December 8, 2024, 2:13 pm
দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
বিশ্বের প্রাকৃতিক বিস্ময়গুলোর অন্যতম ; বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন বা লবণাক্ত বনাঞ্চল সুন্দরবন। আজ সেই সুন্দরবন দিবস। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে প্রতি বছর ১৪ ফেব্রæয়ারি সুন্দরবন দিবসটি পালিত হয়ে আসছে।
প্রাণবৈচিত্রে ভরপুর এই বনাঞ্চল ঝড়-ঝঞ্ঝায় এখনও দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলকে বাঁচাতে সুন্দরবনের ভূমিকা যে অপরিসীম তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একই সাথে লাখো মানুষের জীবিকার সংস্থান করে চলেছে এই বন।
পরিবেশবাদীদের অভিযোগ, বনের প্রতি অতিনির্ভরতা এবং মানুষের নির্বিচার আচরণে দিন দিন বিপন্ন হচ্ছে এর পরিবেশ ও প্রতিবেশ। এই বিষয়টিকে সামনে আনতে ২০০১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর ও পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরও ৭০টি পরিবেশবাদী সংগঠনের অংশগ্রহণে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই সম্মেলনে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সুন্দরবন দিবস’ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষা এবং অনন্যসুন্দর প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণে দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে সুন্দরবন একাডেমির আয়োজনে খুলনাসহ সুন্দরবনঘনিষ্ঠ জেলাগুলোতে বেসরকারিভাবে সুন্দরবন দিবসের নানাবিধ কর্মসূচি পালিত হয়ে আসছে।
জানা যায়, সুন্দরবন রয়েছে ৫ হাজার প্রজাতির উদ্ভিদ, ১৯৮ প্রজাতির উভচর প্রাণী, ১২৪ প্রজাতির সরীসৃপ, ৫৭৯ প্রজাতির পাখি, ১২৫ প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী ও ৩০ প্রজাতির চিংড়ি মাছ রয়েছে।
সুন্দরবনের পাশেই রামপালে কয়লাচালিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছে সরকার। সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, এই কেন্দ্র নির্মাণ সুন্দরবনকে ক্ষতিতে ফেলবে না। অন্যদিকে পরিবেশবাদীরা এ বিষয়ে ঘোর আপত্তি তুলেছে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি আগুনে পুড়েছে ধানসাগর টহল ফাঁড়ি এলাকার প্রায় চার শতক বনভূমি। এ নিয়ে সুন্দরবনে ১৯ বছরে ৩১ বার আগুন লেগে পুড়ে গেছে প্রায় ১০০ একর বনভূমি। এসব অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়েছে একরের পর একর বনভূমির গাছপালা, লতাগুল্ম। মারা গেছে বিভিন্ন প্রজাতির জীব-জন্তু। আবাসস্থল হারিয়েছে বিভিন্ন প্রজাতির প্রাণী।
পরিবেশবাদী সগঠনগুলো বন রক্ষায় সরকারের যথাযথ পদক্ষেপ কামনা করে আসছে।
Leave a Reply