thu Fri Sat Sun
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031  
© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net