February 8, 2025, 9:18 pm
জাহিদুজ্জামান/
কুষ্টিয়া জেলা কারাগারে স্থানীয়দের সঙ্গে কারারক্ষীদের সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা হয়েছে।
কারাগারের সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. আলী আজগর মজনু বাদী হয়ে ২০ মার্চ প্রথম প্রহরে কুষ্টিয়া মডেল থানায় মামলা করেছেন, নং ৩১। মামলায় তিনি শহরের এরশাদ নগর বস্তির আশ্রায়ন প্রকল্পের মো. ইয়াকুব আলী (৬০), তার ছেলে আনন্দ রনি (২৬), মো. জয়নাল (৩৬), মো. মানিক (২৫), মো. লিটন (২৪), মো. ফারুক (৩১)সহ ১৬ জন আসামির নাম উল্লেখ করেছেন। আরো ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত হিসেবে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এরশাদনগর বস্তি ও জেলখানা মোড় এলাকায় এ ঘটনায় গ্রেফতার আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এজাহারে বাদী বলেন, ১৯মার্চ সন্ধ্যা ৬টার দিকে জেলখানার সামনের রাস্তার ওপরের সবজি বিক্রেতা ইয়াকুব আলীর সঙ্গে কারারক্ষী মো. মামুন হোসেনের বাগবিতণ্ডা হয়। পঁচা সবজি নিয়ে বিতর্কের এক পর্যায়ে ইয়াকুব আলীর ছেলে আনন্দ রনি গালাগালি শুরু করেন এবং ফোন করে বস্তির লোকজনকে ডেকে আনেন। তারা লাঠিসোটা নিয়ে এসে কারাগারের মেইন গেটের কাছে কারারক্ষী মো. মামুন হোসেনকে আঘাত করে। অন্য কারারক্ষীরা বাধা দান করে। পরবর্তীতে সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেল সুপারের বাসভবন সংলগ্ন ৩নং গেট টপকে ভেতরে প্রবেশ করে ভাঙচুর করে। পরে কারারক্ষীরা এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। এদিকে ১৯ মার্চ এ সংঘর্ষে আহত মো. জয়নাল জানান, গত ১৮ মার্চ সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. মামুন জেলখানা মোড়ের সবজি বিক্রেতা ইয়াকুব হোসেন কাছ থেকে সবজি ক্রয় করেন। বাসায় গিয়ে দেখেন সবজিগুলো নষ্ট। তাই পরের দিন ১৯ মার্চ সবজি বিক্রেতার কাছে সবজিগুলো ফেরত দিতে যান। এ বিষয় নিয়ে সবজি বিক্রেতা ও সহকারী প্রধান কারারক্ষী মো. মামুনের মধ্যে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। এক পর্যায়ে সবজি বিক্রেতার ছেলে আনন্দ রনি সহ কয়েকজন স্থানীয় যুবক কারাফটকের মধ্যে গিয়ে সহকারী প্রধান কারারক্ষী মামুনের উপর হামলা চালায়। মামুনকে বাঁচাতে কারাঘন্টা বাজিয়ে কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের সকল কারারক্ষী একত্রিত হয়ে স্থানীয়দের সাথে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে কারারক্ষী মো. মামুন, সবজি বিক্রেতা ইয়াকুব হোসেন ও স্থানীয় যুবক মো. জয়নাল আহত হয়। পুরে পুলিশ এসে কারারক্ষী মামুন ও স্থানীয় যুবক জয়নাল কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শওকত কবির জানান, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মো. জয়নাল ও সামান্য আহত সবজি বিক্রেতা ইয়াকুব হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ। ঘটনার তদন্ত এবং অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলেও জানান ওসি।
এদিকে ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ১০/১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা করায় গ্রেফতার আতঙ্কে এলাকা ছেড়েছেন অনেকে।
ছবি তুলেছেন: আসিফ যুবায়ের
Leave a Reply