November 7, 2025, 3:07 pm

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক অনুমোদিত দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন পোর্টাল
সংবাদ শিরোনাম :
পাখির খাদ্যের আড়ালে পাকিস্তান থেকে আমদানি করা হলো ২৪,৯৬০ কেজি পপি সিড দেশের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল দিয়ে শীতের আগমন, প্রথম শৈত্যপ্রবাহ আসবে ডিসেম্বরে নির্বাচন হলে দেশ ও আইনশৃঙ্খলা স্থিতিশীল হবে: সেনাবাহিনী অনার্স ও ডিগ্রি পাস কোর্স/ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতি বছর শূন্য থাকে লক্ষাধিক আসন কুষ্টিয়ার ৪টি আসনে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা গোয়ালন্দে শাটল ট্রেনের ইঞ্জিন লাইনচ্যুত, ট্রেন চলাচল বন্ধ নেতৃত্বে কুষ্টিয়ার সেতু/ “আমার ব্যাংক” নামে ডিজিটাল ব্যাংক পরিচালনার উদ্যোগ ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমলো ২৬ টাকা আবারও জামায়াতে ইসলামীর আমির নির্বাচিত ডা. শফিকুর রহমান কুষ্টিয়া চেম্বারের বার্ষিক সাধারণ সভা ও অভিষেক অনুষ্ঠিত

দেশের ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা/যশোরে ৪৩.৮, চুয়াডাঙ্গা ৪৩.৭ ডিগ্রি

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। চলতি বছর এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। আর বাংলাদেশের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি।
স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল, যা বাংলাদেশের নথিভুক্ত ইতিহাসের সর্বোচ্চ। আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক এ তথ্য জানান।
২৯ বছরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখল চুয়াডাঙ্গাবাসী/
২৯ বছরের তাপমাত্রা ডিঙিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আবারো সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জেলাটিতে বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। চলতি মৌসুমে এটিই চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা। এর আগে ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৫ সালের ২ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১২ সালের ৪ জুন চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৪২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০১৪ সালের ২১ মে চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৪৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
টানা প্রায় এক মাস ধরে এ জেলায় অব্যাহত রয়েছে মাঝারি, তীব্র ও অতি তীব্র তাপপ্রবাহ।
চুয়াডাঙ্গার প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৩ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১২ শতাংশ। এদিন দুপুর ১২টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ১৪ শতাংশ এবং সকাল ৯টায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৫৬ শতাংশ। বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকায় গোটা জেলায় ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
তিনি জানান, মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) পর্যন্ত তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকবে। আগামীকাল বুধবার (১ মে) থেকে ধীরে ধীরে তাপমাত্রা কমতে থাকবে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বৈজ্ঞানিক প্রমাণ ও জলবায়ু সংক্রান্ত রেকর্ড থেকে বোঝা যায়, গত কয়েক দশক ধরেই বাংলাদেশে উষ্ণতার মাত্রা ও এর স্থায়িত্ব বাড়ছে। বাংলাদেশে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি থাকায় প্রকৃত তাপমাত্রার চেয়েও চার থেকে পাঁচ ডিগ্রি বেশি তাপমাত্রার গরম অনুভূত হচ্ছে। যে কারণে সাধারণের অস্বস্তিও বেশি। আজকের ৪৪ ডিগ্রির কাছাকাছি—এই তাপমাত্রাকে বিপদজ্জনকও বলেছেন তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন..

Comments are closed.

পুরোনো খবর এখানে,তারিখ অনুযায়ী

© All rights reserved © 2024 dainikkushtia.net
Maintenance By DainikKushtia.net